সাও পাওলোতে মেলা ও কনস্যুলার ক্যাম্প

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত

ব্রাজিলের বাণিজ্যিক নগরী সাও পাওলোতে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় উন্নয়ন মেলা ও কনস্যুলার ক্যাম্প। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাস প্রথমবারের মতো রাজধানী ব্রাসিলিয়া থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরে সাও পাওলোতে গত ৩ ও ৪ অক্টোবর এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। স্থানীয় একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এ মেলা ও কনস্যুলার ক্যাম্পে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি, সাও পাওলো চেম্বারের প্রতিনিধি ও স্থানীয় ব্রাজিলিয়ানরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত

মেলা প্রাঙ্গণ বিভিন্ন রঙিন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন এবং বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্প, পর্যটনকেন্দ্র ও বাংলার অপরূপ দৃশ্য সংবলিত ছবি দিয়ে সাজানো হয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতিও প্রদর্শন করা হয়। মেলার অংশ হিসেবে বাংলাদেশি পণ্য ও কারুশিল্প দিয়ে কয়েকটি স্টল সাজানো হয়।

মেলার উদ্বোধনের পর বর্তমান সরকারের সাফল্য দিয়ে সাজানো ৪৫ মিনিট দীর্ঘ একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর মূল পর্বে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অর্জন নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ পর্বে দেশটিতে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সরকারের অর্জন ও এ অর্জনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের একাংশ
প্রবাসী বাংলাদেশিদের একাংশ

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকারের সফলতার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন যাত্রায় ১০টি বিশেষ উদ্যোগের ভূমিকার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সেবার মান বৃদ্ধি, কনস্যুলার সেবা প্রবাসীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া ও বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সাও পাওলোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপনের বিষয়ে উপস্থিত বাংলাদেশিদের অবহিত করেন। তিনি সাও পাওলোতে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে তার পরিকল্পনার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের কনস্যুলার সেবা দেওয়া হচ্ছে
প্রবাসী বাংলাদেশিদের কনস্যুলার সেবা দেওয়া হচ্ছে

প্রবাসী বাংলাদেশিরা রাষ্ট্রদূতের উদ্যোগসমূহের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রবাসীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

অনুষ্ঠানের আরেকটি অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘অপরূপ বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ।

মেলার পাশাপাশি দুই দিনই প্রবাসী বাংলাদেশিদের কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি