নকশিকাঁথা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শন

নকশিকাঁথার প্রত্যেক নকশা ও সুতায় মিশে আছে গ্রামবাংলার জীবনযাত্রা, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেক গ্রামে নারীরা তাদের মনের মাধুরী আর কল্পনাশক্তিকে সুই-সুতার নকশায় অপূর্বভাবে ফুটিয়ে তোলেন। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা আজ মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাপানি প্রতিষ্ঠান রসুন কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের নকশিকাঁথা’ শীর্ষক এক আলোচনা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, নকশিকাঁথা গ্রামজীবনের প্রতিচ্ছবি এবং তা এখন কাঁথা ছাড়াও বিভিন্ন শাড়ি, কুর্তা ও গৃহসজ্জা দ্রব্যাদি ইত্যাদি পণ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। জাপানি প্রতিষ্ঠান রসুন বাংলাদেশের নকশিকাঁথা নিয়ে কাজ করছে এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতি জাপানে তুলে ধরতে সহযোগিতা করছে। রাষ্ট্রদূত রসুনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নকশিকাঁথা বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। রসুন তাদের এবং বাংলাদেশে উৎপাদিত নকশিকাঁথা ও নকশিকাঁথা দিয়ে প্রস্তুতকৃত দ্রব্যের প্রদর্শন করে। বাংলাদেশের নকশিকাঁথার ঐতিহ্য ও সম্ভাবনার কথা উপস্থিত জাপানিদের কাছে উপস্থাপন করেন রসুনের মিয়েকো মাগামি ও শিনজি মাগামি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাতসুহিরো হরিগুচি, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক চিসাকো নিশিতানি ও জাইকার উপপরিচালক তাকাউকি সুগাওয়ারে এবং জাপানি সংস্থা মেক্সট, টাফস, আলফস। এ ছাড়া সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

রসুনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে রসুনের তৈরি ‘জীবজন্তু রহরী কাঁথা’ নামক নকশিকাঁথা উপহার দেওয়া হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল রসুন সদস্যদের রান্না করা বাংলাদেশি খাবার। তাদের রান্না করা বিভিন্ন রকম তরকারি ও ফুচকাসহ বরফি, লাচ্ছি ও মিষ্টি দিয়ে আগত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি