বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হোক শিশুদের চিন্তার খোরাক

মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে লেখকের ছেলে
মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে লেখকের ছেলে

একটি দেশের উন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার অপরিহার্য। খনিজ সম্পদের অপ্রতুলতা এবং প্রায় ৭৩ শতাংশ ভূমি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়া সত্ত্বেও জাপান কেবলমাত্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমেই উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছে। তবে এ উন্নতি রাতারাতিই হয়নি। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অবদান রয়েছে বিভিন্ন প্রজন্মের। আর এ জন্যই নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভিনব সব উদ্ভাবনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে ও বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট করতে জাপানিদের রয়েছে নানা রকম আয়োজন।

ছেলেসহ লেখক
ছেলেসহ লেখক

টোকিওর ‘দ্য ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইমার্জিং সায়েন্স অ্যান্ড ইনোভেশন’, যা মিরাইকান নামেও পরিচিত এমনই একটি অনন্য উদ্যোগ। সপ্তাহ খানিক আগে আমার ছেলেকে নিয়ে এই বিজ্ঞান জাদুঘরটি দর্শনের সুযোগ হয়েছিল। গবেষক ও শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে উৎসুক সকল শ্রেণির মানুষের কাছেই বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বিজ্ঞানের সকল শাখারই উপস্থিতি রয়েছে এই জাদুঘরে। রোবটিকস্ ও মহাকাশ গবেষণা থেকে শুরু করে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সবকিছুই জানার সুযোগ আছে এখান থেকে। স্থায়ী প্রদর্শনীর পাশাপাশি এখানে নিয়মিত বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও বিশেষ প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের জন্য এগুলো ভীষণ আকর্ষণীয় ও শিক্ষণীয়। শৈশব থেকেই জাপানি শিশুরা পরিচিত হয় বিজ্ঞানের সব নতুন নতুন আবিষ্কার আর উদ্ভাবনের সঙ্গে। আর এগুলো নিঃসন্দেহে শিশুদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখে।

রোবটের সঙ্গে লেখকের ছেলে
রোবটের সঙ্গে লেখকের ছেলে

পরিতাপের বিষয় হলো, বাংলাদেশে শিশুদের স্কুলের পাঠ্যবইয়ে মুখস্থ করতে হয়। চিত্তবিনোদনের অভাবে আমাদের দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সেখানে জাপানি শিশুরা রোবট প্রদর্শনীর মাধ্যমে পরিচিত হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। আর আকৃষ্ট হয় বিজ্ঞান শিক্ষায় ও উদ্বুদ্ধ হয় নতুন নতুন উদ্ভাবনে।
...

মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ পুলিশ ও শিক্ষার্থী, কিউশু ইউনিভার্সিটি, জাপান।