জেনেভায় প্রথম আলোর জন্মদিনে পাঠক সমাবেশ
‘ভালোর সাথে আলোর পথে’ এই হলো দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলোর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান। ছাপা পত্রিকা আর অনলাইন ভার্সন মিলিয়ে প্রথম আলোর পাঠক সংখ্যা আজ ৭৬ লাখ। ক্ষুদ্র করে হলেও প্রথম আলোর সঙ্গে আমি আছি ১৮ বছর ধরে। আমার মতো সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্রবাসী আরও কয়েকজন বাংলাদেশি প্রথম আলোর সঙ্গে আছেন অনেক বছর ধরে। আমার ও তাদের সেই ভালোবাসার জায়গা থেকেই জেনেভায় প্রথম আলোর পাঠকদের নিয়ে কিং কারি রেস্টুরেন্টে এক প্রীতি সম্মিলনী ও পাঠক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছিল তিনটি ভাগে। কেক কাটা, সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় ও মধ্যাহ্নভোজ। আগত সব অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।
শুরুতেই আমি প্রথম আলোর সাফল্যের ২০ বছরের পথ চলার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থিত সকলের কাছে তুলে ধরি। প্রথম আলো শুধুমাত্র একটি পত্রিকায় নয়। সামাজিক ও মানবিক দিকগুলো নিয়ে প্রথম আলোর উদ্যোগগুলো প্রবাসীরা অনেকেই জানতেন না। বিশেষ করে ভাষা প্রতিযোগিতা, গণিত অলিম্পিয়াড, বিভিন্ন ত্রাণ তহবিলের মাধ্যমে দুস্থ ও মেধাবীদের সাহায্য, জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা ও অ্যাসিড সন্ত্রাসসহ নারী-শিশু নির্যাতন ও তাদের অধিকার নিয়ে প্রথম আলোর নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকা এবং আলো পরিবারের স্কুল, সেইসঙ্গে মঙ্গাপীড়িত এলাকায় প্রথম আলোর জোরালো পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করি।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন চৌধুরী আমজাদ, নিজাম উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, মাকসুদ হোসেন, রিয়াজুল হক ফরহাদ, শাদাত হোসেন ও অরুণ চৌধুরী প্রমুখ সম্মানিত ব্যক্তিরা।
আলোচনায় জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তা মাকসুদ হোসেন বলেন, বিশ বছর ধরে তিনি ঘুম থেকে উঠে আগে প্রথম আলোতে চোখ বুলিয়ে নেন। তিনি এই পত্রিকার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনার প্রশংসা করেন।
জেনেভা বাংলা পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রিয়াজুল হক ফরহাদ তার বক্তব্যে বলেন প্রথম আলো সব সময় প্রথম থাকুক। তিনি দেশের সামাজিক অগ্রগতিতে প্রথম আলোর ভূমিকাকে সাধুবাদ জানান।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাদাত হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রথম আলো নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনার মাধ্যমে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাক। তারা প্রথম আলোর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
জাতিসংঘের আইওএম সংস্থায় কর্মরত অরুণ চৌধুরী বলেছেন, দেশের প্রধান দৈনিক পত্রিকা যেন তার নীতিগত অবস্থানটি সব সময় সমুন্নত রাখে। তিনি চটকদার কোনো বিষয় নিয়ে অতিরঞ্জিত নিউজ না করার অনুরোধ জানান। সেইসঙ্গে আরও বলেন, প্রবাসে যখন অবস্থান করেন প্রথম আলোকে তিনি তার পরিবারের একজন হিসেবে গণ্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদা বেগম, ঝুমা চৌধুরী, সৃষ্টি চৌধুরী, মিলি হোসেন, মাশফিকা সুলতানা, কেয়া চৌধুরী, লুনা, তাসলিমা চৌধুরী, তানভীর চৌধুরী, তানিয়া চৌধুরী, জাকির হোসেন রাজ্জাক, আলী হোসেন ও রুবায়েত জনিসহ আরও অনেকে।
আয়োজনে গোল্লাছুটের খুদে পাঠকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতির কথা না বললেই নয়।
পরিশেষে মজাদার দেশীয় খাবারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির পরিসমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে কয়েকজনের কথা বিশেষ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বলছি। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এমরান চৌধুরী জাবেদ। সহযোগিতায় ছিলেন বাংলাদেশ ক্লাবের সভাপতি ও কিং কারি রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী চৌধুরী আমজাদ, অভিনেতা নিজাম উদ্দিন ও জাহিদ চৌধুরী।