জানালায় আসে না কেউ-চার

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

তার নাম তুফান নয়। আবদুল হক ভূঁইয়া। কিন্তু সাইকেল চালাত তুফানের বেগে। নান্টু ঘটক ছবির গীতিকার গাজি মাজহারুল আনোয়ারের সঙ্গে আবদুল হক ভূঁইয়ার যদি সম্পর্ক থাকত তবে ছবির গানের লিরিকটা এমন হতো না—‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে উইড়া উইড়া’। লিরিক হতো—‘চলে আমার সাইকেল তুফানের বেগে উইড়া উইড়া!’

গল্প বোনার দিনে ভূঁইয়া আমার ছায়াসঙ্গী ছিল। না না, সাইকেল সঙ্গী। আরেকটু ইজ্জত দিয়ে বললে, ড্রাইভার! সাইকেলের ড্রাইভার!

কোনো কোনো মঙ্গলবারে আমার দুঃখে সেও বুঝি দুঃখ পেত। ফনিক্স সাইকেলের পেছনের ক্যারিয়ারে বসে আমি যখন হাহাকার ভরা নীলাভ আকাশ দেখি, কাঠবাদামের পাতা ঝরা দেখি, খালের পানিতে জলপিপি দেখি, চোখের জলে নিজের গল্পকার হতে না পারার দুঃখ দেখি, ভূঁইয়া তখন কিছুই দেখে না। কোন রাস্তাটা ভাঙা, কোথায় রেলিং ছাড়া কালভার্ট, কোথায় বাঁক, কিছুই না। সে শুধুই তুফান বেগে সাইকেল চালায় আর আমার দুঃখ দেখে! সঙ্গে দুঃখের গান গায়—

‘ডুখিনি ডুঃখ করো না, ডুখিনি, ডুখিনিন!’

ভূঁইয়ার গান শুনে গল্পের দুঃখ ভুলে গিয়ে আমি তখন প্রিয় শিল্পী জেমসের জন্য দুঃখ পাই। জেমস যদি ভূঁইয়ার গলায় ডুখিনি ডুঃখ করো না গানটা একবার শুনতেন তবে অবশ্যই ছোটখাটো একটা হার্টঅ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল তার!

আমার সাইকেলের ড্রাইভার ভূঁইয়ার তোতলামির জন্য মায়া হতো তখন! মনে মনে ভাবতাম, রামপুরের বড় হুজুরের কাছে যাব একদিন। ভূঁইয়ার তোতলামি বন্ধের জন্য তাবিজ আনতে। তাবিজ পানিতে ভিজিয়ে ভূঁইয়া সেই পানি খাবে। আর দোয়া পড়বে। মুসা (আ) এই দোয়া পড়ে নিজের তোতলামি ঠিক করেছিলেন।

ইসলামিয়া রোডের অবস্থা তখন ভাঙাচোরা। সরু খাল আর ইউক্যালিপটাস পাশ দিয়ে চলে গেছে হাত ধরাধরি করে। বিকেলে খালের পানিতে ইউক্যালিপটাসের ছায়া পড়ে। কিছু বোকা পাখি সেই ছায়াতে ঠোঁট ভেজায়। কিছু লেংটা বালক খালের পানিতে ডুবে ডুবে কাদা ছোড়াছুড়ি খেলে। মাগুলো পাড়ে বসে চেচায়! বালকের দল খলখল করে হাসে।

আমি শুধু হাসতে পারি না। আমি তখন গোপন একটা ব্যথার ভূত মাথায় নিয়ে বসে থাকি। যে ভূতের নাম গল্প! প্রতি মঙ্গলবার অভিরামপুর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরের মাইজদী শহরে ছুটি। সন্ধানী বুক স্টলে দাঁড়িয়ে ‘যায়যায়দিন’-এর পাতা ওল্টাই। আমার ভাগ্যে প্রায় মঙ্গলবারই শনি হয়ে আসে। গল্প খুঁজে পাই না তাই।

মাইজদী টাউন হলের মোড়ে দাঁড়িয়ে আমি তখন ভ্যান গগের ওয়াটার কালারে আঁকা নিঃসঙ্গ সেই গাছ। বাতাসের সঙ্গে যুদ্ধ করা বৃক্ষ! শহর থেকে ভেজা চোখে আবার পাড়ি দিই ১৭ কিলোমিটার। আবার অভিরামপুরে। শূন্য হৃদয়ে।

রাতে মায়া বাড়ে নিজের জন্য। গল্পটা ছাপা না হওয়ার দুঃখে কল্পনায় বিভোর হয়ে আমি তখন অরুণিমা স্যানালের মুখ খুঁজি। জীবনানন্দে ডুবে—
‘মনে পড়ে কবেকার পাড়াগাঁর অরুণিমা সান্যালের মুখ;
উড়ুক উড়ুক তারা পউষের জ্যোৎস্নায় নীরবে উড়ুক
কল্পনার হাঁস সব; পৃথিবীর সব ধ্বনি সব রং মুছে গেলে পর
উড়ুক উড়ুক তা’রা হৃদয়ের শব্দহীন জ্যোৎস্নার ভিতর।’

আহা! শব্দহীন জ্যোৎস্না। আমি সেখানেই বসে থাকি। জানালায় তাকালে ভুতুড়ে তালগাছ। দূরে সুপারির বন। রাত হলে সেখানে ঝিঁঝি ডাকে। না না কাঁদে! বাড়িটা তখন ভীষণ নির্জন। সেখানে একজন গল্পকারের অনেক শূন্যতা, কিছু অভিমান, আর গোপন ব্যথারা ঝুলে থাকে মাকড়সার জালের মতন!

অন্য এক গল্পকার তখন ঢাকায় থাকে। ইউনিভার্সিটির হলে। বন্ধুদের নিয়ে তাসের আড্ডা বসায় মাঝে মাঝে। আচমকা কোনো বৃষ্টির দিনে অথবা বিপন্ন দুপুরে, নয়তো জোছনায় ভেসে যাওয়া রাতে ফিজিকসের বই ভুলে গিয়ে সে লিখে চলে ভালোবাসার চারা গল্প। ফাইভ ফিফটি ফাইভ সিগারেটে ডুবে মাইনাস ওয়ান পয়েন্ট সেভেন ফাইভ পাওয়ারের চশমা পরা লেখকের গল্প প্রথম আলোর ছুটির দিনে ছাপা হতো প্রায়। সেই গল্প পড়ে আমি তখন মুগ্ধতায় ডুবি। আর চোখের জলে ভাসি। গল্পকার যে আমারই আপন ভাই, আনোয়ার হোসেন নিরু।

আনোয়ার হোসেন নিরু দ্য গ্রেট। যাকে আমার গল্পের জাদুকর মনে হয়। না না, হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা! নাট্য পরিচালক হিমু আকরামের লাইট হাউস-এর গল্পকার।

পত্রিকার পাতায় ভাইয়ের গল্প পড়ে পড়ে আমি তখন পাগলপ্রায়—নিজের গল্প ছাপা না হওয়ার দুঃখে। পাগলরা লিখতে পারে কিনা জানি না। শুধু জানি সঙ্গে একজন পাগলি থাকলে সবই পারে! জয় গোস্বামীরও কি একজন পাগলি ছিল?

‘পাগলি তোমার সঙ্গে’ লেখার সময় কার চোখে চোখ রেখেছিলেন তিনি! সেই চোখের গভীরে কি প্রেম ছিল খুব। আমার জানতে ইচ্ছা করে কতটা প্রেম জমে জমে মেঘ আসে, ঝড় বয়, পাখি গায়, পাতা ঝরে। তারপর রোদ যায়, ছায়া নামে! কতটা মায়ায় লেখা হয়—

‘পাগলি, তোমার সঙ্গে ভয়াবহ জীবন কাটাব
পাগলি, তোমার সঙ্গে ধুলোবালি কাটাব জীবন!’

সেই ধুলাবালি মাখা জীবনের জন্য গল্প লেখা বাদ দিয়ে আমি তখন পাগলি খুঁজি এখানে ওখানে। গার্লস স্কুলের গেট থেকে রৌশনবাণী সিনেমা হল, আল ফারুক কোচিং সেন্টার থেকে শাহাদাত মাওলানার মহিলা মাদ্রাসা—সবখানেই আমি উঁকিঝুঁকি দেই পাগলির খোঁজে। যার চোখ হবে পাখির নীড়ের মতো। কোনো এক অন্ধকার রাতে তার মুখোমুখি বসে আমিও লিখব—থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন!

অবশেষে পাগলিকে পাই আমি। ১০০ ভাগ পাগলি। অরিজিনাল, পিউর, এক নম্বর, ভেজালমুক্ত, ফরমালিনবিহীন সেই পাগলি আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। ফোকলা দাঁতে হাসে। ক্লোজআপ টুথপেস্ট দিয়ে নয় ব্লিচিং পাউডার দিয়ে মাজলেও পাগলির দাঁতের ময়লা যাবে কিনা আমার সন্দেহ হয়। তার দুই হাত ভরা কাচের চুড়ি ছিল না, ছিল পাথর। খোঁপায় পরেনি সেই প্রিয় বেলি ফুল। তার যে খোঁপাই ছিল না। ছিল ন্যাড়া মাথা। সত্যিকারের সেই পাগলি যখন রেললাইনের পাথর হাতে আমাকে ধাওয়া করে আমি তখন উপকূল এক্সপ্রেসের চেয়েও দ্রুত বেগে ছুটি, প্রাণ বাঁচাতে! রেললাইন ধরে না দৌড়ালে আমার জান ওই পাগলির হাতেই যেত সেদিন।

মাইজদী রেল স্টেশনে পাগলির পাথরের আঘাতে যুবকের মৃত্যু। এমন নিউজ লজ্জাজনক। মৃত্যুটা বীরের মতো হলেই সম্মান থাকে। গোলাপ গাছ দিয়ে তৈরি বিষাক্ত ওয়াইন খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল মহাবীর আলেকজান্ডারের। আমি বীর নই। অতি সাধারণ একজন লেখক। তবুও সাদা গোলাপ গাছের ওয়াইন খুঁজি হরিনারায়ণপুর গিয়ে। পরান বাবুর মদের দোকানে। ওয়াইন আর পাই না। মহাবীর আলেকজান্ডার মাইজদী শহরে আসেননি কোনোদিন। পরান বাবুও তাই গোলাপের ওয়াইন বানাননি! তার দোকানে আছে শুধু ভাতের মাড়ের মতো প্লাস্টিকের বোতলে ভরা বাংলা মদ। ১৫০ টাকা দামের সেই মদ খেয়ে মরলেও কিছুটা সম্মান পাওয়া যায়। পাগলির পাথর খেয়ে মরার চেয়ে!

আমি তখন পরান বাবুর দোকানে যাই। ভর দুপুরে প্লাস্টিকের পুরো বোতলটা শেষ করি। রাস্তায় নামলে পা টলে। নৌকার গুলুইয়ে বসে নানি বাড়ি যাওয়ার কথা মনে পড়ে। নানির পোষা কুকুর মন্টুকে দেখি। আর দেখি অনিন্দ্য সুন্দরী রুখসানাকে। সার্কিট হাউসের দিঘির পাড়ে বসা। পাশে তার স্বামী মহাবীর আলেকজান্ডার। আর সাদা ঘোড়া। এক টুকরা রুটি তলোয়ার দিয়ে কেটে দুই টুকরা করে খায় তারা! রূপসী রুকসানাকে এভাবেই বিয়ে করেছিলেন আলেকজান্ডার। রাজ্য জয়ের পরে। আমি সেই বিয়ের আসরে বেহালা বাজাই। আমি চিৎকার করি। আমি আনন্দে নাচি। দূরে কিছু সৈন্য সামন্ত আমাকে দেখে হাসে। কাছে আসে। আরও কাছে। চারজন সৈন্য মিলে চ্যাংদোলা করে ধরে তারপর ছুড়ে মারে সার্কিট হাউসের দিঘির জলে।

তখন ঘোর কাটে। দিঘির পাড়ে সাত আটটা মেয়েকে বসে থাকতে দেখি। তাদের কারও নাম রুখসানা কিনা জানি না। আলেকজান্ডারকে দেখি না কোথাও। দেখি না সাদা ঘোড়াও। দেখি শুধু মিহিরকে। আমার বন্ধু মিহিরকে। সে আমায় পানি থেকে তোলে। রিকশায় ওঠায়। আমার তখন দুঃখ বাড়ে। ভীষণ কান্না পায়। আমি কাঁদি। কাঁদতেই থাকি। মিহির নিশ্চুপ। আমি বলে যাই সব ব্যথার কথা, গল্পের কথা, কবিতার কথা, লেখাগুলো পত্রিকায় ছাপা না হওয়ার বেদনার কথা। মিহির কিছুই বলে না। শুধু আমার হাতটা শক্ত করে ধরে থাকে। সেই হাত আমাকে ভরসা দেয়। বলে দেয় আমি একদিন লেখক হব। গল্পের পর গল্প ছাপা হবে পত্রিকার পাতায়।

মাতাল রাতে ঘুম হয় না আমাদের। পুরোনো কলেজের খোলা ছাদে বসে থাকি দুজন। নারকেল গাছের পাতারাও বাতাসে অদ্ভুত সুর নিয়ে জেগে থাকে রাতভর। নিজের মতো করে। কলেজ মোড়ে রাত হলে মানুষ থাকে না একটাও। রাস্তাটা সুনসান হয় খুব বেশি। কিছু কুকুর রোজ রাতে নিজেদের দখলে নেয় রাস্তাটা। মিহির ভিতু মানুষ। তবু মাঝে মাঝে গভীর রাতে রাস্তায় নামে। ল্যাম্পপোস্টের নিচে বসে থাকা কুকুরদের মতো সেও বসে থাকে।

মিহির এক অদ্ভুত মায়ার গল্প বলে যায় আমায়। যে গল্পের নায়িকার নাম সুমিতা। যাকে ভেবেই আমার বন্ধু মিহিরের দিন যায়, রাত পোহায়। আমি শুনি তার মায়ার গল্প। একের পর এক সিগারেটে সময় পুড়ে ছাই হয়। অথচ মায়াটা ঠিক জমে না। জমে শুধু হাহাকার! মায়ার গল্প লিখতে হলে মায়া পেতে হয়, মায়া ছুতে হয়, মায়া নিয়ে দৌড়াতে হয়। আমাকে কেউ মায়া করেনি কোনো দিন। বলেনি, ভালোবেসে খুন হয়ে যাই চলো! তাই মিহির সুমিতার মায়ার গল্পটা আর লিখতে পারি না। লিখে ফেলি বেদনার গল্প, অপেক্ষা।

তারপর মঙ্গলবার আসে। আবদুল হক ভূঁইয়া ফনিক্স সাইকেল চালায় তুফান বেগে। আমি পেছনে বসে প্রস্তুতি নেই আবারও ডুখিনি ডুঃখ করো না গানটা শোনার। সন্ধানী বুক স্টলের সামনে এসে দাঁড়ালে বুড়োটাকে দেখি। মহিষের দুধের দই বিক্রেতা বুড়োটার দিকে তাকিয়ে হাসি। পরিচিত অন্ধ ভিখারির অ্যালুমিনিয়ামের থালায় রাখি রুপালী কয়েন। একটা শব্দ হয় টং করে। এবার ভিখারি হাসে। হাসিমুখ মিলিয়ে গেলে আমি যায়যায়দিন কিনি। মনের আশা পূরণ হওয়ার দোয়া পড়ি মনে মনে।

দোয়া শেষে যায়যায়দিনের পাতা উল্টাই একের পর এক। মাঝ বরাবর আসলে চোখে ঝাপসা দেখি। আকাশে দেখি সোনালি ডানার চিল। আমি চোখ বন্ধ করি। দূরে কোথাও ট্রামের ব্রেক কশার শব্দ শুনি। শুনি জীবনানন্দের আর্তনাদ। কলকাতার রাস্তায়—

‘হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!’

আমার চোখ বেয়ে এবার ব্যথারা গড়িয়ে পড়ে কান্না হয়ে। আবদুল হক ভূঁইয়া, কাঁধে হাত রাখে। নরম সুরে বলে, ডুখিনি ডুঃখ করো না। আমি বাঁ হাতে চোখের পানি মুছি। বলি, ডুঃখের ডিন শেষ! যায়যায়দিন বাড়িয়ে দিই ভূঁইয়ার দিকে। সেখানে ছাপার অক্ষরে গল্পের নাম লেখা—‘অপেক্ষা’। লেখক হিমু আকরাম!

আমার গল্পের শুরুটা অপেক্ষা দিয়ে। প্রিয় কোনো মানুষের জন্য অপেক্ষা। এখনো কোনো কোনো রাতে খুব একা লাগে। সাদা বরফে ঢেকে থাকে র‍্যন্ডলফ শহরের রাস্তা, বাড়িঘর, মদের দোকান। কল্পনায় সেই প্রিয় মানুষটার হাত ধরে আমি তখন হেঁটে বেড়াই বরফের শহরে। সে শীতে কাঁপে। সে আমার বুকের কাছে দাঁড়ায়। সে অভিমানী হয়। কাঁপা কাঁপা সুরে বলে—তুমি আমাকে এত কম ভালোবাসো কেন? আমি নিশ্চুপ। সে আবারও জানতে চায়—কেন আমাকে একা রাখ, এতটা দূরে!

আমি কিছু বলি না। কেবল সাদা বরফ দেখি। দেখি একটা মাতালের রাস্তার মধ্যখানে হেঁটে যাওয়া। আর দেখি তার চোখের জল। আমার জন্য অপেক্ষা। তখন চোখ বুজি। তার চোখের জল মুছি পরম মমতায়। তাকে বুকের মধ্যে লুকিয়ে রেখে বলি, পৃথিবীতে এত প্রেম নেই, ভালোবাসি তোমাকে যত!

অথচ চোখ খুললে তাকে আর পাই না। সে শুনতে পারে না কিছুই। তার আর আমার মাঝে দূরত্ব এখন সাত সমুদ্র তেরো নদী। আমি সেই নদীর পাড়ে একা হাঁটি। দূরের বনে চিত্রা হরিণের কান্না শুনে শুনে! (চলবে)

হিমু আকরাম: নাট্যকার, পরিচালক, হাইপয়েন্ট স্ট্রিট, নর্থ ক্যারোলাইনা, যুক্তরাষ্ট্র।

ইমেইল: <[email protected]>, ফেসবুক: <Himu Akram>

ধারাবাহিক এ রচনার আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন