সূর্যটা নামতে নামতে হঠাৎ করেই দূরের মাউন্ট পিরংগিয়ার ওপাশে টুপ করে লুকিয়ে গেল। পশ্চিম আকাশ বিস্তৃত গোধূলির আলো ফুটে উঠল। লেকের জলেও গোধূলির আভা।
রাকিব চুপচাপ কী এক উদাসী দৃষ্টি নিয়ে গোধূলির আভার দিকে তাকিয়ে আছে। হিংগাকাকা যুদ্ধের গল্প বেশ কিছুক্ষণ আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন রাকিব তেমন কথা বলছে না। সে এখন নিজের ভেতর নিজে হারিয়ে গেছে। গোধূলি দেখতে দেখতে বহুদিন আগের স্মৃতি নিয়ে ভাবছে। তাদের বৈঠক ঘরের পেছনে সেই ছোট্ট পুকুর। পুকুরের পাড়ে একটা বড় আমগাছ। আমগাছের নিচে গোধূলির আভা মিইয়ে যেতে যেতে এক সময় সন্ধ্যা নামত। ধূসর সন্ধ্যা। ধূসর সন্ধ্যাটা এক সময় কালি অন্ধকারে ঢেকে যেত। সেই কালি অন্ধকারে সে একাকী বসে থাকত। পুকুরের জলে ব্যাঙ ডাকত—ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ, ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ, কটর কট, কট কট। তখন তার বয়স কতই বা ছিল? নয় কী দশ। একটা নয়-দশ বছরের ছেলে। একাকী পুকুরপাড়ে আমগাছের নিচে বসে থাকা...!
রাকিব আবার উদাস দৃষ্টি মেলে লেক, লেকের পরে সবুজ প্রান্তর, দূরের মাউন্ট পিরংগিয়ার দিকে তাকাল। পশ্চিম আকাশে গোধূলির আভা আরও গাঢ় হয়ে ভেসে উঠেছে। মেঘগুলো কেমন ঢেউখেলানো। মেঘের শরীর থেকে সেই লালিমা আভা আরও উন্মাতাল হয়ে যেন মাউন্ট পিরংগিয়ার চূড়ায় গলে গলে পড়ছে।
লেকের ভেতর উত্তরের বাতাসে তির তির ঢেউ তুলছে। পাড়ের কাঠের পাটাতনে সেই ঢেউ আঘাত হানছে—ছলাৎ ছলাৎ, ছলাৎ ছলাৎ। কয়েকটা হাঁস তখনো এলোমেলো সাঁতার কাটছে। লেকের পাড়ে এখন আর কেউ নেই। খানিকটা দূরে বড় বড় গাছের নিচের ক্যারাভ্যান দুটিতেও কোনো মানুষজন আছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না।
গাছে গাছে তখনো অসংখ্য পাখি ডাকছে। পাখিগুলোর অনবরত কিচিরমিচির শব্দে সময়টা কেমন মাতাল হয়ে উঠছে। পাখির ডাকগুলো শুধু বেসুরো বললে ভুল হবে, বাজারের শোরগোল মনে হচ্ছে।
রাকিব আবার নিজের ভেতর হারিয়ে যেতে যেতে নারোটো লেকটাকে নিয়ে একবার ভাবল। নিউজিল্যান্ডকে বলা হয় লেক ও ঝরনার দেশ। অনেক বড় বড় লেকের তুলনায় নারোটো লেকটা কিছুই না। অন্যান্য লেকের মতো এই লেকের পাড়ে কোনো বসতি নেই। লেকটা তেমন বড়ও নয়। কিন্তু তারপরও নারোটো লেকটার পেছনে একটা বিরাট ইতিহাস বসবাস করছে। মাউরি আদিবাসীদের সবচেয়ে বড় হিংগাকাকা যুদ্ধে এই লেকের পাড়ে হয়েছে।
নদীও রাকিবের পাশে চুপচাপ বসে আছে। নদী যদিও এত চুপচাপ বসে থাকার মানুষ নয়। কিন্তু এখন চুপচাপ বসে আছে। তার মাথায় এ মুহূর্তে একটা চিন্তা কাজ করছে, তার মা। নাবিদ, জুঁই ও মৌনতাকে পেয়ে নদী যতটুকু খুশি হয়েছে, এর ঠিক উল্টো প্রতিক্রিয়া সে তার মার কাছ থেকে পাচ্ছে। নদী বুঝতে পারছে, সাতাশ বছর পরও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ব্যাপারে তার মার একধরনের আতঙ্ক বা অনীহা আছে। মার অনীহা থাকতেই পারে। কিন্তু মার আতঙ্কটা কী নদী সেটাই বুঝতে পারছে না।
গোধূলির আলো ক্রমান্বয়ে মিইয়ে আসছে। সন্ধ্যার ধূসর আলো ফুটছে। তাদের বসার স্থানে এক ধরনের ছায়ার স্তব্ধতা নেমেছে। তারা গাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে বসেনি। কান্ট্রি সাইডের মেইন রোড থেকে একটা সরু পিচঢালা রাস্তা লেক পর্যন্ত নেমে এসেছে। লেকের পাড়ে বড় বড় গাছগুলোর পাশে বেশ প্রশস্ত কার পার্ক। এখন শরৎকাল শেষ হয়ে শীতকাল প্রায় এসে গেছে। শীতের কুয়াশা চারদিক। এ জন্য মনে হয় লেকের পাড়ে তেমন মানুষজন নেই। গ্রীষ্মকালে হয়তো এখানে অনেক মানুষজন আসে।
বড় বড় গাছগুলো থেকে সমস্বরে পাখির ডাক আসা থেমে গেছে। তবে কোনো কোনো পাখি আলাদাভাবে ডাকছে—কিচ কিচ, কিচির কিচির, কিচ কিচ। লেকের জলে কিসের যেন শব্দ হচ্ছে—টুপ টুপ। কাছের কোথাও থেকে একটা সন্ধ্যা পাখি ডেকে উঠছে—টুব, টুব, টু-উ-ব, টু-উ-ব। কোথাও একটা ঘরে ফেরার পাখি ডাকছে—ক্যাঁক, কোয়াক কোয়াক, ক্যাঁক। এলোমেলো সাঁতার কাটা হাঁসগুলো ডাকছে—প্যাঁক, প্যাঁক, প্যাঁ-য়ে-ক।
নদী আস্তে করে বলল, রাকিব ভাই, আমার ভয় করছে।
রাকিব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, কীসের ভয়?
: ঠিক জানি না।
: আহা, বলো না কেন ভয় পাচ্ছ?
: একটু আগে হিংগাকাকা না কী একটা যুদ্ধের কথা বললেন না, আমাদের পেছনের গাছগুলোতে লাশ ঝুলিয়ে রেখে উৎসব করে সেই লাশের মাংস কেটে কেটে খেত? এ জন্যই ভয় হচ্ছে।
: ওটা তো প্রায় দুই শ বছর আগের ঘটনা।
: জানি দুই শ বছর আগের ঘটনা। এখন যদি লাশগুলো ভূত হয়ে আসে?
: ভূত! কী বলো?
: হ্যাঁ, আমি ঠিকই বলছি।
: তুমি কি ভূতে ভয় পাও?
: সবাই তো পায়।
: আমি পাই না। আমি ভূতে বিশ্বাস করি না।
: আমার তারপরও ভয় লাগছে।
রাকিব এবার একটু গম্ভীর গলায় বলল, নদী, নিউজিল্যান্ডে কোনো হিংস্র প্রাণী নেই যে আমাদের এখানে আক্রমণ করবে। আর ভূত-প্রেত, ওসব নাথিং। তবে একটা কথা জিজ্ঞেস করি, পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয়ানক ও বিপজ্জনক প্রাণী কি জানো?
নদী মাথা নেড়ে বলল, না।
রাকিব বলল, মানুষ!
নদী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, মানুষ?
রাকিব বলল, হ্যাঁ, মানুষ। তুমি যে মানুষটাকে বিশ্বাস করে পাশে বসে আছ। তাকে ভয় পাচ্ছ না। আর কোথাকার অলীক বস্তু ভূত-প্রেতে ভয় পাচ্ছ...!
নদী এক মুহূর্তের জন্য চুপ হয়ে গেল। ঘাড় বাঁকিয়ে নদী পূর্ণ দৃষ্টিতে রাকিবের দিকে তাকাল। তার এই নিস্তব্ধ থমথমে পরিবেশটায় সত্যি ভয় লাগছে। কিন্তু রাকিবের কথাটা তার কাছে সেই ভয় পাওয়ার চেয়ে আরও কঠিন মনে হলো।
রাকিব কী ভেবে বলল, তাহলে গাড়িতে চল। হ্যামিল্টন ফিরে যাই।
নদী জিজ্ঞেস করল, আপনি না এই লেকের পাড়ে ব্যাঙের ডাক শুনতে এসেছেন?
: তাতে কী হয়েছে? আমি না হয় আরেকদিন এসে শুনে যাব।
: আপনি আরেকদিন কি একা আসবেন?
: একাই তো আসব। আমার সঙ্গে আর কে আসবে?
: একা একা ব্যাঙের ডাক শোনার অনুভূতি নেওয়া কী ঠিক হবে?
: তাহলে কী করব?
: আমিও আপনার সঙ্গে থাকব।
: সেদিন যদি আবার ভয় পাও?
: আপনি আছেন না?
: আমি তো আজও আছি।
: এ জন্যই তো ভয় পেয়েও পাচ্ছি না।
রাকিব কৃত্রিম বিরক্তির ভাব দেখিয়ে বলল, নদী, তুমি না!
নদী হাসল, হি হি, হি হি।
রাকিব নিঃশব্দে হাসল ঠিকই, কিন্তু কথা বাড়াল না। সে আবার লেকের জলে তাকাল।
সন্ধ্যাটা ধূসর হতে হতে হঠাৎ করেই কেমন ফরসা হয়ে উঠল। রাকিব অবাক হয়ে দেখল, আকাশে আস্ত একটা চাঁদ ঝুলে আছে। আজ যে পূর্ণ চাঁদের রাত সে জানত না। চাঁদটা এখন তাদের পেছনে, বড় বড় গাছগুলোর ফাঁক গলে উঁকি দিচ্ছে। তাদের বসার স্থানটায় এখন জ্যোৎস্নার স্পষ্ট আলোছায়া।
নদী জিজ্ঞেস করল, রাকিব ভাই, ব্যাঙের ডাক শুনছেন?
রাকিব বলল, না তো, তুমি শুনছ?
: না, কিন্তু ব্যাঙ তো ডাকছে না?
: তুমি ব্যাঙের ডাক চেন?
: চিনি তো।
: কীভাবে চেন? তুমি না কখনো ব্যাঙের ডাক শোনোনি?
: ওই যে, সিনেমা-নাটকে দেখেছি। ব্যাঙ ডাকে—ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ, ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ!
রাকিব হেসে ফেলল। সে এবার একটু শব্দ করেই হাসল। বলল, বেশ বলেছ।
নদীও হাসল।
লেকের পরিবেশটা যেন স্তব্ধ থেকে আরও স্তব্ধ হলো। এখান আর একটা পাখিও ডাকছে না। হাঁসের ডাক থেমে গেছে এরই মধ্যে। এখন লেকের জলে একটা হাঁসও দেখা যাচ্ছে। তবে ঝিঁঝি পোকার ডাক আসছে—ঝিঁ-ই-ই, ঝিরিত ঝিরিত, ঝিঁ-ই-ই।
আকাশের আস্ত চাঁদটা এখন আরও কাছে এসে ঝুলে রয়েছে। চাঁদটা এবার বড় বড় গাছের আড়াল থেকে একটু সামনে এসে মেঘের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়াচ্ছে। আকাশে ছেঁড়া ছেঁড়া সাদা মেঘ। মেঘগুলো যেন ভেলায় ভেসে ঢেউ খেলছে। লেক থেকে সরু সরু ধোঁয়া উঠছে।
রাকিব ডাকল, নদী!
নদী রাতের নিস্তব্ধতা ও ভরাট জ্যোৎস্না দেখে একটু অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিল। তাই রাকিবের ডাকে একটু চমকে উঠল। জিজ্ঞেস করল, জি, রাকিব ভাই?
: আমি কেন ব্যাঙের ডাক শুনতে এসেছি জানো?
: কেন রাকিব ভাই?
: ব্যাঙের ডাকের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িত।
: কী স্মৃতি, বলা যাবে?
: বলা যাবে না কেন, অবশ্যই বলা যাবে। তোমাকে না বললে কাকে বলব?
: থ্যাংক ইউ রাকিব ভাই।
: থ্যাংক কেন?
: এমনিই বললাম। আপনি আপনার স্মৃতিটা বলুন।
রাকিব বলল, হুম, দুই-তিন সপ্তাহ আগে অফিসের এক কলিগের কাছে নারোটো লেকে ব্যাঙের ডাকের কথা শুনি। শুনে নিজেকে আর সংবরণ করতে পারিনি। ভেবেছিলাম একাই আসব। কিন্তু আজকাল তোমাকে সঙ্গে করে না নিয়ে এলে কেন জানি আনন্দ পাই না।
নদী হেসে সায় দিয়ে বলল, আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন বলে আমি খুব খুশি হয়েছে।
রাকিব বলল, আমি অবশ্য খুব অরিড ছিলাম। তুমি যদি না আস?
: কেন আসব না?
: না মানে, ব্যাঙের ডাক শুনব তো সন্ধ্যার পরে। সন্ধ্যার পরে তুমি যদি একা আমার সঙ্গে না আস?
: সন্ধ্যার পরে মনে হয় এর আগে আপনার সঙ্গে কোথাও ঘুরিনি?
: হ্যাঁ, ঘুরেছ। তবে সেটা হ্যামিল্টন শহরের ভেতর।
: হ্যামিল্টন শহরের ভেতর বা বাইর বলে কথা নয়। আমি আপনাকে খুব বিশ্বাস করি।
: আমি জানি। আমি জানি বলেই তোমাকে এই নির্জন স্থানে নিয়ে আসতে সংকোচ বোধ করিনি।
: রাকিব ভাই, আমি ছোটবেলা থেকে একা একা মানুষ হয়েছি। তাই আমি মানুষ চিনতে শিখেছি। আমি আপনাকে চিনি। প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি।
রাকিব একটু আবেগের গলায় বলল, তুমি আমাকে এত বিশ্বাস কর দেখে আমি নিজের ব্যাপারে খুব গর্ববোধ করছি।
নদী হেসে বলল, স্যার, এত গর্ববোধ করতে হবে না। আপনি এখন আপনার স্মৃতিটা বলেন।
রাকিব বলতে শুরু করল, তোমাকে তো বলেছি, আমার মা আমাকে চার বছর বয়সে ফেলে চলে গিয়েছিলেন। আমার বাবা ছিলেন একেবারে বোকা। তিনি এমন বোকা ছিলেন যে সকাল-দুপুরের পার্থক্যটা পর্যন্ত বুঝতেন না। আজ এ বাড়ি তো কাল ও বাড়ি করতেন। কখন তিনি বাড়ি আসতেন, কখন তিনি বাড়ি থেকে বের হতেন, কেউ তার খবর পর্যন্ত রাখত না। আমি এ অবস্থাতেই বড় হয়েছি।
এতক্ষণ নদী ও রাকিবের বসার দূরত্ব হাত খানিকের ব্যবধানে ছিল। এবার নদী দুই হাতে ভর দিয়ে উবু হয়ে রাকিবের গা ঘেঁষে বসল। এক হাতে রাকিবের বাম বাহুটা চেপে ধরে বলল, আমি জানি!
নদীর এভাবে গা ঘেঁষে বসায় রাকিব প্রথমে একটু অস্বস্তিবোধ করতে শুরু করল। সে একটু নড়েচড়েও বসল। কিন্তু পরক্ষণই সে স্বাভাবিক হয়ে দিঘল দৃষ্টি মেলে লেকের জলে তাকাল। আকাশের চাঁদটা এখন অনেকটাই লেক বরাবর ওপরে। চারদিকে ধোঁয়া ওঠা শীতের হালকা কুয়াশা পড়লেও চাঁদের কিরণটা লেকের জলে বেশ স্পষ্টভাবেই পড়েছে। জলের ঝিকিমিকি প্রতিবিম্ব অদ্ভুত সুন্দর এক আবহের সৃষ্টি করছে।
রাকিব লেকের জলে চাঁদের আলোর প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে একটু ক্ষয়ে যাওয়া গলায় বলল, তখন আমার বয়স আর কতই বা ছিল? সাত কী আট। নয় বছরও হতে পারে। আমি প্রতি সন্ধ্যায় বৈঠক ঘরে আমার ছোট চাচার কাছে পড়তে যেতাম। কিন্তু তিনি পড়ালেখার নাম করে আমাকে শুধু শুধু পেটাতেন। কখনো কখনো তিনি পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দিতেন। তখন আমি কাঁদতে কাঁদতে বৈঠক ঘরের পেছনের ছোট্ট পুকুরপাড়ে একটা বড় আমগাছের গোড়ায় গিয়ে বসে থাকতাম। রাত অন্ধকার হয়ে আসত। গাছের নিচে অন্ধকার নামত। কিন্তু আমি বসা থেকে উঠতাম না। আমি কাঁদতাম। তবে শব্দ করে কাঁদতাম না। পাছে ছোট চাচা শুনলে যদি আরও বেশি মারেন...!
রাকিব একটু থেমে একটা নিশ্বাস ছাড়ল। বড্ড ভারী ও গম্ভীর নিশ্বাস। বলল, সেই নির্জন-নিস্তব্ধতায় বসে থেকে থেকে কখনো কখনো সন্ধ্যায় বা রাতে সেই ছোট্ট পুকুরটা থেকে ব্যাঙের ডাক শুনতাম, ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ, ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ, কটর কট, কট কট। নদী, কত বছর ধরে আমি সেই ব্যাঙের ডাক শুনি না...! (ক্রমশ)
মহিবুল আলম: গোল্ড কোস্ট, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া। ইমেইল: <[email protected]>