জাপানের সাইতামায় নবান্ন উৎসব

নবান্ন উৎসবের একটি দৃশ্য
নবান্ন উৎসবের একটি দৃশ্য

সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে প্রথমবারের মতো পালন করা হলো আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব। রাজধানী টোকিওর পার্শ্ববর্তী শহর সাইতামাতে গ্রেটার খুলনা কমিউনিটি, জাপানের (জিকেসিজে) উদ্যোগে গত রোববার (১১ নভেম্বর) বিকেলে সোকার সেজাকি কমিউনিটি সেন্টারে এই নবান্ন উৎসব আয়োজন করা হয়।

নবান্ন উৎসবের একটি দৃশ্য
নবান্ন উৎসবের একটি দৃশ্য

উৎসবে তফসির আহমেদ তুহিন ও জেসমিন সুলতানা কাকলির তত্ত্বাবধানে সংগঠনের নারী সদস্যদের বিশেষ সহযোগিতায় নানা রকম সুস্বাদু দেশীয় খাবার ও পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় অতিথিদের। পাশাপাশি বৃহত্তর খুলনার শিল্পীরা নাচে-গানে মাতিয়ে তোলেন উৎসবটি। পরিবেশিত হয় খুলনার একাধিক আঞ্চলিক গানও।

নবান্ন উৎসবের একটি দৃশ্য
নবান্ন উৎসবের একটি দৃশ্য

বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. শাহিদা আক্তার, কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মোহাম্মদ হোসাইন আরিফ, লেবার কাউন্সেলর জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। প্রায় সাড়ে তিন শ অতিথি উপভোগ করেন এই আয়োজন।

নবান্ন উৎসবের একটি দৃশ্য
নবান্ন উৎসবের একটি দৃশ্য

নবান্ন উৎসব আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন অনুষ্ঠান সমন্বয়ক গোলাম মাসুম জিকো, তফসির আহমেদ তুহিন, জেসমিন সুলতানা কাকলি ও এমডি মোস্তাফিজুর রহমান জনির সমন্বয়ে ১৬ জনের স্বেচ্ছাসেবক দল এবং জিকেসিজের উপদেষ্টা ও সদস্যরা। উপদেষ্টা মুনশি কে আজাদ, নাজনিন রহমান, কাজী মাহফুজুল হক লাল, গুল মোহাম্মদ মনি ঠাকুর, জাকির জোয়ারদার ও মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং সার্বিক সহযোগিতা করেন।

নবান্ন উৎসবে সমবেতদের একাংশ
নবান্ন উৎসবে সমবেতদের একাংশ

জাপানপ্রবাসী বৃহত্তর খুলনাবাসী বিভিন্ন শিল্পীরা নাচ, গান ও কবিতা ইত্যাদি পরিবেশন করেন। মনোজ্ঞ এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয় আবহমান বাংলার নবান্নের সকালের চিত্র নিয়ে কাকলি ও বহ্নি নির্দেশিত নৃত্যনাট্য দিয়ে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে জাপানের সুপরিচিত দুটি সাংস্কৃতিক দল স্বরলিপি কালচারাল একাডেমি ও উত্তরণ কালচারাল গ্রুপ।

পুরো উৎসব পাঁচটি পর্বে ভাগ করা হয়েছিল। উদ্বোধন, নবান্নের গীত সন্ধ্যা, কবিতা সন্ধ্যা, নবান্নের নৃত্য আনন্দ ও কনসার্ট। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বহ্নি আহমেদ, গোলাম মাসুম জিকো, কাউসার হাসান লাইজু, শিলা আফরোজ, ববিতা পোদ্দার ও তনুশ্রী গোলাদার বিশ্বাস। পরিচালনা করেন গোলাম মাসুম জিকো।