বাংলাদেশের তৈরি পোশাক নিয়ে সিউলে সেমিনার

সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প নিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৯ নভেম্বর) সিউলের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়। যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে অ্যাডভান্স ডিজাইন অব কোরিয়া ও বাংলাদেশ দূতাবাস। কোরিয়ার শীর্ষ ৩০টির মতো গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফ্যাশন ডিজাইনিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপকেরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারে জানানো হয়, আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে বিশ্বের ১১তম অর্থনীতির দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার ২২০টি প্রতিষ্ঠানের ১৬০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। এতে ১ লাখ ৬০ হাজার লোকের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর এসব প্রতিষ্ঠান ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করছে। কাজেই এ খাতে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নের সবচেয়ে পুরোনো ও টেকসই অংশীদার।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা

আরও জানানো হয়, কোরিয়ার বড় বড় কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশমুখী হচ্ছে। সম্প্রতি কোরীয় স্যামসাং ইলেকট্রনিকস ও এলজি ইলেকট্রনিকস কোম্পানি বাংলাদেশে মোবাইল ফোন সংযোজন কারখানা ও টেলিভিশন সংযোজন কারখানা করেছে। হুন্দাই কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের কার্যালয় খুলেছে। এসকে গ্যাস এলএনজির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সেমিনারে দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন চিত্র ও তৈরি পোশাক খাতে অর্জন এবং বিশ্ব বাজারে এ খাতের অবস্থান তুলে ধরে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। পরে এ বিষয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্য দিচ্ছেন আবিদা ইসলাম
বক্তব্য দিচ্ছেন আবিদা ইসলাম