পাকিস্তানে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী দিবস পালন

সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে একটি কেক কাটা হয়
সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে একটি কেক কাটা হয়

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা শাখা দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হোটেল সেরিনায় এক সংবর্ধনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রবাসী ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী সৈয়দ জুলফিকার আব্বাস বুখারি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার শফিউর রহমান তার স্বাগত বক্তব্যে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই দিনে সশস্ত্রবাহিনী গঠন ও এ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর পেশাদারি ও গৌরবময় অবদানের কথা বর্ণনা করেন। তিনি সশস্ত্রবাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগের কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, আধুনিকায়ন ও গুণগত মান বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী এখন দেশের জনগণের নির্ভরতার প্রতীক ও বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার দূতে পরিণত হয়েছে।

বক্তব্য দিচ্ছেন সৈয়দ জুলফিকার আব্বাস বুখারি
বক্তব্য দিচ্ছেন সৈয়দ জুলফিকার আব্বাস বুখারি

হাইকমিশনার তারিক আহসান বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়—বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হলেও দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার স্বার্থে যেকোনো আগ্রাসন প্রতিহত করতে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী সদা প্রস্তুত। আর্তমানবতার সেবা ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নেতৃত্বমূলক অবদান রাখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সকল কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী দেশে-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।

বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান
বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান

সৈয়দ জুলফিকার আব্বাস বুখারি তাঁর বক্তৃব্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানবসম্পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি সাধনের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনের স্বার্থে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পরে সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে একটি সুদৃশ্য কেক কাটা হয়।

ইসলামাবাদে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাসহ পাকিস্তানের সাবেক ফেডারেল মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংবর্ধনায় যোগ দেন। বিজ্ঞপ্তি