ডিমেনশিয়া রোধে প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা। ধূমপান পরিহার, সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও বিভিন্ন কাজকর্মে সক্রিয় থাকার মাধ্যমে ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে। বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বায়েস) আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলা হয়। জার্নি অব ডিমেনশিয়া বিষয়ক এই কর্মশালা গত শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) টরন্টোর ডেনফোর্থের এক্সেস পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিউনিটির ৩৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
আলঝেইমার সোসাইটি অব টরন্টোর এসথার এটামোর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন বায়েসের নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিন। সঞ্চালনা সহায়ক ছিলেন হেলথ কো-অর্ডিনেটর মো. মোহিতুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারপারসন গোলাম মোস্তফা ও কানাডিয়ান সেন্টারের পরিচালক তৌহিদা চৌধুরী প্রমুখ।
এসথার এটামো তাঁর বক্তব্যে বলেন, ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করা থেকে বিরত থাকে। তাদের কোনো কিছু মনে রাখা, চিন্তা করা ও সঠিক কথা বলা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। তারা এমন কিছু বলতে বা করতে পারে যা অন্যদের কাছে অদ্ভুত মনে হতে পারে এবং তাদের জন্য দৈনন্দিন কাজ করা কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে। যেমন, সাম্প্রতিক ঘটনা, নাম ও চেহারা ভুলে যাওয়া। প্রায়শই অল্প সময়ের মধ্যে একই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করা। জিনিসপত্র ভুল স্থানে রাখা। মনযোগ ধরে রাখা বা সরল সিদ্ধান্ত গ্রহণ কঠিন হয়ে ওঠা প্রভৃতি। তিনি আরও বলেন, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপে আক্রান্তরা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিতে থাকেন বেশি। সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও বিভিন্ন কাজকর্মে সক্রিয় থাকার মাধ্যমে ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে। সে জন্য এ বিষয়ে প্রয়োজন ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তোলা।
ডিমেনশিয়া বর্তমানে গোটা বিশ্বের সমস্যা। কানাডায় প্রতিবছর ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা প্রায় পঁচিশ হাজার। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ কানাডায় ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৩৭ হাজারে দাঁড়াবে।
উল্লেখ্য, কানাডায় বাঙালি কমিউনিটির সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বায়েস নিয়মিত বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করছে। বায়েসের পরবর্তী কর্মশালার বিষয় ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনা। ডায়াবেটিস কানাডার বিশেষজ্ঞরা এতে অংশগ্রহণ করবেন। কর্মশালাটি আগামী ৮ ডিসেম্বর, শনিবার, বেলা দুইটায় ডেনফোর্থ অ্যাভিনিউর এক্সেস পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তি