বাংলাদেশ নির্বাহী পর্ষদে নির্বাচিত

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অধিবেশনের দৃশ্য
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অধিবেশনের দৃশ্য

রোম স্ট্যাচুর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ট্রাস্ট ফান্ড ফর ভিকটিমসের (টিএফভি) নির্বাহী পর্ষদে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। গত বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অ্যাসেমব্লিতে বাংলাদেশ ১২৩ ভোটে নির্বাচিত হয়। টিএফভির নির্বাহী পর্ষদে বাংলাদেশ তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার সম্মুখীন হওয়ার ইতিহাস সব সময়ই বাংলাদেশকে যুদ্ধবিগ্রহে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় এই নির্বাচন বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থার প্রতিফলন হিসেবে ফুটে উঠেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অধিবেশনের দৃশ্য
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অধিবেশনের দৃশ্য

নির্বাচনে আইসিসিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল বাংলাদেশ সরকারের মনোনীত ও সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন। তিনি ইতিপূর্বে ২০১৫-২০১৭ সময়ে ওপিসিডব্লিউ-এর নির্বাহী পরিষদের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া, তিনি ২০১৫-২০১৬ সময়ে আইসিসির ফ্যাসিলিটেটর অব ভিকটিমসের দায়িত্ব পালন করেন। আইসিসির ট্রাস্ট ফান্ড ফর ভিকটিমসের নির্বাহী পর্ষদের পাঁচটি আসন পৃথিবীকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে বরাদ্দ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কেবলমাত্র অপরাধীদের বিচারই করে না, ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে সংস্থাটি ক্ষতিগ্রস্তদের শারীরিক ও মানসিক দুর্দশা লাঘবে সহায়তা প্রদান করে থাকে। নির্বাহী পর্ষদের সদস্যরা ফান্ডটির পরিচালনা এবং এর আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবেন।

শেখ মুহম্মদ বেলাল
শেখ মুহম্মদ বেলাল

ট্রাস্ট ফান্ড ফর ভিকটিমসের দুটি দায়িত্ব হলো আইসিসির আওতাধীন দেশসমূহে যুদ্ধবিগ্রহে (যেমন গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ) ক্ষতিগ্রস্তদের ও তাদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ আদায়। ট্রাস্ট ফান্ডের কার্যক্রম আইসিসির সদস্য দেশসমূহের চাঁদা, ব্যক্তি পর্যায়ের চাঁদা এবং বিভিন্ন দণ্ড ও জরিমানার মাধ্যমে আহরিত অর্থের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ ২০১০ সালে আইসিসিতে যোগদান করে। এর আগে বাংলাদেশ এই সংস্থার ব্যুরো মেম্বার (১২৩টি দেশের মধ্যে মাত্র ২১টি দেশ এর সদস্য) নির্বাচিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি