একটি সরল নদীর গল্প-চার

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

আজ সারা দিন জাহিদের খুব পরিশ্রম গেছে। কিউই ফলের বাগানটা ঠিক যেন বাগান ছিল না। জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। টিপুকির কাছে মাকিতুতে তাদের কাজ ছিল। সাধারণত উইন্টার প্রুনিংয়ে একেকটা কিউই ফল গাছের দশ-এগারোটা নতুন ডাল ও দুই-তিনটা পুরোনো ডাল রেখে বাকি সব ডাল কেটে ফেলে দিতে হয়। কিন্তু মাকিতুর কিউই ফলের বাগানে যেন নতুন ডাল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, সব ডাল পেঁচিয়ে শুধু জঙ্গল নয়, দুর্বোধ্য জঞ্জালে পরিণত হয়েছে।

এত পরিশ্রমের পরও জাহিদকে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে রান্না করতে হয়েছে। আজমল হোসেন অবশ্য তাকে আগাগোড়া রান্নায় সহযোগিতা করেছেন। রাত আটটার মধ্যে খেয়েদেয়ে আজমল হোসেন বেডরুমে চলে যান। জাহিদ লেপ মুড়ি দিয়ে দিঘল সোফাটায় গা এলিয়ে টিভি দেখতে বসে।

টিভি দেখতে দেখতে জাহিদ এক সময় সোফায় ঘুমিয়ে পড়ে। তাওরাঙ্গা আসার পর জাহিদ রাতে এমনটাই করছে। রাতের খাবার খেয়ে লাউঞ্জে লেপ মুড়ি দিয়ে টিভি দেখে। এক সময় টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ে। এমনও হয়, সকালে ঘুম থেকে উঠে টিভি বন্ধ করে।

আজও জাহিদ টিভি দেখতে দেখতে লাউঞ্জের সোফাতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। ঘুমের মধ্যে জাহিদ একটা স্বপ্নও দেখছিল। কিন্তু কী স্বপ্ন দেখছিল, তা ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই জাহিদ মনে করতে পারল না। ঘুম ভাঙার পর প্রথমে জাহিদ শুনল টিভির শব্দ। তারপর শুনল আজমল হোসেনের নাক ডাকার শব্দ। এর পরপরই জাহিদ স্লিপ আউটের দরজায় কাউকে কড়া নাড়তে শুনল।

জাহিদ ঘড়ি দেখতে দেখতে সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়াল। লাউঞ্জের লাইটটা তখনো জ্বালানো। জাহিদ ঘড়ি দেখল, রাত এগারোটা বাজে।

জাহিদ জিজ্ঞেস করল, কে?

: আমি, দরজা খোল।

: আমি কে?

: আমি হেদায়েত।

জাহিদ দরজা খুলল। কিন্তু দরজা খুলেই হেদায়েত হোসেনের চেহারার দিকে তাকিয়ে জাহিদ অবাক হয়ে গেল। হেদায়েত হোসেনের চেহারা একেবারেই বিধ্বস্ত। মনে হচ্ছে, এই মাত্র তিনি অনেক কান্নাকাটি করে এসেছেন। চোখ তখনো ভেজা। গালের ওপর চোখের জলের সরু রেখা।

জাহিদ জিজ্ঞেস করল, কী হয়েছে হেদায়েত ভাই? এত রাতে?

হেদায়েত হোসেন কান্না জড়ানো গলায় বললেন, আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে।

: কী সর্বনাশ?

: তোমার ভাবি জেদ ধরে অনেকগুলো প্রেশারের ওষুধ খেয়ে ফেলেছে।

: অনেকগুলো মানে?

: অনেকগুলো মানে ত্রিশ-চল্লিশটা। আরও বেশি হতে পারে।

: এটা কীভাবে হলো?

: তুমি তো জানোই, তোমার ভাবির প্রেশার হাই। সব সময় প্রেশারের ওষুধ খায়। আজ জেদ ধরে বাসায় যতগুলো প্রেশারের ওষুধ আছে, সব খেয়ে ফেলেছে।

: বলেন কী!

: হ্যাঁ, জাহিদ। আমি কী করব বুঝতে পারছি না।

: অ্যাম্বুলেন্স কল করেছেন?

: না, ঘটনাটা এইমাত্রই ঘটেছে। আমি দিশা না পেয়ে তোমার এখানে চলে এসেছি।

জাহিদ তার স্লিপিং গাউনটা চাপিয়ে বলল, চলেন, চলেন, আগে ভাবির অবস্থা দেখি। তারপর না হয় অ্যাম্বুলেন্স কল করব।

হেদায়েত হোসেন বললেন, তাই কর। আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না।

হেদায়েত হোসেনের বাসায় ঢুকে জাহিদ দেখল, ঘটনাটা এইমাত্র ঘটলেও লাকি ভাবির অবস্থা খুবই খারাপ। লাকি ভাবির মুখ দিয়ে সরু ফেনা বের হচ্ছে। তিনি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন। তার শরীর থরথর করে কাঁপছে। লাকি ভাবির বারো বছরের ছেলে সজল চুপচাপ মার পাশে বসে আছে।

হেদায়েত হোসেন লাকি ভাবির পাশে হাঁটু গেড়ে বসে কেঁদে উঠে বললেন, জাহিদ, আমি এখন এই পাগলটাকে নিয়ে কী করব?

লাকি ভাবি বিড় বিড় করে বললেন, হেদায়েত, আমাকে বাঁচাও।

জাহিদ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। কয়েক মুহূর্ত সে কিছু বলতে পারল না। একটা দেয়াল ঘড়ি চলছে-টিক টিক, টিক টিক। বাইরে রাতের নিস্তব্ধতা। শীত কুয়াশার জল পড়ছে-টুপ টুপ, টুপ টুপ।

লাকি ভাবি আবার বিড় বিড় করে বললেন, ওগো, শুনছ, আমি মরে যাচ্ছি...!

হেদায়েত হোসেন এবার বাচ্চা ছেলের মতো ভেউ ভেউ করে কেঁদে উঠলেন।

জাহিদ বলল, ভাবি, আপনার কিছু হবে না। আপনি ভালো হয়ে যাবেন। আমি অ্যাম্বুলেন্স কল করছি। আপনি একটু ধৈর্য ধরেন। ঘাবড়াবেন না। বলেই সে হেদায়েত হোসেনের দিকে তাকিয়ে বলল, হেদায়েত ভাই, আপনি একটা তোয়ালে ভিজিয়ে ভাবির মুখটা মুছে দিন। আমি এখনই একটা অ্যাম্বুলেন্স কল করছি।

হেদায়েত হোসেন ওঠার আগেই সজল বলল, আমি তোয়ালে নিয়ে আসছি।

জাহিদ তখনই ওয়ান-ওয়ান-ওয়ানে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকায় ব্যস্ত হয়ে উঠল।

অ্যাম্বুলেন্স এল ঠিক আধা ঘণ্টা পর। এরই মধ্যে জাহিদ একবার ভেবেছিল, হেদায়েত হোসেনকে সঙ্গে করে সে নিজেই লাকি ভাবিকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যাবে। কিন্তু পরক্ষণই তার মাথায় আসে, রাস্তায় যদি কিছু হয়ে যায়? তাই সে অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষায় থাকে।

অ্যাম্বুলেন্স এলে হেদায়েত হোসেন স্ট্রেচারের অপেক্ষা না করেই লাকি ভাবিকে পাঁজাকোলা করে অ্যাম্বুলেন্সের কাছে নিয়ে এল। সজল পেছনে পেছনে এল।

লাকি ভাবিকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতেই জাহিদ হেদায়েত হোসেনকে বলল, হেদায়েত ভাই, আপনি আর সজল অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে হাসপাতালে চলে যান। আমি গাড়ি নিয়ে আসছি।

হেদায়েত হোসেন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে সায় দিলেন।

অ্যাম্বুলেন্স সাঁই সাঁই করে চলে গেল।

জাহিদ তার স্লিপ আউটে ঢুকেই দেখল, আজমল হোসেন ঘুম থেকে উঠে সোফায় বসে দরজার দিকে তাকিয়ে আছেন। টিভিটা তখনো চলছে।

জাহিদ জিজ্ঞেস করল, স্যার, আপনি ঘুম থেকে উঠে গেছেন যে?

আজমল হোসেন বললেন, হ্যাঁ। এখানে কে যেন এসেছিল। কথাবার্তা শুনলাম। তখনই আমার ঘুম ভেঙে গেছে। লাউঞ্জে এসে দেখলাম, তুমি নেই।

: হেদায়েত ভাই এসেছিলেন।

: হেদায়েত এসেছিল কেন?

: লাকি ভাবি জেদ ধরে প্রেশারের অনেকগুলো ওষুধ খেয়ে ফেলেছেন।

: বলো কী! এখন কী অবস্থা?

: অ্যাম্বুলেন্স কল করে হেদায়েত ভাই লাকি ভাবিকে নিয়ে তাওরাঙ্গা হাসপাতালে গেছেন। সজলও গেছে। আমি এখন যাব। আপনি যাবেন?

: হ্যাঁ হ্যাঁ, আমিও যাব।

: তাহলে কাপড়চোপড় পরে তাড়াতাড়ি তৈরি হন। গরম কাপড় বেশি করে পরবেন। বাইরে অনেক শীত পড়েছে।

জাহিদ ও আজমল হোসেন স্লিপ আউট থেকে ত্বরিত একটা প্যান্ট শার্ট পরে, তার ওপর ভারী সুয়াটার ও একটা ভারী জ্যাকেট চাপিয়ে, গলায় একটা মাফলার পেঁচিয়ে তাওরাঙ্গা হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হলো। রাত তখন প্রায় বারোটা বাজে। শীতের রাত। রাস্তা-ঘাট প্রায় ফাঁকা। তাওরাঙ্গা শহরটা সমুদ্রের তীরে বলে, এখানে অত কুয়াশা পড়ে না। কিন্তু আজ বেশ কুয়াশা পড়েছে। রাস্তার প্রতিটা বাতির সামনে কুয়াশার স্তরটা স্তব্ধ হয়ে জমে আছে। বাইরের তাপমাত্রা এখন নিশ্চয়ই হিমাঙ্কের নিচে।

জাহিদ স্টেট হাইওয়ে টু ধরে যাচ্ছে। সেখান থেকে এলিজাবেথ স্ট্রিটে মোড় নিয়ে দিঘল ক্যামেরুন রোড ধরে তাওরাঙ্গা হাসপাতালে যাবে।

রাস্তায় দুই-একটা গাড়ি আসা-যাওয়া করছে। দুই-একটা পুলিশের গাড়ি ধীরে-স্থিরে টহল দিচ্ছে। দুই-একটা সিকিউরিটি অফিসারের গাড়ি। মধ্যরাতের একটা প্লেন যাচ্ছে ওপরের কুয়াশা ভেদ করে। তাওরাঙ্গা পোর্টে বড় একটা জাহাজ ভিড়েছে।

জাহিদ গাড়ি চালাতে চালাতে গাড়ির গ্লাস গলে বাইরে তাকাল। তাওরাঙ্গা পোর্টের সারি সারি থেমে থাকা স্পিডবোটগুলো থেকে সারি সারি আলোর রেখা আসছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্পিডবোটগুলোর আলোর রেখা ওঠানামা করছে। স্পিডবোটগুলোতে কোনো মানুষজন নেই। বহুতল বিশিষ্ট ক্রুজ শিপটার ছোট ছোট জানালা ভেদ করে ভেতরের আলো ছড়িয়ে পড়েছে বিন্দু বিন্দু হয়ে। জলের প্রতিবিম্বে আলোগুলো কেমন এলোমেলো হয়ে উঠছে।

হাসপাতালে পৌঁছে ইমার্জেন্সিতে ঢুকতেই জাহিদ ও আজমল স্যার দেখল, এরই মধ্যে লাকি ভাবিকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সজল আইসিইউর ভেতরে। কিন্তু হেদায়েত হোসেন আইসিইউর সামনের ছোট্ট লাউঞ্জের একটা চেয়ারে অসহায়ের মতো বসে আছেন।

জাহিদকে দেখা মাত্রই হেদায়েত হোসেন ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন। মনে হচ্ছে হাইপারটেনশন লাকি ভাবির নয়, হেদায়েত হোসেনের।

জাহিদ হেদায়েত হোসেনের পাশের চেয়ারে বসে জিজ্ঞেস করল, এখন ভাবির কী অবস্থা?

হেদায়েত হোসেন শিশুর মতো কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন, তোমার ভাবির শরীরের টেম্পারেচার খুব তাড়াতাড়ি কমে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্লাড প্রেশার ত্বরিত নেমে যাচ্ছে।

: আপনি বাইরে বসে আছেন যে?

: আমার ভেতরের পরিবেশটা সহ্য হচ্ছিল না।

: ভাবি কথা বলতে পারছেন তো?

: হ্যাঁ, এখনো কথা বলছে।

: আপনি ভেতরে ঢোকেন। আপনাকে এখন ভাবির পাশে থাকতে হবে। অন্তত ভাবিকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য।

হেদায়েত হোসেন চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। জাহিদ তুমিও আমার সঙ্গে ভেতরে চল। আমারও মানসিকভাবে সাপোর্টের প্রয়োজন।

জাহিদ জিজ্ঞেস করল, একসঙ্গে এত মানুষ আইসিইউতে ঢুকতে দেবে?

হেদায়েত হোসেন বললেন, আজমল স্যার এখানে থাকুক। তুমি আমার সঙ্গে ভেতরে আস।

জাহিদ সায় দিয়ে হেদায়েত হোসেনকে অনুসরণ করল। জাহিদ বুঝতে পারছে না, একসঙ্গে অনেকগুলো প্রেশারের ওষুধ খেয়ে ফেললে বাঁচার জন্য কতটুকু হুমকিস্বরূপ।

আইসিইউতে ঢুকে হেদায়েত হোসেন কিছুতেই তার কান্না থামাতে পারছেন না। যদিও তিনি শব্দ করে কাঁদছেন না। কিন্তু কান্নাটা যেন তার ভেতর থেকে ঠেলে ঠেলে উথলে উঠছে। সজল চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। লাকি ভাবির শরীরে পানিশূন্যতাও দেখা দিয়েছে। নার্স স্যালাইন ঝুলিয়ে পানিশূন্যতা দূর করার চেষ্টা করছে।

এরই মধ্যে লাকি ভাবি হেদায়েত হোসেনের হাত টেনে বিড়বিড় করে বললেন, আই লাভ ইউ। তুমি আমাকে বাঁচাও...!

হেদায়েত হোসেন এবার হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন।

ডাক্তার জাহিদকে বললেন, প্লিজ, আপনি ওনাকে বাইরে নিয়ে যান।

ব্যাপার ছিল অতি সাধারণ। হেদায়েত হোসেন ও লাকি ভাবির মধ্যে বাংলাদেশের তাদের সহায়–সম্পত্তি নিয়ে কী সব কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। লাকি ভাবি খুব জেদি। এ ছাড়া, তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এই বয়সেই তাকে নিয়মিত প্রেশারের ওষুধ খেতে হয়। তাই কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে লাকি ভাবি জেদের বশে হাতের কাছে পাওয়া প্রেশারের ওষুধগুলো একত্রে মুখে দিয়ে চাবিয়ে খেয়ে ফেলেন। হয়তো তিনি কাজটা জেদের বশে করেছেন। কিন্তু প্রেশারের ওষুধগুলো খাওয়ার পর তার টনক নড়ে। মনের ভেতর ভয় ঢুকে যায়। তার মধ্যে মৃত্যু চিন্তা এসে ভিড় করে।

অথচ তাদের দুজনের প্রেমের বিয়ে। বাংলাদেশে থাকতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয় নিয়ে মাস্টার্স করে হেদায়েত হোসেন একটা ওষুধ কোম্পানিতে বেশ ভালো বেতনেরই চাকরি পান। চাকরি পাওয়ার পরপরই লাকি ভাবিকে বিয়ে করেন। যদিও তাদের প্রেমের বিয়ে। কিন্তু লাকি ভাবি হেদায়েত হোসেনের দূর সম্পর্কের খালাতো বোন হওয়াতে পারিবারিকভাবেই জাঁকজমকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছরের মাথায় তারা অভিবাসী হয়ে নিউজিল্যান্ডে চলে আসেন। তাদের ছেলে সজলের জন্ম এই নিউজিল্যান্ডে।

হেদায়েত হোসেন ও লাকি ভাবির সংসারটা বলা যায় অনেকটা নির্ঝঞ্ঝাটই ছিল। ষোলো বছরের বিবাহিত জীবনে তাদের সম্পর্কের খুব একটা উত্থান-পতন হয়নি। নিয়মমাফিক স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে একটু-আধটুকু ঝগড়াঝাঁটি হতেই পারে। জাহিদ তাদের বাসার পেছনের স্লিপ আউটে বসবাস করতে এসে গত দেড় মাস ধরে এর বেশি কিছু দেখেনি। কিন্তু আজ?

লাকি ভাবি পুরো চার ঘণ্টা আইসিইউতে থাকার পর ভোর পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার আগে তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। ভেন্টিলেটর দিয়ে তাকে ঘণ্টাখানেক বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। (ক্রমশ)

মহিবুল আলম: গোল্ড কোস্ট, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া। ইমেইল: <[email protected]>