কানাডায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে দক্ষিণ এশীয়রা

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

কানাডায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ এশীয়রা। বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চার অনীহা ও বংশগত কারণে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকেন বেশি। বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বায়েস) আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলা হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এই কর্মশালা গত শনিবার (৮ ডিসেম্বর) টরন্টোর ডেনফোর্থের এক্সেস পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিউনিটির ৩০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় ডায়াবেটিস কানাডার প্রতিনিধি ফাজিলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন বায়েসের নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিন ও পরিচালক কাজী হাসান। সঞ্চালনা সহায়ক ছিলেন হেলথ কো-অর্ডিনেটর মো. মোহিতুল ইসলাম। ফাজিলা তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, ডায়াবেটিস দীর্ঘমেয়াদি ব্যাধি, যা মানবদেহে মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি করে ও মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিসের কারণে কানাডায় প্রতিবছর ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্ট্রোক, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক আর ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে কিডনি জটিলতা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

বায়েস আয়োজিত এ কর্মশালায় বলা হয়, কানাডায় বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ দক্ষিণ এশীয়র বসবাস। যা মোট জনসংখ্যার সাড়ে ৫ শতাংশ। তাদের বেশির ভাগ টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন। পরিমিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা, নিয়মিত শরীরচর্চা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে আনা ও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে কর্মশালায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, কানাডায় বাঙালি কমিউনিটির সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বায়েস নিয়মিত বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করছে। পরবর্তী কর্মশালার বিষয়গুলো হচ্ছে ক্যানসার প্রতিরোধ, হার্ট ও স্ট্রোক ঝুঁকি প্রতিরোধ এবং কিডনি রোগ প্রতিরোধ প্রভৃতি। বিজ্ঞপ্তি