বিজয় দিবস উপলক্ষে ইস্তাম্বুলে আলোচনা সভা

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরাসহ ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, থিংক ট্যাংক ও মিডিয়া প্রতিনিধিরা
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরাসহ ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, থিংক ট্যাংক ও মিডিয়া প্রতিনিধিরা

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে উস্কুদার বিশ্ববিদ্যালয়ে এক একাডেমিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে ‘ইমপোর্টেন্স অব হিস্ট্রি ইন সলিডিফাইং পার্টনারশিপ: রেফারেন্স টু বাংলাদেশ-টার্কি বাইল্যাটারাল রিলেশনস’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা গতকাল বুধবার (১২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দেনিজ উলকে আরিবোয়ান, সাংবাদিক আহমেদ চোস্কুনায়দিন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আরজু চিফতসুরেন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জেলাল তোপ্রাক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. নেভজাত তারহান । সভাপতিত্ব করেন ইস্তাম্বুলে নিয়োজিত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয়
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয়

এ ছাড়া, উপস্থিত ছিলেন ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, থিংক ট্যাংক ও মিডিয়া প্রতিনিধিরা।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যেকার ঐতিহাসিক যোগসূত্র সবিস্তারে বর্ণনা করে বলেন, এই যোগসূত্র দুই দেশের সম্পর্ককে ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্কে রূপদানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। দুই দেশের মধ্যেকার এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে তাঁদের জনগণের মধ্যেকার আদান-প্রদান, বিশেষ করে শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও সম্প্রসারিত করতে হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম
বক্তব্য দিচ্ছেন মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম

আহমেদ চোস্কুনায়দিন ও জেলাল তোপ্রাক সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ সফরের ওপর তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন এবং আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।

আরজু চিফতসুরেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কামাল পাশা’ কবিতা আবৃত্তি করেন এবং দুই দেশের মধ্যেকার বিরাজমান সংস্কৃতির সেতু বন্ধনের ওপর আলোকপাত করেন।

ড. নেভজাত তারহান তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ-তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও অর্থবহ ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে শিক্ষক, গবেষক ও ছাত্র সমাজের ভূমিকা ও অবদানের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ এশিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশ-তুরস্কের ইতিহাসের ওপর গবেষণার নিমিত্ত একটি সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন নেভজাত তারহান
বক্তব্য দিচ্ছেন নেভজাত তারহান

ড. দেনিজ উলকে আরিবোয়ান আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে এ ধরনের আয়োজনের জন্য কনস্যুলেটকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে দুই দেশের জনগণের বিশেষ করে তরুণ সমাজের মধ্যেকার পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সেতুবন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

উল্লেখ্য, বিজয় দিবসকে আরও উৎসবমুখর করার লক্ষ্যে ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেট আগামী ১৬ ডিসেম্বর কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে একটি বিজয়োৎসব আয়োজন করবে। বিজ্ঞপ্তি