তুর্কি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

বৈঠকের দৃশ্য
বৈঠকের দৃশ্য

তুরস্কের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ইমিনে আলপ মেসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী। গত বুধবার (১২ ডিসেম্বর) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তুরস্কের ওষুধ প্রশাসনের প্রধান ড. হাক্কি গুরসুজ মন্ত্রী ও দূতাবাসের প্রথম সচিব সবুজ আহমেদ রাষ্ট্রদূতকে আলোচনায় সহায়তা করেন।

এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন খাতে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও তুরস্ক স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ওষুধশিল্প ও মেডিকেল যন্ত্রপাতি শিল্পে বাংলাদেশ ও তুরস্কের অগ্রগতি প্রশংসনীয় ও উৎসাহব্যাঞ্জক।

বৈঠকের পর ইমিনে আলপ মেসেকে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেন এম আল্লামা সিদ্দীকী
বৈঠকের পর ইমিনে আলপ মেসেকে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেন এম আল্লামা সিদ্দীকী

বৈঠককালে তারা একমত হন, স্বাস্থ্যসেবা খাতে অর্জিত ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বিনিময়, জেনেরিক ড্রাগ ও মেডিকেল ডিভাইস আমদানি-রপ্তানি, বায়োটেক গবেষণার বিষয়ে সহযোগিতার অনেক সুযোগ দুটি দেশের মাঝে বিদ্যমান। এ ছাড়া, স্বাস্থ্য পর্যটন হতে পারে সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায়। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমাণ ওষুধশিল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সফরের জন্য তুর্কি প্রতিমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই প্রতিনিধিদলে তুরস্কের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনেরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। প্রতিমন্ত্রী প্রস্তাবিত সময়ে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, তুরস্কের নিজস্ব মেডিকেল ডিভাইস শিল্প এখন অনেক উন্নত। এ ছাড়া, দেশটি বছরে ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ আমদানি করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশের ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস তুরস্কে একটি ভ্যাকসিন রপ্তানি করছে। পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এ রপ্তানি আরও অনেকাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব। বিজ্ঞপ্তি