মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. নাজমুল ইসলাম
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. নাজমুল ইসলাম

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য অর্জিত হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সুইডেনের স্টকহোমে বাংলাদেশের দূতাবাস আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি এ ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের তাদের সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানো ও তাদের মনে দেশের প্রতি অনুরাগ ও কর্তব্যবোধ তৈরির জন্যও আহ্বান জানান।

মো. নাজমুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিচক্ষণ দিক-নির্দেশনা ও নেতৃত্বের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। ৩০ লাখ শহীদ, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি তাদের অতুলনীয় অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্জনের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি দলমত-নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের গৃহীত রূপকল্পসমূহ বাস্তবায়নে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন

সুইডেনের বাংলাদেশ দূতাবাসে মর্যাদা, উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে গত রোববার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি ও সুইডিশ নাগরিকেরা অংশগ্রহণ করেন। দিনের কর্মসূচির মধ্যে ছিল ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, প্রতীকী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, উপস্থিত প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মৃতিচারণ, রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সৌজন্য উপহার প্রদান ও নৈশভোজ।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে বাণী পাঠের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর উপস্থিত সকলে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম, কাউন্সেলর ও চ্যান্সারি প্রধান শেখ মো. শাহরিয়ার মোশাররফ, দ্বিতীয় সচিব সায়মা রাজ্জাকী ও মো. মোরশেদুর রহমান তালুকদার যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন। এরপর আগত সকলে প্রতীকী জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানান। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের আগুনঝরা দিনগুলোতে প্রত্যক্ষ সমর সংগ্রামের স্মৃতিচারণ করেন। এতে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

দ্বিতীয় পর্বে ছিল প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিজ্ঞপ্তি