মেক্সিকোতে বিজয় দিবস

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সুপ্রদীপ চাকমা
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সুপ্রদীপ চাকমা

উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মেক্সিকোতে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। মেক্সিকো সিটির দূতাবাস প্রাঙ্গণে গত রোববার (১৬ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী বিজয় দিবসের নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং চ্যান্সারি প্রাঙ্গণ জাতীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, বিজয় দিবসের পোস্টার ও অন্য সামগ্রী দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের সূচনা করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত চাকমা। এ সময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা দেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। বাংলাদেশ মধ্য আয়ের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি লাভে উপস্থিত সবাইকে তিনি অভিনন্দন এবং অর্থ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্য সামাজিক উন্নয়ন সূচকগুলোতে উন্নতির জন্য বর্তমান সরকারের কর্মসূচির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নয়নশীল দেশের রোল মডেল। তিনি দেশের উন্নয়ন ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেন, যাতে ভিশন-২০৪১-এর অভীষ্ট লক্ষ্যে আমরা সহজে পৌঁছাতে পারি। তিনি এ ক্ষেত্রে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয় ও ঘুণে ধরা সামন্তবাদী ভাবধারার বিপরীতে আধুনিক প্রগতিশীল আদর্শের বিজয় হিসেবে চিহ্নিত করেন।

আলোচনার পর বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ-জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তাদের ও প্রবাসীদের সন্তানেরা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে কবিতা ও গল্প উপস্থাপন করে। বিজ্ঞপ্তি