বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন

ফ্যাশন শো
ফ্যাশন শো

বঙ্গবন্ধু একটি সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বাধীনতা-উত্তরকালে বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে অবজ্ঞা করা হতো। সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। মরিশাসে বিজয় দিবসের আলোচনায় এ মন্তব্য করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একাঙ্কিকা
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একাঙ্কিকা

মরিশাসের বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে দেশটিতে মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দেশটির রাজধানী পোর্ট লুইসের সার্জ কনস্ট্যানটাইন থিয়েটার হলে গত রোববার (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পোর্ট লুইসের ডেপুটি মেয়র এহসান ইসমায়ী মামুদ, দেশটির সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন রেজিনা আহমেদ
বক্তব্য দিচ্ছেন রেজিনা আহমেদ

জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে পাঠ করা হয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী। এর আগে সকালে চ্যান্সারি ভবনে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

অতিথিদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা
অতিথিদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা

আলোচনা সভায় রেজিনা আহমেদ তার বক্তব্যে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অভ্যুদয়ের ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাস হাজার বছরের সংগ্রামের ইতিহাস, দুঃশাসন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন ও প্রতিরোধের ইতিহাস। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে দেশের অব্যাহত উন্নয়নধারায় প্রবাসীদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিজ নিজ ক্ষেত্রে দেশের জন্য অবদান রাখার মধ্যেই বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের সার্থকতা নিহিত। এটা হোক আজকের দিনের দৃপ্ত শপথ।

এহসান ইসমায়ী মামুদ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নতির প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-মরিশাসের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন এহসান ইসমায়ী মামুদ
বক্তব্য দিচ্ছেন এহসান ইসমায়ী মামুদ

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একাঙ্কিকা, গান, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য ও ফ্যাশন শো পরিবেশন করা হয়। প্রায় তিন শ অতিথি পুরো অনুষ্ঠান আনন্দভরে উপভোগ করেন। বিশেষ করে, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একাঙ্কিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করে। বিজ্ঞপ্তি