প্রবাসী বাবাদের দায়িত্ব

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

প্রবাসজীবন আসলে বাংলাদেশিদের জীবনে ভারসাম্য তৈরি করে। কীভাবে সেই গল্পই আজ বলব আপনাদের। আমাদের পরিবারে আমরা ছিলাম তিন ভাই। আমাদের বোন না থাকায় আমরা আসলে একমাত্রিক মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠেছিলাম। আমার মনে আছে ছোটবেলায় গোসল করে পরনের লুঙ্গিটা পর্যন্ত আমরা না ধুয়ে কলতলায় ফেলে রাখতাম। পরে মা গোসলের সময় সেটা ধুয়ে দিতেন। আর রান্নাঘরে খাবার রান্না করা থাকত। পাতিল থেকে প্রয়োজনমতো বেড়ে নিয়ে খেয়ে ফেলতাম। একটিবারের জন্যও ভাবতাম না, মায়ের জন্য পাতিলের তলায় কোনো ভাত অবশিষ্ট থাকল কিনা।

বিয়ের আগে পর্যন্ত বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা বা গোঁড়ামি নিয়েই বড় হয়েছিলাম। যেমন রান্নাটা শুধু মেয়েদের কাজ। সেই সঙ্গে বাচ্চাকাচ্চা লালনপালন করাও। কিন্তু বিয়ের পরে যখন প্রথম সন্তানের বাবা হলাম তখন বুঝলাম এগুলো আসলে বাবা-মায়ের সমান দায়িত্ব। মেয়েকে ফিডার খাওয়ানো থেকে শুরু করে ন্যাপি বদলানো গোসল করানো সবই একে একে শিখে গেলাম। আমি কখনোই ভাবিনি এই আমি কখনো বাচ্চার মলমূত্র পরিষ্কার করব। সেই আমিই ছুটির দিনগুলোতে সারা দিন আমার মেয়ের সঙ্গে কাটাতাম। অবশ্য ওর সঙ্গটাও দারুণ লাগত। আমার কোলেই সে প্রথম কথা বলতে শিখল।

আমার সহধর্মিণীর পোস্টিং ছিল টাঙ্গাইল আর আমার ঢাকায়। তাই মেয়ের মা শনিবার ও রোববার রাতে নাইট ডিউটির রোস্টারগুলো নিতে লাগল। তখন বাসায় শুধু আমি আর আমার মেয়ে। কথা বলা শেখার পর রাতে কোনো কিছুর দরকার পড়লে মেয়ে উঠে প্রথমেই বাবা বলে একটা চিৎকার দিত। আমি কোনোমতে হুড়মুড় করে উঠে জিজ্ঞেস করতাম কী লাগবে মা? তখন সে তার প্রয়োজনটা বলত। কখনো টয়লেটে নিয়ে যেতে বলত। আবার কখনো পানি খেতে চাইত। আমার মেয়ের বয়স এখন প্রায় নয় বছর। এখনো সে রাতে ঘুম থেকে উঠে প্রথম শব্দ যেটা বলে সেটা হচ্ছে বাবা। তখন বাবা হিসেবে আমার মনটা গর্বে ভরে যায়। এখানে বলে রাখা ভালো, মেয়ের মাকে ঘর সংসারের সব কাজ একাই করতে হতো। তাই আমি মেয়েকে রেখে তাকে যত্সামান্য সাহায্য করাতম। যার ফলে মেয়ে আমার ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে গেল।

এরপর একসময় প্রবাসে চলে এলাম পাকাপাকিভাবে। তখন শুরু হলো আমাদের প্রকৃত সংসারজীবন। কারণ দেশে আমরা আমাদের শ্বশুরের বাসারই একটা ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতাম। তাই আমাদের রান্না করতে হতো না। আমরা শুধু ফ্ল্যাট ভাড়া হিসেবে কিছু টাকা দিতাম। তাই যখন কেউ আমাকে বলত আমি ঘরজামাই তখন আমি তাকে শুধরে দিয়ে বলতাম, আমি দশমিক পাঁচ ঘরজামাই মানে অর্ধেক ঘরজামাই। প্রবাসে আসার পর আমি যথারীতি মেয়েকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো, আমি মেয়েটার শুধু বিনোদনের দিকটাই দেখভাল করতাম। কারণ আমার মনে হতো এত কম বয়সে আর এমন কীই বা পড়াশোনা করবে। কিন্তু একসময় বুঝতে পারলাম ওর সমবয়সী প্রায় সব বাচ্চাই স্কুলে যায় বা বাসায় শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করে। শিক্ষক রাখা সম্ভব না হলে বাবা বা মায়ের একজন দায়িত্ব নিয়ে ছেলেমেয়েকে পড়ায়। কিন্তু আমি যেহেতু বাস্তবতা বিবর্জিত মানুষ তাই এগুলোকে পাত্তা দিতাম না। আমি শুধু লেগে থাকলাম ওকে একজন পরিপূর্ণ মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ বানানোর কাজে।

অস্ট্রেলিয়ায় এসেই তাহিয়াকে সাঁতারে ভর্তি করে দিলাম। সেই সঙ্গে কিনে দিলাম সাইকেল, স্কেটিং সু আরও কত কী! পাশাপাশি ঘরের কাজেও হাত লাগলাম যতটা পারি। বাজার করা, কাপড় ধোয়া, এই কাজগুলো মোটামুটি আমিই করতাম। কিন্তু রান্নাটাকে আমার বরাবরই শিল্প মনে হয়। তাই রান্না করার ঝুঁকি নিলাম না। তবে তরকারি কুটে, মসলা এগিয়ে দিয়ে গিন্নিকে যথারীতি সাহায্য করে গেলাম। আমি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজে চলে যাই। তখন মেয়েটা থাকে ঘুমে। আবার যখন কাজ থেকে ফিরি তখন সন্ধ্যা হয়ে যায়। তাই মেয়েটার সঙ্গে খেলাধুলা করার সুযোগ পাই না। সেটা পুষিয়ে নিতে চাই ছুটির দিনে খেলাধুলা করে। অবশ্য সব সময়ই তা হয়ে ওঠে না। কারণ ছুটির দিনে অনেক কাজ জমা থাকে। এভাবেই মোটামুটি গা ছাড়াভাবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলাম। তবে প্রকৃতভাবেই আমি একজন কর্মজীবী মায়ের কষ্টটা অনুধাবন করতে শিখলাম গিন্নি কাজ শুরু করার পরে। এটা অনেকটা মিনা কার্টুনের মিনা আর রাজুর কাজ অদলবদল করার মতো ব্যাপার।

আমার অফিসের সময় ছিল সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। বাসা থেকে সকালে অফিসে যেতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। তাই আমি ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়তাম। বাসা থেকে স্টেশন প্রায় বিশ মিনিটের হাঁটা পথ। এরপর ট্রেনে প্রায় ঘণ্টাখানেক। এরপর আবার বাসে প্রায় আধা ঘণ্টার রাস্তা। সব মিলিয়ে একটা ক্লান্তিকর ভ্রমণ। ফেরার পথে আবার একইভাবে ফিরতে হয়। তবে স্টেশন থেকে গিন্নি পিক করাতে খাটুনি একটু কমে যেত। ক্লান্তিকর এই ভ্রমণ শেষ করে বাসায় ফিরে আর কিছুই করতে মন চাইত না। এভাবেই চলছিল। এখন সকালে একই সময়ে উঠি তবে বসকে বলে আমার অফিসে যাওয়ার সময় আটটা করে নিলাম। বস বললেন, এর চেয়ে আর কর্মঘণ্টা কমানো সম্ভব না। কারণ এটা একটা কনস্ট্রাকশন ফার্ম। তাই স্বাভাবিকভাবেই কাজ একটু বেশিই করতে হয়। আমাদের কোম্পানিটা সিডনির টপ টায়ার মেশনারি কন্ট্রাক্টর মানে ব্লক ও ইটের কাজ করে। আর এখানে বছর গেলে স্বাভাবিক নিয়মেই বেতনও বাড়ে। প্রথম বছর শেষে আমি ভুলে গিয়েছিলাম বলে সেটা পরে ইভ্যালুয়েট করে আগের টাকাটা পর্যন্ত এরিয়ার হিসেবে আমাকে দিয়ে দিয়েছিল। তাই আমি এই কোম্পানিটা ছেড়ে দেওয়ার ভাবনা কখনো মাথায় ঠাঁই দিইনি।

এখন প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গিন্নির জন্য নাশতা তৈরি করে তাকে বিদায় দিয়ে আমি লেগে যাই বাচ্চাদের টিফিন তৈরি করতে। তবে সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে সাতসকালে তাদের ঘুম থেকে তুলে রেডি করানো। তাই আমি বেশ আগে থেকেই ডাকতে থাকি। এরপর তাদের ব্রাশ করিয়ে, ন্যাপি বদলিয়ে তৈরি করার পালা। তৈরি হয়ে গেলে তাদের নিয়ে চাইল্ড কেয়ারে ড্রপ করা। এদিকে আমাকে ঘড়ির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হয়। কারণ ট্রেন কোনোভাবেই মিস করা যাবে না। এভাবে কোনোমতে ওদেরকে কেয়ারে ড্রপ করে ছুটতে হয় স্টেশনে। দৌড়ে কোনোমতে ট্রেন ধরে ছুটতে হয় অফিসের পথে। অফিস থেকে ফেরার সময়ও অনেক তাড়াহুড়া করে ফিরি। যদিও তাড়াহুড়া করার তেমন কিছু নেই। শুধু বাস ও ট্রেনে সময়মতো উঠতে পারলেই হলো। কিন্তু সেটাও অণু সেকেন্ডের ব্যবধানে আপনাকে ফেলে চলে যেতে পারে। তাই দৌড় দিতেই হয় বাধ্যতামূলকভাবে। আগে চলন্ত সিঁড়িতেও মানুষকে দৌড়াতে দেখলে মজা লাগত। কিন্তু এখন জানি প্রত্যেকটা মিনিটই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কেয়ার থেকে বাচ্চাদের তুলতে এক মিনিট দেরি হলে এক ডলার করে চার্জ করবে নিয়মিত চার্জের বাইরে।

বাসায় ফেরার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগের গল্পটা রীতিমতো যুদ্ধের গল্প। তাহিয়া–রায়ানকে গোসল করিয়ে তাদের খাইয়ে পড়তে বসাতে আমাকে অনেক শক্তি ক্ষয় করতে হয়। রায়ান কোনো কিছুই করতে নারাজ। সে শুধু চায় কেউ একজন তার সঙ্গে সারাক্ষণ খেলুক। কিন্তু একই সঙ্গে আমাকে থালাবাসন পরিষ্কার আবার কখনো রান্নাও করতে হয়। এরপর তাহিয়াকে নিয়ে বসলেই সে বিদ্রোহ শুরু করে। তাই বাধ্য হয়ে সব কাজ ফেলে আমাকে তার সঙ্গে কুস্তি লড়তে হয়। ইতিমধ্যেই তার মা ফিরে এসে গোসল দিয়ে খেয়েই বিশ্রাম নেওয়া শুরু করে। কারণ সকাল আর বিকেল মিলিয়ে তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা ড্রাইভ করতে হয়। এরপর একসময় আমরা ঘুমাতে যাই। কিন্তু রায়ানের খেলা তখনো শেষ হয় না। এ ছাড়া, প্রায় প্রতি মাঝরাতেই রায়ান ঘুম থেকে উঠে প্রায় ঘণ্টাখানেক জেগে থাকে। এই হচ্ছে প্রতিদিনকার রুটিন।

এভাবে সপ্তাহের পাঁচটা দিন কাটিয়ে আসে ছুটির দুই দিন। এই দুটো দিন আরও বেশি ব্যস্ততায় কেটে যায়। শনিবার সকালে প্রথমে মেয়েকে সাঁতারে নিয়ে যাওয়া। তারপর সেখান থেকে কোচিংয়ে নামিয়ে দিয়ে আবার বাসায় ফিরে ছেলেকে সাঁতারে নিয়ে যেতে হয়। ছেলের সাঁতার শেষ হলে সেখান থেকে বাজার করে বাড়ি ফেরা। সেই সময় গিন্নি বাসা পরিষ্কার, কাপড় ধোয়া ও নাড়তে দেওয়ার কাজগুলো করে ফেলেন। এরপর শুরু হয় রান্নার পর্ব। আমি যথারীতি সেখানেও হাত লাগাই। এভাবেই চলে যায় শনিবার। রোববার সকালে থাকে মেয়ের বাংলা শেখার স্কুল। সকালে উঠে নাশতা ও চা বানিয়ে সবাইকে নিয়ে নাশতা খেয়ে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। মেয়ের স্কুল শেষ হতে হতে আমরা বাসার আনুষঙ্গিক কাজগুলো সেরে ফেলি। ওই দিন বিকেলটা শুধু আমরা একটু অবসর পাই। কিন্তু তখন আর বাইরে যাওয়ার মতো শক্তি থাকে না। কারণ পরদিন সকাল থেকে আবার ঘড়ির কাটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়াতে হবে। তবুও মাঝেমধ্যে পরিচিত কেউ দাওয়াত দিলে সেখানে যাওয়া হয়।

সংসার শুরু করার মুহূর্ত থেকে অস্ট্রেলিয়া এসে আমার গিন্নির কাজ শুরু করার আগে পর্যন্ত আমি একরকম হাওয়া লাগিয়েই জীবন কাটিয়েছি। কিন্তু গিন্নি কাজ শুরু করার পর আমি যখন সত্যিকার অর্থে তার কাজগুলো করা শুরু করলাম তখন বুঝলাম সংসারে কত অর্থহীন কাজ করতে হয়। বিশেষ করে ঘরদোর গোছানো, থালাবাসন ধোয়া এই কাজগুলো কখনোই খালি চোখে গুরুত্ব পায় না। কিন্তু করতে গেলে বোঝা যায় এগুলো ঠিক কতটা সময় সাপেক্ষ। এরপর রান্না করতে গিয়ে বুঝলাম সেটা কতখানি কঠিন কাজ। রান্নার প্রত্যেকটা উপাদান সঠিক রেখে ভালো স্বাদের কোনো কিছু রান্না করা আসলেই অনেক কঠিন। যেটা মেয়েরা অর্জন করে দীর্ঘদিনের রান্নার মধ্যে দিয়ে। আর আমরা সেটা খাওয়ার সময় হয়তো অনেক সময় বলে ফেলি রান্নাটা ভালো হয়নি। আমি রান্না করার সময় তাই গিন্নিকে বারবার জিজ্ঞেস করি, কোন উপাদানটা কখন কী পরিমাণে দিতে হবে। এর বাইরে ছেলেমেয়েদের যত্নআত্তির ব্যাপারটাও আয়ত্ত করছি ধীরে ধীরে। এখন বুঝতে পারছি একজন মা তার সন্তানকে জন্ম দিতে গিয়ে যেমন পৃথিবীর সবচেয়ে কষ্টদায়ক ব্যাপারটার মধ্যে দিয়ে যান, ঠিক একইভাবে সেই সন্তানকে বড় করতে গিয়ে একইরকম মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যান। আমি আমার অবসরে মেয়েকে নিয়ে যতটুকু সময় পড়াতে বসেছি সেটা থেকেই এই উপলব্ধি হয়েছে। তাই সংসারে আসলে নারীর কাজ বা পুরুষের কাজ এমনভাবে ভাগ করে কোনো কাজ নেই। নারী-পুরুষ দুজনকেই দুজনের কাজকে মূল্যায়ন করতে হবে, অর্থের সংস্থানের বিবেচনা ব্যতিরেকে।

আমার মনে হয় মানুষের জীবন পূর্ণতা পায় বিয়ে করার মধ্যে দিয়ে। একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের প্রতি কতটা সহানুভূতিশীল সেটা বোঝা যায় সংসার শুরু করলে। একজন প্রেমিক তার প্রেমিকার কাছে সব সময় ভালোগুণগুলোকেই হাইলাইট করে। হোক সেটা প্রেম টিকিয়ে রাখা বা অন্য যেকোনো কারণে। কিন্তু একজন মানুষের সঙ্গে সংসার করলে জীবনের বাস্তব দিকগুলো সম্বন্ধে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। সেগুলো মোকাবিলা করার শিক্ষাও পাওয়া যায় হাতেকলমে। তাই সংসার জীবন মসৃণ কোনো সুখের জীবন নয়। বরং এখানে একই সঙ্গে রচিত হয় আনন্দ ও বেদনার কাব্য। এটাকেই আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়। কারণ একজন মানুষের মধ্যে ভুলত্রুটি থাকবেই। আর সেই সব মিলিয়েই সে পরিপূর্ণ মানুষ। সংসার জীবনের স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে আমি বলি সম্পর্কের ময়লা। দীর্ঘ পথচলার ক্লান্তিতে একজন অন্যজনের বিষয়ে কিছু ধারণা মনের মধ্যে পোষণ করে। ঠিক একইভাবে অন্যজনও একইরকম ধারণা পোষণ করতে পারে। তাই যখন তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগে তখন তারা তাদের নিজস্ব রাগগুলো ঝেড়ে ফেলে। এতে করে একদিকে যেমন নিজে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়, ঠিক একইভাবে অন্য পক্ষের জোরালো মতামতও জানা যায় এবং সেই মোতাবেক নিজেকে শুধরে নেওয়া যায়।

প্রবাসী একজন বাবা হিসেবে তাই সকল প্রবাসী বাবার প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ থাকবে, আমরা যেন আমাদের অর্ধাঙ্গিনীদের কষ্টগুলোকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করেই থেমে না গিয়ে সেগুলোকে লাঘব করার সাধ্যমতো চেষ্টা করি। তাহলেই সংসার জীবনটা হয়ে উঠবে হাসি আনন্দে ভরপুর।

লেখকের ইমেইল: <[email protected]>