গাঁও গেরামের গপ্প

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

অগ্রহায়ণ মাসের শেষ সপ্তাহ চলছে। প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা। সন্ধ্যার দিকে তেমন শীত না পড়লেও মাঝরাতের পর থেকে একটু একটু করে ঠান্ডা পড়তে শুরু করে। যেটা ভোরবেলায় বেশ শীতে রূপ নেয়। আর গ্রামবাংলায় যেহেতু বায়ুদূষণ কম, তাই শীতের মাত্রা শহরের তুলনায় একটু বেশিই অনুভূত হয়।

চর কাতরা পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার অন্তর্ভুক্ত একটা গ্রাম। গ্রামের নামের শুরুতে চর শব্দটাই গ্রামের প্রকৃতির রূপ বুঝিয়ে দিচ্ছে। একসময় সেখান দিয়ে প্রমত্তা পদ্মা নদী বয়ে যেত। পদ্মা নদীর ভারতের অংশে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের পর থেকেই পদ্মা নদীর গতিবিধি বোঝা দায় হয়ে গেছে। এই জায়গাটা দিয়ে একসময় পদ্মা নদীর প্রবল স্রোত বয়ে যেত। এরপর সেখানে ধু ধু চর পড়ে যায়। তারপর সেখানে মানুষ বসতি স্থাপন করলে একসময় সেটা লোকালয়ে পরিণত হয়।

এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা ওতপ্রোতভাবে নদীর সঙ্গে জড়িত। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বর্ষায় পদ্মার দুকুল ছাপিয়ে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়। বর্ষাকাল শেষে সেই পানি যখন নেমে যায় তখন আবাদি জমির উপরিভাগে পুরু বেলে দোআঁশ মাটির স্তর জমা হয়। সেই মাটিতে যেকোনো শস্য বুনলেই কোনো প্রকার যত্ন ছাড়াই ভালো ফলন পাওয়া যায়।

ঠিক একইভাবে নদীর মাঝখানেও চর জেগে ওঠে। অবশ্য সেই চরের দখল নিয়ে প্রতিবারই কাইজ্যা (মারামারি) লাগে। আর মানুষ কোর্ট কাচারি উকিল পুলিশ করতে করতে দিনে দিনে নিঃস্ব হয়ে যায়। এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা খুবই অনাড়ম্বর। এখানে জীবনের বিনোদনের সব উপকরণ প্রকৃতি থেকে নেওয়া। এখানে গরমের রাতে নাইওরে বেড়াতে আসা ছেলেমেয়ের সন্তান সন্ততিদের নিয়ে নানা-নানিরা উঠোনে বিশাল বিছানা পেতে রূপকথার গল্প বলেন। আর সেই গল্প শুনতে শুনতে চাঁদের দিকে চেয়ে চেয়ে বাচ্চারা ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায়, আর স্বপ্নে রূপকথার রাজ্যে ঘুরে বেড়ায়।

এমনি এক সময়ে কেরামত আলীর বাড়িতে রাজ্যের মানুষের ভিড়। এগারো মেয়ের প্রায় সবাই তাঁর বাড়িতে নাইওরে এসেছে সেবার। তাদের এক দঙ্গল ছেলেমেয়ে সারা বড়িময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এত আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যেও কেরামত আলী কিছুটা চিন্তিত। তার দশ নম্বর মেয়ে হাসিনার সেবারই প্রথম সন্তান হবে। হাসিনার শ্বশুর বেঁচে নেই। শাশুড়িই সব নিয়ন্ত্রণ করেন। বিয়ের সময় বেয়াইনের কথায় যৌতুকও দিতে হয়েছে। কেরামত আলী প্রস্তাবটা হাতছাড়া করেননি। কারণ ছেলের বংশ ভালো। ছেলের দাদা ছিলেন পণ্ডিত মানুষ। নজর আলী পণ্ডিত নামে সবাই তাকে একনামে চিনত।

ছেলের বাবা অবশ্য রোগে অকালেই মারা গেছে। তারপর থেকে ছেলের পাঁচ-ভাইবোন তাদের নানাবাড়িতেই মানুষ হয়েছে। ছেলের গায়ের রংও তার বেয়াইনের মতো ময়লা। কিন্তু দেখতে সুপুরুষ। আর যত দূর খোঁজ নিয়ে জেনেছেন কোনো বদভ্যাস নেই। তাই ছেলের মা যৌতুক দাবি করার পরও কেরামত আলী পিছপা হননি। ওই ছেলের সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।

এখন যদি হাসিনার প্রথম সন্তান ছেলে না হয় তাহলে হয়তো মুশকিল হয়ে যাবে। কারণ তার বেয়াইন অনেক মুখরা চরিত্রের মানুষ। কটুকথা শোনাতে ছাড়বেন না। সন্ধ্যা থেকেই মেয়েটার ব্যথা উঠেছে। এই মেয়েটা তার বিশেষ আদরের। কারণ এই মেয়ে তার নিজের গায়ের রঙের মতো উজ্জ্বল গৌড় বর্ণ পেয়েছে। তাই সন্ধ্যা থেকেই বারান্দায় কেরামত আলী জায়নামাজ নিয়ে বসেছেন। নফল নামাজ পড়ার পাশাপাশি দোয়া দরুদ পড়ে আল্লাহর দরবারে দোয়াও করেছেন। আরও একটা কারণ আছে তার জেগে থাকার। মেয়ের ছেলে সন্তান হলে আজান দিতে হবে। মাঝরাতের দিকে মেয়ের কোঁকানো শব্দটা গোঙানিতে রূপ নিল। এর একটু পরই তার কানে নবজাতকের কান্নার স্বর ভেসে এল। দাই এসে জানাল তার মেয়ের ছেলে সন্তান হয়েছে। খবরটা পেয়েই কেরামত আলী জায়নামাজে দাঁড়িয়ে আজান দিতে শুরু করলেন—‘আল্লাহু আকবর’। তারপরে শুয়ে পড়লেন।

খুব ভোরে পাশের মসজিদে ফজরের নামাজের আজান শুনে কেরামত আলী জোর করে ঘুম থেকে উঠে পড়লেন। কলপাড়ে গিয়ে অজু করে মসজিদের দিকে রওনা হলেন। মসজিদে আগত সকল মুসল্লিদের তার নাতির আগমনের খবর দিলেন। নামাজ শেষ করে ফিরতে ফিরতে পুব আকাশে সূর্য উঁকি দিল। বাড়ি ফিরেই নতুন অতিথিকে কোলে নেওয়ার জন্য তিনি তোড়জোড় শুরু করলেন। তাঁর আগ্রহ দেখে জয়তুন বিবি কয়েক ঘণ্টা আগে জন্ম নেওয়া নাতিকে তাঁর কোলে তুলে দিলেন।

নাতিকে কোলে নিয়ে কেরামত আলী বারান্দার কোনায় বসলেন। সেখানে তখন সকালের রোদ এসে পড়ছে। নাতিকে কোলে নিয়ে কেরামত আলী অবাক হয়ে গেলেন। সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চা সাধারণত এক কোল থেকে অন্য কোলে যাওয়ার সময় একটু হলেও কান্নাকাটি করে। কিন্তু তার এই নাতিটা কান্নাকাটি দূরের কথা তাঁকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। এমনকি চারপাশের পরিবেশের প্রতিও তার অসীম আগ্রহ দেখা গেল।

কেরামত আলী বারান্দার কোনায় বসার সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার অনেক নারী তার বাড়িতে ভিড় করতে শুরু করল নতুন শিশুকে দেখার জন্য। কেরামত আলীর নাতি তাদের দিকে ঘুরেঘুরে তাকাতে লাগল। নাতির এই কাণ্ড দেখে কেরামত আলী তার গিন্নি জয়তুন বিবিকে বললেন, তোমার এই নাতি অনেক দেশ-বিদেশ ঘুরবে আমি বলে রাখলাম। আর তার অনেক সাহসও হবে। আমরা তো তখন থাকব না। মেয়েকে বলে রেখ যেন মিলিয়ে নেয় আমার কথা। ওর এই সময়ের নড়াচড়া দেখে আমার মাথায় এই কথাগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে।

কেরামত আলী একটু গলা চড়িয়ে তাঁর গিন্নিকে বললেন, আচ্ছা নতুন নাতির কি কোনো নাম ঠিক করেছ? জয়তুন বিবি উত্তর দিলেন আগে থেকেই তার মাথায় একটা নাম ঘুরপাক খাচ্ছে। মেয়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে হাসিনার ছেলের নাম হওয়া উচিত হাসানুজ্জামান। কেরামত আলী উত্তর দিলেন, বাহ গিন্নি, তোমার মাথায় তো দেখি অনেক বুদ্ধি। নামটা আমারও পছন্দ হয়েছে। তখন ঘরের ভেতর থেকে জয়তুন বিবি বললেন, কিন্তু নামটা বেয়াইন সাহেবের পছন্দ হলে হয়। উনি তো আবার কারও কথা শোনেন না। নাম পছন্দ না হলে উনি আবার ওনার মতো করে নাম রাখবেন। কেরামত আলী বললেন, যা হোক, এখন বেয়াইন বাড়িতে খবর দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আজকে হাটবার কাশিপুরে হাট বসবে। হাটে নিশ্চয় চর ভবানীপুর থেকে লোকজন আসবে। তাদের কাউকে দিয়ে খবর পাঠালেই উনি খবর পেয়ে যাবেন।

স্বামীর এমন কথা শুনে জয়তুন বিবি ঠোঁটে কামড় দিয়ে বললেন, ভুলেও এমন কাজ না করতে। এই নাতি বেয়াইনের বংশের প্রথম নাতি। তাই তার আগমনের খবর দিতে হবে ঘটা করে। তা না হলে বেয়াইন সার গোস্সা করবেন নিশ্চিত। শুনে কেরামত আলী বললেন, তাহলে তুমি কী করতে বল। জয়তুন বিবি বললেন, কাউকে বাজারে পাঠিয়ে মিষ্টি আনানোর ব্যবস্থা করেন। একজন সাইকেল চালিয়ে খবর দিতে যাবে। তাহলে একটু তাড়াতাড়ি যেতে পারবে। না হলে পায়ে হেঁটে গেলে দিন শেষ হয়ে যাবে।

চর ভবানীপুরও চর কাতরার মতো পদ্মার গতি পরিবর্তনের ফলে জেগে ওঠা চর। সেখানে যেতে হলে একটা খালের মতো নদী পার হতে হয়। আর বাকি পথ হেঁটে যেতে হয় বা গরুর গাড়িতে। সাধারণত নারীরা গরুর গাড়িতে আসা যাওয়া করেন। গরুর গাড়ির ওপরে একটা ছই বসিয়ে তার দুই পাশের খোলা মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছইয়ের মধ্যে বসেই নারীরা কখনো বাপের বাড়িতে নাইওরে আসেন, আবার বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে ফিরে যান। আর সামর্থ্যবান পুরুষেরা সাইকেল চালিয়ে যাতায়াত করেন। অবশ্য সাইকেল চালিয়েও তেমন একটা সুবিধা করা যায় না। কারণ রাস্তার অনেক অংশেই বালি। সেখানে সাইকেল ঠেলে নিতে হয়। শুধু শক্ত মাটির অংশটুকুতে চালিয়ে যাওয়া যায়। এতে করে কিছুটা সময় বাঁচানো যায়।

চর কাতরা ও চর ভবানীপুরের মধ্যে একটাই তফাৎ। সেটা হলো চর কাতরা পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার অধীনে। আর চর ভবানীপুর কুষ্টিয়া জেলার সদর থানার অধীনে। অনেকেরই হয়তো বিশ্বাস হবে না, কুষ্টিয়া সদর থানার অধীনে এমন একটা গ্রাম আছে। চর ভবানীপুর থেকে কুষ্টিয়া সদরে যেতে দুটি নদী পার হতে হয়। পদ্মা আর গড়াই। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার থেকে পদ্মা নদীর একটা শাখা বের হয়ে শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। সেটার নামই গড়াই। পদ্মা নদী পার হওয়ার পর হরিপুর। তারপর গড়াই নদী পার হলেই কুষ্টিয়া সদর।

বর্ষার সময় পদ্মা নদীর দুকূল ছাপিয়ে পানি আশপাশের গ্রামগুলোকেও প্লাবিত করে। আর বন্যার পানি চলে গেলে মাটির উপরিভাগে পুরু বেলে দোআঁশ মাটির স্তর পড়ে মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়িয়ে দেয়। তাই এ সব এলাকায় বন্যা যেমন অভিশাপ তেমনি আশীর্বাদেরও। বর্ষার সময় পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় সবাই আল্লাহর নাম নিয়ে দোয়া দরুদ পড়তে পড়তে পার হন। কারণ কোনোভাবে নৌকা ডুবে গেলে অনেককেই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ইঞ্জিনের নৌকার চল তখনো সেভাবে শুরু হয়নি। তাই নৌকাই এতমাত্র ভরসা।

শুকনা মৌসুমে পদ্মার বুকে দেখা দেয় ধু ধু সাদা বালির চর। নদীর খুব সামান্য অংশেই পানি থাকে। সেটুকু পার হয়ে বাকি পথ হেঁটে যেতে হয়। বালির মধ্যে পায়ে হেঁটে খুব একটা এগোনো যায় না। কারণ এক পা সামনে ফেলে সেই পায়ে ভর দিয়ে পেছনের পা এগিয়ে আনতে গেলেই সামনের পাটা কিছুটা পিছিয়ে যায়। তখন চর ভবানীপুরের বেশির ভাগ মানুষেরই পায়ে কোনো চপ্পল থাকত না। দু-একজনের পায়ে রাবারের স্যান্ডেল সবে দেখা যেতে শুরু করেছে। বেশির ভাগ লোকই তখনো সস্তার টায়ারের তৈরি এক ধরনের স্যান্ডেল ব্যবহার করতেন। তবে বালির মধ্যে স্যান্ডেল পরে হাঁটা আরও মুশকিল হতো। সবাই স্যান্ডেল বগলে নিয়ে হাঁটতেন। কারণ তাদের দুই হাতে কোনো না কোনো কিছু থাকতই। চর ভবানীপুরের লোকজন প্রশাসনিকসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কুষ্টিয়ায় যেতেন না।

চর ভবানীপুরের দৈনন্দিন কাজকর্ম সমস্তই ছিল পাবনা কেন্দ্রিক। প্রায় প্রতিদিনই তারা পাবনা যাওয়া আসা করতেন। কারণ পাবনা যেতে কোনো নদী পার হতে হতো না। তাই কেরামত আলী ভেবেছিলেন কাশিপুর হাটে যাচ্ছে এমন কাউকে তার নাতি হওয়ার খবর দিলে সে চর ভবানীপুরে কাউকে সেই খবরটা দিয়ে দিলে সেটা তার বেয়াইনের কাছে পৌঁছে যাবে। কিন্তু জয়তুন বিবির ধমকে সেটা বাতিল করে দিতে হলো। কেরামত আলীর মেজো ছেলে আমবাজের ওপর দায়িত্ব পড়ল খবর পৌঁছে দেওয়ার। ছোট ছেলে শেরআলী সাইকেল চালাতে জানলেও সে যেতে রাজি হলো না।

আমবাজ আলী পাশের ঘোষের দোকানে গিয়ে মিষ্টির অর্ডার দিয়ে এল। সকাল সকাল রওনা দিতে হবে। না হলে রোদের ঝাঁজ বেড়ে গেলে যেতে কষ্ট হবে। তখনো মিষ্টির প্যাকেটের চল শুরু হয়নি। ঘোষের বাড়ি থেকে দুই হাঁড়ি মিষ্টি নিয়ে আমবাজ আলী হাঁটা শুরু করলেন। কিছু দূর হাঁটার পরেই পদ্মার শাখা নদী। বড় গাঙ পার হয়ে দীর্ঘ হাঁটা রাস্তা। আমবাজ আলী একটা হাঁড়ি মাথায় আর অন্য হাঁড়িটা হাতে নিয়ে হেঁটে চললেন। মাঝেমধ্যে রাস্তার পাশের বাবলা গাছের ছায়ায় বসে বসে বিশ্রাম নিয়ে নিচ্ছিলেন। চর এলাকাগুলোতে শস্যের বাইরে তেমন কোনো একটা গাছের দেখা পাওয়া যায় না। তবে পথে কিছু বাবলা গাছ বড় হয়ে ওঠে নিদারুণ অযত্নে। একসময় চর ভবানীপুরে পরিজান বিবির বাড়ি এসে পৌঁছায় আমবাজ আলী।

আমবাজ আলী তার মাওই মাকে (বোনের শাশুড়ি) মনে মনে একটু ভয়ই করত। সে জানে উনি কোনো রাখঢাক না করে মুখের ওপর উচিত কথা বলে দেন। একটু পরেই পরিজান বিবি এসেই আমবাজ আলীকে প্রথম প্রশ্ন করলেন, আমার ইয়াকুব কেমন আছে? আমবাজ আলী মনে মনে চিন্তা করল, মাওই মা হয়তো নাতি হলে ইয়াকুব নামকরণ করবেন সেটা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন। তাই আমবাজ আলী আর সাহস করে তার মায়ের রাখা নামটা বলল না। আসলে পরিজান বিবি অনেক আগেই তার নাতির কিছু নাম ঠিক করে রেখেছিলেন। ছেলে হলে ইয়াকুব। আর মেয়ে হলে নাম রাখা হবে আয়েশা বা ফাতেমা। শেষ পর্যন্ত দাদি পরিজান বিবির দেওয়া নাম ইয়াকুবই চূড়ান্ত হয়। নানা কেরামত আলী ও নানি জয়তুন বিবির পছন্দের হাসানুজ্জামান নামটা তাদের পক্ষে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে নানা কেরামত আলীর ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়েছে। তাঁর নাতি ইয়াকুব সত্যি আজ থিতু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়।