অ্যারিজোনায় পিঠা উৎসব
নবান্নে গোলা ভরা ধানের স্বস্তি। শীতের আমেজ আর হরেক রকম ঝকমারি পিঠার ম-ম গন্ধে ভেসে যাওয়া বাতাসের দোলা। এ যেন সব বাঙালির ডিএনএতে গভীরভাবে খোদাই করা আছে। এমন প্রাণের ডাক, রক্তের আহ্বান অগ্রাহ্য করি কীভাবে আমরা। বিদেশবিভুঁইয়ে বাস করছি তাতেই বা কী। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফিনিক্সের (ব্যাপ) পক্ষ থেকে প্রিয় বাসারের এমন নিমন্ত্রণপত্র উপেক্ষা করার উপায় কি আছে? বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে রয়েছে পিঠা। বাঙালি শীতকে বরণ করে নেয় পিঠা উৎসবের মাধ্যমে।
‘হেমন্তের ওই ধানের খেতে কৃষকেরা উঠেছে মেতে, বুকভরা সুখ আনন্দেতে’—বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য পিঠা উৎসবটি গত শনিবার (২৬ জানুয়ারি) অ্যারিজোনার লাভিন সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসী বাঙালিদের এই অনুষ্ঠানটি ছিল গত ১৮ বৎসরের মধ্যে ব্যাপের সবচেয়ে উৎসবমুখর পিঠা উৎসব। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও বাচ্চাদের উপস্থিতি অনুষ্ঠান স্থানে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
উৎসবে সকলের আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন ধরনের ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ পিঠা, তেলের পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, পাকন পিঠা, কলা পিঠা, নকশা পিঠা ও পায়েস থেকে শুরু করে সব ধরনের খাবার। পিঠা শুধু সুস্বাদু আর স্বাস্থ্যকর খাবার নয়, বিভিন্ন আকৃতি এ নকশার দৃষ্টি নন্দন পিঠা শৈল্পিক রুচিও বহন করে। এ ছাড়া সাসমিন, তাহসিন, সাজমা ও আরিয়ানা ভলান্টিয়ারি দুটি স্টল দিয়ে সম্পূর্ণ অর্থ মানবকল্যাণকর কাজে ডোনেট করেছে। যা আমাদের সকলের জন্য শিক্ষণীয়।
অনুষ্ঠানে আরও ছিল বাচ্চা ও বড়দের জন্য হরেক রকম খেলাধুলার আয়োজন। এ ছাড়া সকলে অধীর আগ্রহ ভরে উপভোগ করেন রেজা, আশফাক ও তানমির উপস্থাপনায় স্টেজ গেম শো। শামীম ভাই ও স্বাধীনের বিংগো উপস্থাপনা সকলে আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করেন। বিভিন্ন খেলায় বিজয়ী হয়েছে আশফাক, ইব্রাহীম, মুক্তি, নিশা, পাটওয়ারী, মিজান, নায়লা, শাকিল, মাহফুজ ভাই, ফিরোজা বেগম এবং টাগ অবের বিজয়ী দল ওয়েস্ট ভ্যালি।
চমৎকার আয়োজনে সবাই যেন প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিচ্ছিল। ব্যস্ততার জীবনে এ যেন শান্তির পরশ বুলিয়ে যাওয়া। সবাই সবার মতন উপভোগ করেছেন।
যারা এই অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে তারা হলো তৌহিদ, রহমান, স্বাধীন, ইকবাল, কাজী, মুজাহিদ, বাবলু, শামীম, রীতা ভাবি, রীমা ভাবি, শামীম ভাই, রুমী ভাই, আকন্দ ভাই, ডলার ভাই, আশফাক, আসিফ, রেজা, মোকারম, তানমি, শিরিন, বাশার ও ওয়েস্ট ভ্যালির আরও অনেকে। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও পরিচালনায় ছিল তানমি।