কর্মময় জীবনের মাধ্যমে স্ট্রোক-ঝুঁকি কমানো সম্ভব

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

অলস জীবনযাপন পরিহার করে কর্মময় সচল জীবনযাপনে অভ্যাস করার মাধ্যমে স্ট্রোক–ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বায়েস) আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলা হয়। গত শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) টরন্টোর ডেনফোর্থ অ্যাভিনিউয়ের বায়েসের কার্যালয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটির বেশ কিছুসংখ্যক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বায়েসের নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিনের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার সঞ্চালক ছিলেন বাংলাদেশি চিকিৎসক ও বায়েসের আজীবন সদস্য এহসান উল আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস মেলিটাস, ধূমপান, মেদ, রক্তে বেশি চর্বি থাকা লোকদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। কানাডায় ৬ শতাংশ মৃত্যু হয় স্ট্রোকের কারণে। কানাডীয়দের মৃত্যুর অন্য কারণের মধ্যে এর স্থান তৃতীয়। স্ট্রোকে মৃত্যুহার রোধে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধূমপান পরিহার ও বেশি চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা, প্রচুর ফলমূল ও শাক–সবজি খাওয়া এবং নিয়মিত শরীরচর্চা ও কর্মময় জীবনযাপনের মাধ্যমে স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্ভব।

কর্মশালায় আরও বলা হয়, কায়িক পরিশ্রম না করা, অনিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়া, ওজন বৃদ্ধি ও মানসিক চাপ স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ায়। নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপানও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। মেডিটেশন করা, অতিরিক্ত চর্বি ও লবণজাতীয় খাবার পরিহার করা, নিয়মিত পরিশ্রম করার মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।

ইমাম উদ্দিন উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শুধু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য নয়, চাকরি, শিক্ষা, সেটেলমেন্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে বায়েস কমিউনিটির লোকদের সাধ্যমতো সহায়তার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। যাতে কানাডায় অবস্থানরত বাঙালিরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন। বিজ্ঞপ্তি