একুশে সংস্কৃতি রক্ষার এক অবিনাশী চেতনা

অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ
অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ

একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনা শুধু বাঙালি সংস্কৃতিরই নয় বিশ্বের বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি রক্ষার এক অবিনাশী চেতনা। তাই ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দান করেছে। তুরস্কের আঙ্কারায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী স্বাগত বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের সঙ্গে অতিথিরা
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের সঙ্গে অতিথিরা

রাষ্ট্রদূত ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির সব শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যাঁর অসামান্য নেতৃত্বগুণে ১৯৪৭ সাল থেকে দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বিশ্ব মানচিত্রে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাগত বক্তব্যের শুরুতেই তিনি ঢাকার চকবাজারে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহত ব্যক্তিদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ ও অনুষ্ঠানে আগত সব অতিথি তাঁর আহ্বানে তাঁদের রুহের মাগফিরাত ও শোক প্রকাশের জন্য দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তুরস্কের আঙ্কারায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস-২০১৯ পালিত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকীর নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর দূতাবাস মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন ও আলোচনা শেষে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

বিকেলে আঙ্কারার আতাকোস হোটেল মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে সরকারিভাবে তুরস্ক সফররত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তাঁরা বাংলাদেশের অভ্যুদয়, একুশের চেতনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্রুত এগিয়ে চলা বাংলাদেশের কথা বিবৃত করেন।

স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছেন এম আল্লামা সিদ্দীকী
স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছেন এম আল্লামা সিদ্দীকী

আয়োজনে অনুষ্ঠানে আঙ্কারায় নিযুক্ত ২৩টি দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, সামরিক উপদেষ্টা, তুরস্কের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ তুরস্কে বসবাসরত বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া তুরস্কের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর (উপাচার্য) উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে অলংকৃত করেন।

বাংলাদেশ ও তুরস্কের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ ছাড়া ভাষা আন্দোলনের ওপর নির্মিত একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশ, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, আফগানিস্তান, চীন, থাইল্যান্ড ও ইউক্রেন দূতাবাসসহ তুরস্কের দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের নিজ নিজ ভাষায় অংশগ্রহণ করে। বিজ্ঞপ্তি

অতিথিদের একাংশ
অতিথিদের একাংশ