জাপানের কানসাইয়ে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি

প্রতীকী শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ
প্রতীকী শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এটি বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের একাধারে মর্মান্তিক ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন। বিনম্র শ্রদ্ধা আর যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারা দেশে এবং বিদেশে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাপানের কানসাই এলাকার বাংলাদেশিরা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ওসাকার তোয়োনাকো সিটি হলে একত্র হন দিনটি পালন করার জন্য।

সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর সব ভাষাশহীদ, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল আমাদের দুঃখিনী বর্ণমালা, মায়ের ভাষা, তাঁদের স্মরণে এবং গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত লোকজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ পরিবেশনার সঙ্গে সঙ্গে প্রতীকী শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

প্রতীকী শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ
প্রতীকী শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ

কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মেহরুবা মোনার উপস্থাপনায় মনোমুগ্ধকর নানা পরিবেশনা একুশ পালনে যোগ করে ভিন্ন মাত্রা। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ওসাকার রুমি খন্দকার, কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক সালমান মাহমুদ সিদ্দিকী রাফসান ও ওসাকার তাবাসসুম জুবাইরি সিম্মী। আবৃত্তিতে অংশ নেন ওসাকার আশরাফ মাহমুদ রোমেল ও ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানিয়া তাবাসসুম নিসা। একুশ নিয়ে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন নারা ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক ড. আলতাফ আমিন।

জাপানের কানসাই এলাকার বাংলাদেশিরা ওসাকার তোয়োনাকো সিটি হলে একত্র হন দিনটি পালন করার জন্য
জাপানের কানসাই এলাকার বাংলাদেশিরা ওসাকার তোয়োনাকো সিটি হলে একত্র হন দিনটি পালন করার জন্য

এ ছাড়া মুক্ত আলোচনায় বাংলাদেশ কমিউনিটির নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর বক্তব্য দেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ওমর ফারুক, নারা ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পিএইচডি গবেষক মো. ফখরুজ্জামান, ওসাকার মাসুদ হাসান, মোহাম্মদ ফকরুল ইসলাম দিদার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটির আপ্যায়ন পৃষ্ঠপোষকতা করেছে কানসাই বাংলাদেশ সোসাইটি, জাপান (কেবিএস)। ভেন্যু পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন আশরাফ মাহমুদ রোমেল। পুরো অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন ওসাকার সজীব, দিদার ও খন্দকার রুমি।