বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির প্রেরণা

বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান
বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম একটি নতুন অধ্যায়ে উপনীত হয়েছিল। তিনি তাঁর ভাষণে এই বার্তাই দেন, বাঙালি সংবিধানিক পথেই চলবে, তবে যখনই শাসকগোষ্ঠী সংবিধান লঙ্ঘন করবে তখনই বাঙালি সর্বাত্মকভাবে বৈপ্লবিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এই ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির প্রেরণা ও দার্শনিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। এ ভাষণের রাজনৈতিক তাৎপর্য আর উপস্থাপনাশৈলীর অপূর্ব সমন্বয়ের কারণে এটি একটি বৈশ্বিক উচ্চতায় পৌঁছে যায়।

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি আরও বলেন, এই অনবদ্য ও স্বতঃস্ফূর্ত সম্মোহনী ভাষণটি শুধু বাঙালির নয়, তৃতীয় বিশ্বের সব সংগ্রামী জনতার সংগ্রামী কণ্ঠেরই প্রতিফলন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে একটি অত্যন্ত মূল্যবান জাতীয় সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি নিয়ে যথাযথভাবে চর্চা করলে মুক্তিসংগ্রাম নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা থাকবে না এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জাগ্রত থাকবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিতি
অনুষ্ঠানে উপস্থিতি

পাকিস্তানের বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে। ৭ মার্চ সকালে ইসলামাবাদে হাইকমিশন চ্যান্সারিতে হাইকমিশনার তারিক আহসানের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ওপর এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এ ছাড়া ৭ মার্চের ভাষণের ওপর ভিত্তি করে লেখা কবিতা আবৃত্তি ও শেষ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে নির্মিত একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি