পঞ্চাশ গজ পাঁচ মিনিটের ভাগ্য

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর শহরজুড়ে সতর্ক অবস্থা। ছবি: রয়টার্স
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর শহরজুড়ে সতর্ক অবস্থা। ছবি: রয়টার্স

ওইখানে যেয়ো না। একটা মানুষ বলেছিল আজকে।

বেঁচে গেল তারা। পঞ্চাশ গজ পাঁচ মিনিটের ভাগ্য। আমাদের ক্রিকেটাররা। যে বলল কথাটা, তার ধর্মটাই তো জানা হলো না। কে জানে ইহুদি কি না? মুসলমানও হতে পারে। খ্রিষ্টান? তাও হতে পারে। বৌদ্ধ? কে জানে হয়তো। হিন্দু নাকি? সে আশঙ্কাও কম না। এখন পৃথিবীতে মানুষের থেকে ধার্মিক বেশি তো...তাই প্রশ্নগুলো এমনই। তাজা। আজকের।

তারপর আমরা খুশি থাকব। আমাদের কেউ মরেনি আজকে।

তারপর আমরা আবার একদিন আঁতকে উঠব। পঞ্চাশজনের লাশ থেকে তিনজন আলাদা করে কাঁদব। তারপর একদিন পাথরের মতো দাঁড়িয়ে থাকবে পাথরই—চার্চ আর মসজিদ। সেই দিনই আমরা প্রশ্ন করব—এই দুইয়ের মধ্যখানে এরা কারা? তারপর একদিন আমরা নিজেরাও রক্তগঙ্গা। আমরা সেদিনই বুঝব আমরা আইস ফিশ নই। কাচের মতো নয় আমাদের রক্তের রং। আমরা সেদিনই বুঝব, অক্টোপাসও নই আমরা। নীল নয় আমাদের রক্তের রং। সরীসৃপ তো নয়ই। সবুজ রক্ত মানুষের অন্তত নয়। আমাদের রক্ত লাল। নিথর হলে কালচে লাল। লাল তারও যে বলল এখনই—আমাদের কেউ মরেনি আজকে। এখনো।

এমন করে করে আমরা একদিন সবাই মরে যাব। বেঁচে থাকবে শুধু ধর্ম। চার হাজার তিন শর বেশি ধর্ম। কার জন্য বাঁচবে সে?