ওয়ারশে বাংলাদেশি শিল্পীদের চিত্র প্রদর্শনী

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি চিত্রশিল্পীরা
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি চিত্রশিল্পীরা

ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে মার্চের এই মাঝামাঝি সময়ে শীত যখন যাব কি যাব না, এই নিয়ে দোনোমোনো করছে, ঠিক তখনই দেশটিতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন শিল্পীর আগমন যেন দেশ থেকে নিয়ে এল হেমন্তের এক স্নিগ্ধ ছোঁয়া। ১৪ মার্চ স্থানীয় সময় বিকেল ছয়টায় ওয়ারশে বাংলাদেশের ৬৫ জন শিল্পীর ‘নদীর কূলে কূলে’ শীর্ষক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস ও পোল্যান্ডের এশিয়া প্যাসিফিক জাদুঘরের সার্বিক সহযোগিতায় এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এশিয়া প্যাসিফিক জাদুঘরে জাঁকজমকপূর্ণ এই চিত্র প্রদর্শনী চলবে আগামী মে মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত।

নৃত্য পরিবেশনা
নৃত্য পরিবেশনা

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই পোল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সকলের মন জয় করে নেয়। তানিয়া আফরীনের নির্দেশনায় নৃত্য পরিবেশন করে লুবাবা সাকি, রোজ, দীপিকা, আভা, ওয়েসিস, অশোক, আলমসহ আরও অনেকে।

বক্তব্য দিচ্ছেন কে এম খালিদ এমপি
বক্তব্য দিচ্ছেন কে এম খালিদ এমপি

বাংলাদেশের আধুনিক, লোকজ, নজরুল ও রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে একক, দ্বৈত ও দলগত নৃত্যের পরিবেশনা দর্শক সারিতে থাকা বাংলাদেশি ছাড়াও পোলিশ ও অন্য দেশিদের ব্যাপক আনন্দ দেয়। বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা যে বিদেশিদেরও মন ছুঁয়ে যায়, একেকটি পরিবেশনা শেষ হওয়ার পর ভিনদেশি দর্শক সারি থেকে ভেসে আসা মুহুর্মুহু করতালি আর উচ্ছ্বাসধ্বনি তারই সাক্ষ্য দিচ্ছিল।

বক্তব্য দিচ্ছেন মাহফুজুর রহমান
বক্তব্য দিচ্ছেন মাহফুজুর রহমান

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি দেশ স্বাধীন করার ডাক না দিতেন, তাহলে আমরা বাংলাদেশ বলে একটি দেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করতে পারতাম না। পারতাম না আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের সঙ্গেই ভিনদেশিদের পরিচয় করিয়ে দিতে।

বিপাশা হায়াতের সঙ্গে শিশু নৃত্যশিল্পী লুবাবা সাকি
বিপাশা হায়াতের সঙ্গে শিশু নৃত্যশিল্পী লুবাবা সাকি

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উঁচু করে তোলার সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টার কথা বলেন। তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে পোল্যান্ডের অবদানের কথা স্মরণ করেন। সেই সঙ্গে আগামী বছর আবারও আরও বড় পরিসরে আরও বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি শিল্পীদের নিয়ে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজনের আশা ব্যক্ত করেন।

প্রদর্শনীর পোস্টার
প্রদর্শনীর পোস্টার

বাংলাদেশি চিত্রশিল্পীদের মধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মনিরুজ্জামান, বিপাশা হায়াত, লায়লা শারমীন, জহির উদ্দিন, শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, আনিসুজ্জামান, দুলাল চন্দ্র গাইন, মাকসুদা ইকবাল নিপা প্রমুখ।