নৃশংসতার আড়ালে

ক্রাইস্টচার্চে নিহত বাংলাদেশিদের স্বজনদের কান্না। ছবি: রয়টার্স
ক্রাইস্টচার্চে নিহত বাংলাদেশিদের স্বজনদের কান্না। ছবি: রয়টার্স

চমৎকার সার্ভিস দেওয়া গাড়িটি

হঠাৎ একসময় বিকল হয়।
একইভাবে—
টেলিভিশন, কম্পিউটার, তালা, ঘড়ি
হাজারো জিনিস
হঠাৎ একসময় বিকল হয়—
কেবল হঠাৎ করে বিকল হয়নি
নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে
নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো
সন্ত্রাসী ব্রেনটন টারান্টের আগ্নেয়াস্ত্রটি।
তার পরিবর্তে—
পবিত্র জুমার দিনে
হামলাকারীর বুলেটের আঘাতে
প্রার্থনারত নিরপরাধ নরনারী আর শিশুর
হৃৎস্পন্দন হঠাৎ থেমে গেছে।
বুলেটের আঘাতে ঝাঁজরা হয়েছে
ধর্মপ্রাণ মুসলমান শত শত
শহীদ হয়েছে পঞ্চাশজন
মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আরও কত!
আক্রমণের শিকার
অসহায় মুসল্লিদের আর্তনাদে
পবিত্র মসজিদ হয়েছে প্রকম্পিত
হয়েছে রক্তে রঞ্জিত।
ক্রাইস্টচার্চে এখন স্বজন হারানোর আহাজারি
সেখানকার বাতাস বেদনায় হয়েছে ভারী।
ব্রেনটন টারান্ট উল্লসিত
তার মুখে শয়তানের হাসি
বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ
১৫ মার্চের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের
ঘটনায় স্তম্ভিত, শোকাহত, মর্মাহত;
প্রশ্ন একটাই—
এভাবে চলবে আর কত?

(১৭ মার্চ ২০১৯)

এম এ জলিল: সিডনি, অস্ট্রেলিয়া। ই–মেইল: <[email protected]>