বঙ্গবন্ধু সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন

বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন। দেশের আপামর জনসাধারণের কল্যাণ ও তাদের অধিকার নিশ্চিতকল্পে তিনি আমৃত্যু নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এক আলোচনা সভায় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী এ কথা বলেন।

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তুরস্কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৭ মার্চ সকালে দূতাবাসে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার শুরুতে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে এ দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্বের প্রতি আলোকপাত করেন।

এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ দূতাবাস এ বছরও আঙ্কারার দুটি স্কুলে সপ্তাহব্যাপী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এবার চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল ‘বাংলাদেশের স্মৃতিস্তম্ভ’ ও ‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলি’। আঙ্কারার ওর-হান ফেরিহান ইনান মাধ্যমিক স্কুল ও ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে অধ্যয়নরত বিভিন্ন দেশের ২১৮ জন ছাত্রছাত্রী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ১৪ মার্চ ওর-হান ফেরিহান ইনান স্কুলে এবং ১৫ মার্চ ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী স্মারক ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সবার জন্য মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠান দুটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের কথাসহ বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের বিবরণ তুলে ধরেন। এ ছাড়া, তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্যের চিত্রও তুলে ধরেন।

বিভিন্ন দেশের শিশুদের অংশগ্রহণে এ ধরনের অনুষ্ঠান একদিকে যেমন তাদের অন্য দেশ ও জাতি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে, তেমনি ভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতিসহিষ্ণু হিসেবে গড়ে তুলতেও সাহায্য করে বলে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্য উল্লেখ করেন। প্রত্যেক জাতিরই রয়েছে মহান জাতীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁরা মানবজাতির পথ প্রদর্শক। তাঁদের কর্মমুখর জীবন আমাদের এ পৃথিবীকে আরও শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধিশালী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগায় বলে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সব ছাত্রছাত্রীকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারে আপ্যায়িত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি