বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি অনুসরণের আহ্বান

রিয়াদে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন
রিয়াদে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন

সৌদি আরবের রিয়াদে যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দ–উৎসবের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন করা হয়েছে। ১৭ মার্চ সকালে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানমালার সূচনা করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। এরপর রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় রিয়াদে বসবাসরত বিভিন্ন পেশার অভিবাসী বাংলাদেশিরাও উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. নজরুল ইসলাম
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. নজরুল ইসলাম

দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। তিনি সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। গোলাম মসীহ বলেন, শিশুদের বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা লাভ করতে হবে।

বক্তব্য দিচ্ছেন গোলাম মসীহ
বক্তব্য দিচ্ছেন গোলাম মসীহ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে সৌদি আরব–বাংলাদেশের সম্পর্ক আজ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশে সৌদি আরবের বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

দূতাবাসের উপমিশনপ্রধান ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ থেকে নতুন প্রজন্মের শিশু–কিশোরদের শিক্ষা লাভ করতে হবে। তাঁর মতো সৎ, নির্ভীক, চরিত্রবান হয়ে দেশের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।

প্রথম সচিব মো. বশিরের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দূতাবাসের মিনিস্টার এস এম আনিসুল হকসহ রিয়াদের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। তাঁরা দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিতি
অনুষ্ঠানে উপস্থিতি

আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এ ছাড়া সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে বন্দুক হামলায় নিহত বাংলাদেশিসহ সব মুসলমানের জন্যও দোয়া করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি