বঙ্গবন্ধু একটি দেশ, জাতি ও চেতনার নাম। এই চেতনাকে আমাদের ধারণ করতে হবে। আর তা ছড়িয়ে দিতে হবে আগামী প্রজন্মের কাছে। তিনি সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিরামহীন অবদান রেখেছেন। বিবিসির এক জরিপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন। যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা শেষ করে যেতে পারেননি। কুচক্রী মহল তা অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বদ্ধপরিকর।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ইতালির রোমে আলোচনা সভায় আলোচকেরা এ মন্তব্য করেন। যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেছে ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস। রাজধানী রোমের দূতাবাস ভবনে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান দুই পর্বে আয়োজন করা হয়।
প্রথম পর্বের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান দূতাবাসের কর্মকর্তারাসহ আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা। এরপর ছিল শিশু-কিশোরদের জন্য কবিতা, গান ও বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য ও বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা। এ ছাড়া কেক কাটা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও তাঁর দর্শন নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর সিকদার মো. আশরাফুর রহমান। পরিচালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব এ এস এম সায়েম ও সুফিয়া আক্তার। সভার শুরুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব শেখ সালেহ আহমেদ ও রাজিব ত্রিপুরা।
সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সর্ব ইউরোপ শাখার সাবেক সহসভাপতি কে এম লোকমান হোসেন, ইতালি শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, সহসভাপতি মো. জসিমউদ্দিন, আফতাব ব্যাপারী প্রমুখ।
আলোচনার শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সব শিশু-কিশোরকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।