সিউলে জাতির জনকের জন্মদিনে অনন্য আয়োজন

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন আবিদা ইসলাম
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন আবিদা ইসলাম

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে। বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ১৭ মার্চ রোববার দিবসটি উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটা হয়
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটা হয়

অনুষ্ঠানে আলোচনাসভায় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর অনন্য জীবন, স্বাধীনতাসংগ্রাম ও বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কোমলমতি শিশুদের ভালোবাসতেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মিশুক প্রকৃতির। প্রতিবেশী মানুষের জন্য তাঁর দরদ ও ভালোবাসার কমতি ছিল না। বঙ্গবন্ধু খেলার সাথি ও বন্ধুদের সঙ্গে আন্তরিকভাবেই মিশতেন। তাঁর বন্ধুদের মধ্যে যাঁদের বই, খাতা ও কলম ছিল না, তাঁদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করতে চেষ্টা করেছেন। বন্ধুর প্রয়োজনে নিজের গায়ের জামা ও ব্যবহৃত ছাতাটি বন্ধুদের বিলিয়ে দিয়ে খালি গায়ে বাড়ি ফিরেছেন। এভাবেই তিনি নিজেকে তৈরি করেছিলেন। রাষ্ট্রদূত অভিভাবকদের বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের বঙ্গবন্ধুর মতো করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত বর্ণিল এই অনুষ্ঠানে সিউলে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোরেরা অংশ নেয়। এ ছাড়া কোরীয় শিশু-কিশোরেরাও অংশ নেয়। শিশুদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান বর্ণিল রূপ নেয়।। উল্লেখ্য, জাতীয় শিশু দিবসের মূল অনুষ্ঠানসূচিতে ছিল ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতির জনকের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ, বাণী পাঠ, রচনা, চিত্রাঙ্কন, ছড়া-কবিতা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ।

কোরীয় শিশু-কিশোরেরাও অংশ নেয়
কোরীয় শিশু-কিশোরেরাও অংশ নেয়

অনুষ্ঠানের পর্বের শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এরপর আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর শৈশবের সারল্যপনা, শিশুদের প্রতি তাঁর গভীর মমত্ববোধ, তাঁর শৈশব, বেড়ে ওঠাসহ নানা দিক তুলে ধরা হয়।

সাংস্কৃতিক আয়োজনে শিশুদের কবিতা আবৃত্তি ও গান উপস্থিত সবাইকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিশু-কিশোরকে দেওয়া হয় শুভেচ্ছা উপহার।