শিশুদের কলকাকলিতে মুখর বাংলাদেশ দূতাবাস

অনুষ্ঠানে শিশু–কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটা হয়
অনুষ্ঠানে শিশু–কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটা হয়

‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন’—এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বর্ণিল সাজে পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস। ১৭ মার্চ রোববার স্থানীয় সময় সকালে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা ‍উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মোহাম্মদ আবদুল মুহিত
আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মোহাম্মদ আবদুল মুহিত

দেশটিতে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের শিশু–কিশোরেরা বিকেলে দূতাবাস মিলনায়তনে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ভিড় জমায়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকেরা অংশগ্রহণ করেন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে রাষ্ট্রদূত মুহিত দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে রাষ্ট্রদূত ও তাঁর সহধর্মিণী বেগম রুবি পারভিন দূতাবাস পরিবারের সদস্য ও অনুষ্ঠানে আসা শিশু–কিশোরদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ বাণী পাঠ করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধুসহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন স্বাধিকার আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত প্রদর্শিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ শিশুদের মুগ্ধ করে। পরে বেগম রুবি পারভিন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সব শিশুর হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেন।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিশুদের উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিশুদের উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়

আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বাঙালির জাতীয়তাবাদের চূড়ান্ত স্বপ্নপূরণে জাতির পিতার অসীম আত্মত্যাগের কথা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন। একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে একে আলোকিত করার জন্য তিনি কোমলমতি শিশু-কিশোরদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং একইসঙ্গে আশা প্রকাশ করেন, এদের হাত ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে বাংলাদেশে এগিয়ে যাবে।

দূতাবাসের আয়োজনে শিশুদের পছন্দের বিভিন্ন রকমের খাবারের পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয়। বিজ্ঞপ্তি