প্রবাসীর অনাহূত জীবন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আমাদের প্রবাসী জীবনের চার বছর পূর্ণ করে ১৩ মার্চ পাঁচ বছরে পা দিয়েছি আমরা। ১২ মার্চ থেকেই কেমন জানি একটা শূন্যতা কাজ করছিল মনের মধ্যে। যথারীতি অফিসে গেলাম। বসকে বললাম আজ আমাদের চার বছর পূর্ণ হচ্ছে। শুনে তিনি বললেন, অভিনন্দন। আমি বললাম, আমার মনে হচ্ছে এই তো গতকাল এলাম। শুনে বস বললেন তার মানে প্রবাসী জীবনের সময়টা ভালোই কেটেছে। আমি বললাম, ঠিক তাই। আশাতীত সাফল্য পেয়েছি, তাই সময়টা উপভোগ করেছি। কিছু যে অপূর্ণতা নেই, তা কিন্তু নয়। তবে সেটাকে মানিয়ে নিয়েছি আমাদের মতো করে। এমন আলাপচারিতা হলো প্রায় সব সহকর্মীর সঙ্গেই। এভাবেই সারা দিন পার করে দিলাম। কাজের কাজ কিছুই করলাম না। যদিও হাতে একটা বেশ বড় প্রজেক্ট রয়ে গেছে। ভাবলাম, সপ্তাহের শেষের দিনগুলোতে করে ফেলব।

পরদিন ১৩ মার্চ পাঁচ বছরে পা দেওয়ার পর বন্ধু আশিককে জিজ্ঞেস করলাম, নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য প্রক্রিয়া কী, বলো। আশিক সঙ্গে সঙ্গেই লিংক দিয়ে দিল আর বলল, অনেক বড় প্রক্রিয়া ও ক্লান্তিকর। তুমি কোথাও আটকে গেলে আমাকে জানিও। নাগরিকত্বের আবেদনপত্র পূরণ করতে গিয়ে দেখি প্রক্রিয়া আসলেই অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। অন্তর্জালে পাতাটা খুলে প্রথম পাতায় চোখ বুলিয়েই তাই আবার বন্ধ করে দিলাম। ভাবলাম, ছুটির দিনে সময় নিয়ে পূরণ করা যাবে। সবকিছুই কেমন যেন শূন্য মনে হচ্ছিল আমার কাছে। কোনো কিছুতেই আর তাগাদা অনুভব করছিলাম না। অবশ্য এর আরও একটা কারণ আছে। কয়েক দিন আগেই দেশের চাকরির ইস্তফাপত্রের অনুমোদন পেয়েছি। যখন দেশ ছেড়ে আসি, বড় ভাইয়েরা বলেছিলেন, শুধু শুধু সরকারি চাকরিটা ছেড়ে আসিস না। যদি কোনো কারণে অস্ট্রেলিয়া ভালো না লাগে, তবে যেন একটা বিকল্প খোলা থাকে তোর জন্য। অস্ট্রেলিয়া আসার আগে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সচিবালয় থেকে দুই বছরের ছুটি জোগাড় করেছিলাম। অবশ্য নিজের কাছে জবাবদিহির জন্য ছুটি নিলাম বিনা বেতনের। আর ছুটি নেওয়াটা চাকরি ছাড়ার চেয়ে সহজ ছিল। কারণ, সরকারি চাকরি পাওয়া কঠিন, কিন্তু চাকরি যাওয়া প্রায় অসম্ভব।

অবশেষে ছুটি শেষ হয়ে গেলে হাইকমিশনের মাধ্যমে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েলাম। ইস্তফাপত্র হাইকমিশন হয়ে মন্ত্রণালয়ে যাবে। সেখান থেকে আমাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। আমার অফিসের সবাই অনেক বেশি সাহায্য করেছিলেন এ ব্যাপারে। কিন্তু প্রথমবার আমার ইস্তফাপত্র গায়েব হয়ে গেল। হাইকমিশন বলে তারা অমুক তারিখের ডাকে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে এবং তার প্রমাণস্বরূপ আমাকে একটা পত্রও মেইলে সংযুক্ত করে পাঠিয়ে দিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে সেটার কোনো হদিস পাওয়া গেল না। অবস্থা দেখে হাইকমিশনে যোগাযোগ করলে তারা জানাল, ‘ঠিক আছে মন্ত্রণালয়ের ই–মেইল অ্যাড্রেস দেন আমরা মেইল করে দিচ্ছি।’ আমি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে ই–মেইল অ্যাড্রেস জোগাড় করে দিলাম। তারপর হাইকমিশন মন্ত্রণালয়ে ই–মেইল করে দিল। ই–মেইল যাওয়ার পর আবারও সবকিছু চুপচাপ। অবশেষে আমার অফিসের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অনেক পরিশ্রমের ফলে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার প্রায় এক বছর পর আমি ছাড়পত্র পেলাম। সরকারি অফিসগুলোয় কয়েক দিন পরপরই অফিসের সব যোগাযোগ ই–মেইলের মাধ্যমে করে পেপারলেস যোগাযোগকে উৎসাহিত করতে পরিপত্র জারি করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ইস্তফাপত্র দেওয়ার পর আমার ছাড়পত্র পেতে এক বছর লেগে যায়। সচিবালয়ে কয়েক দিন দৌড়াদৌড়ি করার ফলে আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাকে বলে এবং কত প্রকার। আর আমলাদের বেশির ভাগই চান না তাঁদের ক্ষমতার বিন্দুমাত্র খর্ব করতে। হোক সেটা দেশের উন্নয়নের জন্য বা অন্য কোনো কারণে।

এই বিষয়গুলো বিস্তারিত বলার দুটো কারণ। এক বাংলাদেশের যতই উন্নতি হোক যদি তার মগজ বা সচিবালয়ে উন্নতি না হয় তবে সেই উন্নয়ন কখনো টেকসই হবে না। দুই এই প্রক্রিয়াটার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ফলে দেশের সঙ্গে নিজের আত্মিক বন্ধন কতটা সুদৃঢ় ছিল অন্তরে সেটা আরেকবার টের পেলাম। যেদিন ছাড়পত্র হাতে পেলাম, সেদিন থেকেই আমি মোটামুটি নিজের মধ্যে একধরনের শূন্যতা টের পাচ্ছিলাম। যেটা ১২ ও ১৩ তারিখে এসে প্রকট আকার ধারণ করে। এরপর এল সেই দিন। ১৫ মার্চ শুক্রবার। আগের চার দিন কাজ না করার ফলে সব কাজই জমে ছিল। দিনটা শুক্রবার হওয়ায় কাজের চাপ একটু কম থাকার কথা। কিন্তু সপ্তাহের অন্যদিনগুলোতে কাজ না করায় অনেক কাজ জমেছিল। অফিসে যতই কাজ করি না কেন ফেসবুকের পাতাটা সব সময় খোলাই থাকে। কিন্তু মিনিমাইজ করে রাখি। মাঝেমধ্যে খুলে দেখি কেউ কোনো মেসেজ দিল কিনা। এমনই একবার হঠাৎ করে একটা খবরে চোখ পড়ে গেল। একজন শেয়ার দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি সহকর্মী মিককে কথাটা বলতেই, তিনি গুগল করে হাজারো তথ্য বের করে ফেললেন। এই ছেলেটার আদিপুরুষ আয়ারল্যান্ডের অধিবাসী। তাঁর সঙ্গে আমার প্রায়ই ধর্ম ইতিহাস নিয়ে বিস্তার আলোচনা হয়।

ইতিমধ্যেই মিক গুগল করে বাংলাদেশের অনেক তথ্য বের করে ফেলেছেন। কোনোটা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন। আমাকে আয়ারল্যান্ডের অনেক ডকুমেন্টসের লিংক দিয়েছেন। আমি নিজেও খুঁজে খুঁজে অনেক কিছুই পড়েছি। আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসও বাংলাদেশের ইতিহাসের মতো অনেক মানুষের রক্তে ভেজা। তবু ওরা হাল ছাড়েনি। একটা সুন্দর দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার প্রতি ইতিমধ্যেই তাঁর অনেক টান তৈরি হয়েছে। একদিন মিক আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ফ্রেন্ডের বাংলা কী?’ আমি বললাম, ‘বন্ধু’। তারপর থেকেই মিক আমাকে বন্ধু বলে সম্বোধন করেন। এরপর একদিন জানতে চাইলেন, ‘তোমার পুরো নাম কী?’ আমি বললাম, ‘মো. ইয়াকুব আলী।’ তখন বললেন, ‘তোমার বন্ধুরা তোমাকে কী নামে ডাকে?’ আমি বললাম, ‘ইয়াকুব।’ তখন মিক প্রশ্ন করলেন, ‘তাহলে অফিসে তুমি আলী বলেছিলে কেন?’ আমি বললাম, ‘তোমাদের জন্য আলী উচ্চারণ করা সহজ, তাই এটা বলেছিলাম।’ আমার উত্তর শুনে মিক বললেন, ‘আমি এখন থেকে তোমাকে আলী না বলে ইয়াকুব বলে ডাকব।’ আমি বললাম, ‘তাহলে আমি খুবই খুশি হব।’ এরপর থেকে মিক আমাকে ইয়াকুব বলেই ডাকেন এবং অন্যদেরও ডাকতে বলেছেন। মিক আমার কাছ থেকে আরও শিখেছেন, হাউ আর ইউ–এর বাংলা মানে হচ্ছে তুমি কেমন আছ? গুড মর্নিং মানে শুভ সকাল। হঠাৎ হঠাৎ এগুলো বলে আমাকে চমকে দেন। আর আমার লেখার সবচেয়ে বড় পাঠক তিনি। গুগল ট্রান্সলেটরে ফেলে লেখার সারমর্ম উদ্ধার করে ফেলেন দ্রুতই এবং সেই সঙ্গেই দেন মতামত। অনেক আগে কারও কাছে শুনেছিলাম, আইরিশরা নাকি একটু বর্ণবাদী হয়। কিন্তু মিক আমার ধারণাকে এক শ ভাগ ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন।

ফিরে আসি আগের ঘটনায়। এরপর দেখতে শুরু করলাম নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার আরও খবরগুলো। কানাডা থেকে বন্ধু জিতু একটু পরপরই আপডেট দিচ্ছিল। ওর নিউজফিডটা দেখেই প্রথম জানলাম, ঘাতক অনেক আগে থেকেই একেবারে নিশ্ছিদ্র পরিকল্পনা করে সেটা আবার মেনিফেস্টোর আকারে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে নাকি প্রকাশও করেছে। তবে সবচেয়ে ভয়ংকর ছিল ঘাতক ভিডিও গেমের মতো করে মানুষ মেরেছে, যেটা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে খেলা ভিডিও গেমগুলোর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। তবে এখানে সে উদ্ধারকারীর ভূমিকায় নেই বরং ম্যাক্সপেইন গেমের হিরোর মতো খুঁজে খুঁজে একটা একটা করে মানুষ মেরেছে। সেই সময়টায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলেরও মসজিদে থাকার কথা ছিল। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে দেরি হয়ে যাওয়ায় তাদের মসজিদে পৌঁছাতে মিনিট পাঁচেকের দেরি হয় এবং মসজিদের কাছে গিয়েও অন্য একজন মানুষের সহায়তায় নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এরপর মৃত ব্যক্তির সংখ্যা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যেতে থাকে। বিকেলের খবর পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির সংখ্যা উনপঞ্চাশ ছিল। আমি জানি, আরও অনেকে মারা যাবে। একটা মানুষ তার হৃদয়ে ঠিক কতটা ঘৃণা পুষে রাখলে এমন একটা হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে, সেটা আমার জানা নেই। আমি নিশ্চিত তার কোনো অভিবাসী বন্ধু নেই। তাই সে জানে না, অভিবাসীরা শুধু তাদের জীবিকার অংশে ভাগই বসাচ্ছে না, তারা তৈরিও করছে অনেক নতুন নতুন জীবিকার সুযোগ। আর ধর্মের ব্যাপারটাও সে একইভাবে একপেশে হিসেবে বিচার করেছে। পৃথিবীর কোনো ধর্মই পৃথিবীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বৈধতা দেয় না। বরং শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যেতে বলেছে আজীবন। শুধু দুই–একটা ধর্মযুদ্ধের স্মৃতি দিয়ে সেটাকে বিচার করা মোটেই সমীচীন নয়। এরপর হয়তো পৃথিবীর আরও কোনো এক প্রান্তে হামলা হবে। আবার সেটার প্রতিকারে আরও কোথায় হামলা হবে। হয়তো এভাবেই চলতে থাকবে মানুষের নিজের বিরুদ্ধে নিজের যুদ্ধ। নিজের বিরুদ্ধে নিজের যুদ্ধ বলছি কারণ তারা অন্য একজন মানুষকেই মারছে, অজুহাত যাই হোক না কেন।

যা হোক, সরকারি চাকরি ছেড়ে প্রবাসী হওয়াতে অনেকেই আমাদের প্রশ্ন করত, এমন বোকামি কেউ করে। আসলে বাংলাদেশের মানুষদের মানসিকতাই এমন। সরকারি চাকরির দুর্নীতি নিয়ে কথা বলবে, আবার সেই সরকারি চাকরিকেই ধ্যানজ্ঞান মনে করবে। অনেকে বড়াই করে বলে বেড়াবে, কোনো সরকারি চাকরিজীবীর বাসায় গিয়ে কত পদের তরকারি দিয়ে ভাত খেয়ে এসেছে। কিন্তু কখনোই এটা ভাববে না এই আয়োজনের সামর্থ্য একজন সরকারি চাকরিজীবীর থাকা উচিত কিনা? দুর্নীতি নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তুলবে কিন্তু কখনোই একবারের জন্য সরকারি চাকরিজীবী নিজ বাবা বা মায়ের আয়ের উৎসের কথা ভাববে না। একজন সরকারি চাকরিজীবী ঠিক কীভাবে তাঁর তিন সন্তানকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে পারেন সেটা কখনোই সেই সন্তানেরা ভাবেন না। তবে এত কিছুর পরও প্রত্যকে সরকারি প্রতিষ্ঠানেই কিছু সৎ ব্যক্তি দিনের পর দিন মানবেতর জীবনযাপন করে সরকারি ব্যবস্থাকে ঠিক রেখে চলেছেন। তাঁরা পান না সমাজের মানুষের সম্মান। কারণ তাঁরা অযথা দান করতে পারেন না। আবার নিজের স্ত্রী–সন্তানের কাছেও তাঁরা অপাঙ্‌ক্তেয়। আমাদের দুজনের সরকারি চাকরির বেতন মাসের মাঝপথেই শেষ হয়ে যেত। এরপর ধার করতে হতো প্রতিবেশীর কাছ থেকে। মূল প্রসঙ্গ থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি।

প্রবাসীর জীবন কখনোই সহজ কিছু নয়। প্রবাস জীবনের আত্মীয়স্বজনহীন পরিবেশে প্রতিবেশী বাঙালি–অবাঙালি সবাই স্বজন। বিপদে–আপদে তাঁরাই এগিয়ে আসেন। আর গৃহস্থালির কাজকর্মও সবই নিজেদের করতে হয়। তাই প্রতি পদে পদেই বিভিন্ন রকমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় একজন প্রবাসীকে। নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে প্রবাসী হওয়া মানুষদের মনে তাই নিউজিল্যান্ডের ১৫ মার্চের ঘটনা এক ভীতিকর অবস্থার জন্ম দিয়েছে। প্রবাস জীবনের এত কষ্টের মাঝের স্বস্তিটুকুও কেড়ে নিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এতটা শঙ্কিত এর আগে কখনোই বিগত চার বছরে অনুভব করিনি। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের ফলে ট্রেনে উঠলাম অনেক ভিড় ঠেলে। অন্যদিন হলে অনেক সপ্রতিভভাবে সহযাত্রীদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দিই। কিন্তু সেদিন মনে হচ্ছিল সবাই যেন আড়চোখে আমাকে দেখছে। তাই আর সহজ হতে পারলাম না। সারাটা দিন গেল মন মরাভাবে। অদ্ভুত এক অনুভূতি হচ্ছিল মনের মধ্যে। সরকারি চাকরির মতো সব নিশ্চয়তার চাকরি ছেড়ে এ দেশে এসেছিলাম একটু নিরাপত্তার আশায়। যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিজেদের ইচ্ছেমতো ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে পারবে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ঘটনা মনে করিয়ে দিল প্রবাসী আমরা সবাই নতুন দেশের এক একজন অনাহূত আগন্তুক ছাড়া অন্য কিছু নই। দেশের সব সুযোগ-সুবিধা আত্মীয়স্বজন বিসর্জন দিয়ে প্রবাসে একটু নিরাপত্তার আসা প্রবাসীর জীবনকে আমার কাছে তাই অনাহূত জীবন বলেই মনে হয়।