বর্ণবাদের মাশুল দিয়েছে লেবার পার্টি

মাইকেল ডেলি
মাইকেল ডেলি

অস্ট্রেলিয়ায় নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) রাজ্যে শেষ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন। প্রাথমিক ভোট গণনায় প্রায় ১৮ হাজার ভোট বেশি পেয়েও সরকার গঠন করতে পারবে না প্রধান বিরোধী দল। কেননা, তাদের প্রত্যাশিত বেশ কয়েকটি আসনে দেশটির অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। ফলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৪৭টি আসনের অনেক দূরে রয়েছে দলটি। এ নির্বাচন ছিল রাজ্যের ৫৭তম নির্বাচন।

অস্ট্রেলিয়ার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যের নির্বাচনে লেবার পার্টির হেরে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তবে এর মধ্যে দলের বর্ণবাদী নেতাদেরই প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন সিন কেলি। তিনি লেবার পার্টির পূর্ববর্তী দুই প্রধানমন্ত্রীর সাবেক পরামর্শক ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন কেলি। প্রতিবেদনে তিনি রাজ্যের লেবার পার্টির প্রধান নেতা মাইকেল ডেলিকে মূল কালপ্রিট দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘দলীয় জয়ের জন্য তাঁকে (মাইকেল ডেলি) যে শুধু লিবারেল রাজ্যপ্রধান গ্ল্যাডিসকেই হারাতে হতো, তা নয়। লেবার দল ক্ষমতায় থাকাকালে যে বর্ণবাদ ছড়িয়েছে তাও ভোটারদের মন থেকে মুছে ফেলার প্রয়োজন ছিল। আর তিনি এর পুরো উল্টোটাই করেছেন।’

নির্বাচনী এক প্রচারণার সময় মাইকেল ডেলির এক বক্তব্যে অভিবাসন-বিদ্বেষ মনোভাব প্রকাশ পায়। তিনি অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজার অভিবাসীরা দখল করে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণ সন্তানদের জায়গায় সাধারণ এশিয়ার মানুষেরা বদলি করে নিচ্ছে।’

ডেলির এই মন্তব্য ভোটারদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে বলে জানান সিন কেলি। তিনি বলেন, ‘বর্ণবাদ বন্ধে যখন রাজনৈতিক অঙ্গন খুব তৎপর, তেমন সময়ই এ ধরনের বর্ণবাদী মন্তব্য করলেন ডেলি।’ দলের প্রধান মুখদের এমন বর্ণবাদীর কারণে লেবার আরও বিপদগ্রস্ত হতে পারত বলেও আশঙ্কা করেন তিনি। দলের প্রতি পরামর্শে কেলি বলেন, ‘আমি যদি স্কট মরিসন কিংবা বিল শর্টেন হতাম, তবে আমি সাময়িক বিষয়ের চেয়ে দলের দূর ভবিষ্যতের কথা ভেবে পরিকল্পনা করতাম। কেননা আমরা এমন এক যুগে দাঁড়িয়ে আছি যেখানে ভুল করলে এর মাশুল গুনতেই হবে।’