বিদেশিদের কাছে ইতিবাচক বাংলাদেশ উপস্থাপন

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিদের একাংশ
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিদের একাংশ

নাইজেরিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৮তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানী আবুজায় হিলটন হোটেলে এক কূটনৈতিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। ৫০টির বেশি দেশের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, নাইজেরিয়া সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্বাচিত প্রতিনিধি, কূটনীতিক, চেম্বার ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নেতা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সদস্য ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক নুরা আব্বা রিমি।

বিশেষ অতিথি, কূটনৈতিক কোরের ডিন, হাইকমিশনার ও তাঁর সহধর্মিণী কেক কাটায় অংশগ্রহণ করেন
বিশেষ অতিথি, কূটনৈতিক কোরের ডিন, হাইকমিশনার ও তাঁর সহধর্মিণী কেক কাটায় অংশগ্রহণ করেন

সংবর্ধনা হলে বাংলাদেশ কর্নার স্থাপন করা হয়। কর্নারে বিবিধ রপ্তানি পণ্য (ওষুধ, সিরামিক, পাটজাত ও চামড়াজাত দ্রব্য, চা, হস্তশিল্প) এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অনেক উপাদান স্থান পায়। হলরুমের প্রবেশদ্বারসহ অন্য এলাকায় বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা, পর্যটন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উপস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে রোল-আপ-ব্যানারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা, উন্নয়ন অগ্রযাত্রাসহ অন্য বিষয় তুলে ধরা হয়। অতিথিদের পাটের ব্যাগে মোড়ানো বাংলাদেশের চা এবং উন্নয়ন অভিযাত্রার ওপর স্থানীয়ভাবে মুদ্রণকৃত পুস্তিকা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার ঐতিহ্যবাহী জামদানির প্রিন্ট সংবলিত ব্যাগ উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব কীভাবে বাংলাদেশকে দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে, তা তিনি তথ্য ও পরিসংখ্যানসহ তুলে ধরেন। শামীম আহসান নাইজেরিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে ঘনিষ্ঠতর সম্পর্কের ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শামীম আহসান
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শামীম আহসান

বিশেষ অতিথি নুরা আব্বা রিমি তাঁর বক্তব্যে বিশ্বে সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে নাইজেরিয়া ও বাংলাদেশের পাশাপাশি অবস্থানের (অষ্টম ও সপ্তম) কথা সরসভাবে তুলে ধরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা ও মূল্যবোধের ক্ষেত্রেও দুই দেশের মধ্যে নৈকট্যের কথাও উল্লেখ করেন।

দুই দেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বক্তব্যের পরে বিশেষ অতিথি, কূটনৈতিক কোরের ডিন, হাইকমিশনার ও তাঁর সহধর্মিণী কেক কাটায় অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে সকালে হাইকমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। অন্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, আলোচনা সভা, বাণী পাঠ ও মোনাজাত।

বক্তব্য দিচ্ছেন নুরা আব্বা রিমি
বক্তব্য দিচ্ছেন নুরা আব্বা রিমি

দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় দৈনিক ‘লিডারশিপ’ পত্রিকায় একটি ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ কর্নার
বাংলাদেশ কর্নার