ওয়ারশতে জাঁকজমক কূটনৈতিক সংবর্ধনা

ওয়ারশতে কূটনৈতিক সংবর্ধনায় অতিথিরা
ওয়ারশতে কূটনৈতিক সংবর্ধনায় অতিথিরা

পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপিত হয়েছে বাংলাদেশের ৪৮তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবসের প্রথম ভাগে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান।

ওয়ারশতে কূটনৈতিক সংবর্ধনায় অতিথিরা
ওয়ারশতে কূটনৈতিক সংবর্ধনায় অতিথিরা

পরে রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয়প্রধান অনির্বাণ নিয়োগীর পরিচালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত এবং শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সন্ধ্যায় স্থানীয় এক হোটেলে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির উচ্চপর্যায়ের নেতা, সাংসদ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্যবসায়িক নেতা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

ওয়ারশতে কূটনৈতিক সংবর্ধনায় অতিথিরা
ওয়ারশতে কূটনৈতিক সংবর্ধনায় অতিথিরা

অনুষ্ঠানে দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। অতিথিদের নিয়ে কেক কেটে রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু করেন।

রাষ্ট্রদূত তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে পোল্যান্ডের সহযোগিতার জন্য দেশটির সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

ওয়ারশতে কূটনৈতিক সংবর্ধনায় অতিথিরা
ওয়ারশতে কূটনৈতিক সংবর্ধনায় অতিথিরা