বাহরাইনে কূটনীতিকদের সম্মানে সংবর্ধনা

অনুষ্ঠানে বাহরাইনে অবস্থানরত তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানানো হচ্ছে
অনুষ্ঠানে বাহরাইনে অবস্থানরত তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানানো হচ্ছে

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাহরাইনের রাজধানী মানামায় বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে অনুষ্ঠিত হয়েছে সংবর্ধনা ও নৈশভোজ। দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস মানামার পাঁচ তারকা হোটেল ক্রাউন প্লাজার বলরুমে ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাহরাইনে নিয়োজিত ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মান, ইতালি, রাশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, সুদান, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, ওমান, লেবানন ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত এবং ব্রুনেই দারুসসালাম ও ইরাকের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সসহ কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা যোগ দেন।

আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) কে এম মমিনুর রহমান, দূতাবাসের এইচওসি ও প্রধান সচিব মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম এবং শ্রমসচিব শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। বাংলাদেশ ও বাহরাইনের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত কে এম মমিনুর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত কে এম মমিনুর রহমান
বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত কে এম মমিনুর রহমান

অনুষ্ঠানে বাহরাইনে অবস্থানরত তিনজন মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুল হাকিম, নুরুল ইসলাম ও গোলাম রব্বানীকে সম্মাননা জানানো হয়। স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে রাষ্ট্রদূত তাঁদের মঞ্চে আহ্বান করেন। বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ড. দাফর বিন আহমদ আল উমরানকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় বাংলাদেশের পতাকাসংবলিত স্কার্ফ পরিয়ে দেন। এ সময় আমন্ত্রিত অতিথিরা করতালির মাধ্যমে তাঁদের অভিনন্দন জানান। এরপরে রাষ্ট্রদূত বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন।

পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য বিদেশিদের কাছে তুলে ধরতে দূতাবাসের মিনিস্টার মেহেদি হাসানের নির্মিত সাত মিনিটের একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

নৈশভোজে বাংলাদেশি বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার, মিষ্টান্ন ও পিঠাপুলি দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কূটনীতিক ছাড়াও বাহরাইনের বাংলাদেশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, আঞ্চলিক, সামাজিক সংগঠনের নেতা ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।