ব্রুনেইয়ে নাচ-গান-কবিতায় বাংলা বর্ষবরণ

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

ব্রুনেই দারুসসালামের বন্দর সেরি বেগওয়ানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসব মুখরতার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদ্‌যাপন করা হয়েছে। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মাহমুদ হোসেন বৈশাখী মেলা ও বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

বর্ণিল পোশাকে সজ্জিত শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাসপূর্ণ উপস্থিতিতে সমগ্র এলাকা উৎসবের আমেজে ভরে ওঠে। ঢোল, একতারা, বাঁশি, মুখোশ, কুলা আর আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের নানা সামগ্রী সবার মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে। এক বাংলাদেশি এক ব্রুনেইয়ান স্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এই প্রাণের মেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন। মেলায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্টল স্থাপন করে, যেখানে নানা ঐতিহ্যবাহী পিঠা, ঝালমুড়ি, চটপটি, ফুচকা, কুটিরশিল্প, দেশি বস্ত্রসহ প্রায় ১৪টি স্টল ছিল।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

‘এসো হে বৈশাখ’ চিরকালীন এ গানের সম্মিলিত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু করা হয়। সংগীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদিতে সমবেত শিল্পীরা সবাইকে দিনভর মাতিয়ে রাখেন। কাব্যের সুষমা, সংগীতের মূর্ছনা প্রাণবন্ত দিনটিকে মুখর করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ব্রুনেইয়ে অবস্থানরত প্রবাসী শিল্পীদের উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

বৈশাখী মেলায় স্টল
বৈশাখী মেলায় স্টল

অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার মাহমুদ হোসেন তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘নববর্ষ বাঙালির সর্বজনীন প্রাণের উৎসব। বাঙালির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ বর্ষবরণ। এ দিনে আমরা পুরোনো, জীর্ণ আর ক্লেদ সরিয়ে সম্মুখ যাত্রার শুভ উদ্বোধন করি। সংগীত-নৃত্য-কবিতা আর মঙ্গলালোকের শুভ উচ্ছ্বাসের ভেতর দিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিই।’ তিনি নতুন বছরে সরকার ও দেশের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি

ফিতা কেটে বৈশাখী মেলা উদ্বোধন করেন মাহমুদ হোসেন
ফিতা কেটে বৈশাখী মেলা উদ্বোধন করেন মাহমুদ হোসেন