জাতীয় জীবনে ১৭ এপ্রিল এক অনন্য দিন

বক্তব্য দিচ্ছেন রাবাব ফাতিমা
বক্তব্য দিচ্ছেন রাবাব ফাতিমা

একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সরকার ছাড়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কল্পনাই করা যায় না। সেই প্রেক্ষাপটে ১৭ এপ্রিল তথা মুজিবনগর দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক অনন্য দিন। জাপানের রাজধানী টোকিওতে মুজিবনগর দিবসের আলোচনায় এ কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

টোকিওতে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবসটি উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় বিকেলে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে রাবাব ফাতিমা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশি সাংবাদিক ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে সরকার গঠন বাংলার মুক্তিকামী জনগণকে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে অনুপ্রাণিত করেছিল। এ ছাড়া ভৌগোলিক ও কৌশলগত কারণে মুজিবনগর ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনায় প্রবাসী নেতারা বলেন, আমাদের জাতীয় নেতারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে মন্ত্রিসভার সদস্য করে স্বাধীন বাংলার সরকার গঠন করেন। পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনীর অস্ত্র-ভয় উপেক্ষা করে উপরাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা এ দিন শপথ নেন। মূলত এখান থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের পথ চলা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা মুজিবনগর তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অবিনশ্বর হয়ে থাকবে। বক্তারা মুজিবনগর সরকার গঠনের তাৎপর্য ও সঠিক ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ বিষয়ে আরও গবেষণার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে উপস্থিত সবাইকে শোনানো হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। চা-চক্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি