নাইরোবিতে উহুরু পার্কের বটমূলে বর্ষবরণ

নাইরোবিতে উহুরু পার্কের বটমূলে বর্ষবরণের একটি দৃশ্য
নাইরোবিতে উহুরু পার্কের বটমূলে বর্ষবরণের একটি দৃশ্য

কেনিয়ায় পয়লা বৈশাখের আগের রাতে একাকী বসে যখন মন খারাপের ডালি নিয়ে বর্ষবরণের চিন্তা করছি, তখনই ডাক্তার তাপস ভাইয়ের ফোন। উহুরু পার্কের বটমূলে পান্তা ইলিশ দিয়ে নতুন বর্ষবরণের আমন্ত্রণ।

নাইরোবিতে উহুরু পার্কের বটমূলে বর্ষবরণের একটি দৃশ্য
নাইরোবিতে উহুরু পার্কের বটমূলে বর্ষবরণের একটি দৃশ্য

কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে উহুরু পার্কের ভেতরে একটা কৃত্রিম দ্বীপে বিশাল এক বটগাছ দেখে আনন্দে মনটা ভরে উঠল। এ যেন সত্যি সত্যি রমনার বটমূল! তাপস ভাই ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সবাই সকাল সাতটার আগেই পৌঁছালেন। আরও ছিল কয়েকটি বাংলাদেশি পরিবার ও আমরা কয়েকজন বিবাহিত ব্যাচেলর।

নাইরোবিতে উহুরু পার্কের বটমূলে বর্ষবরণের একটি দৃশ্য
নাইরোবিতে উহুরু পার্কের বটমূলে বর্ষবরণের একটি দৃশ্য

তাপস ভাইয়ের মা যিনি আমাদের সবাইকেই মায়ের আদরে জড়িয়ে রাখেন, সেদিনও তিনি তাঁর আদরের পসরা সাজিয়ে নিয়ে এসেছেন। পায়েশ ও মুড়ি দিয়ে শুরু হলো নতুন বছর। এরপর একে একে উপভোগ করি পান্তা ভাত, শুঁটকি ভর্তা, আলু ভর্তা, সরষে ইলিশ, খাসির ও গরুর মাংস।

নাইরোবিতে উহুরু পার্কের বটমূলে বর্ষবরণের একটি দৃশ্য
নাইরোবিতে উহুরু পার্কের বটমূলে বর্ষবরণের একটি দৃশ্য

আমাদের এই ছোট্ট আসরে বৈশাখী মেলার আমেজও ছিল কয়েকজন কেনিয়ার হকারের বদৌলতে। আমাদের ছোট্ট সোনামণিদের দেখে হকাররাও ছুটে আসেন রং-বেরঙের বেলুন, বাঁশি ও নানা রকম খেলনা নিয়ে। বাচ্চারা মেতে ওঠে বৈশাখী আনন্দে! আমাদের এই আনন্দে শামিল হলো কিছু কেনিয়ানও। অবশেষে একরাশ বৈশাখী আনন্দে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বাসায় ফেরা! ধন্যবাদ তাপস ভাই।

নাইরোবিতে উহুরু পার্কের বটমূলে বর্ষবরণের একটি দৃশ্য
নাইরোবিতে উহুরু পার্কের বটমূলে বর্ষবরণের একটি দৃশ্য