হ্যামিলটনে বাংলা ব্যান্ড সুরের সংগীতসন্ধ্যা
মাহবুবুল হক, শবনম তনুকা ও ময়ূখ সায়েদকে নিয়ে গড়ে ওঠা ব্যান্ড সুর। সংগীতেই যার শুরু, সংগীতেই যার শেষ। বিশ্বসংগীতকে যারা মানে, তাদের পূর্বসূরি। আর ব্যান্ড সুর সেই বিশ্বসংগীতেরই উত্তরাধিকারী। সংগীতকে তারা বেঁধে রাখতে চায় না কোনো ভৌগোলিক সীমার মধ্যে। একই সঙ্গে তারা নিজেদের মধ্যে ধারণ করে বাংলা সংগীতের ঐশ্বর্য ভান্ডার। গান নির্বাচনে সব সময়ই ভাষাকে প্রাধান্য না দিয়ে প্রাধান্য দেয় ভিন্নমাত্রার সংগীতকে। একই সঙ্গে তাদের যেকোনো পরিবেশনায় গানের সঙ্গে তারা দর্শককে পৌঁছে দিতে চায় কোনো না কোনো বার্তা। সুরের কাছে এটা যেন এক সামাজিক দায়বদ্ধতা।
বাংলা নববর্ষ ১৪২৬-এর বর্ষবরণ উৎসবে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে যাওয়া নারী নিপীড়ন, বিশেষ করে প্রতিবাদের আইকন হয়ে ওঠা নুসরাতের নির্যাতন এবং পরবর্তী সময়ে পুড়িয়ে হত্যা করার প্রতিবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে সুর উপস্থিত হয় কালো পোশাকে। কানাডার ওন্টারিও প্রদেশের হ্যামিলটনে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের আয়োজনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান পারফরমার হিসেবে সুরের উপস্থাপনা দর্শকদের দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মুগ্ধ করে রাখে। দেশের গান, লালনসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, আধুনিক, ফোক, বাংলাদেশি ব্যান্ড সংগীতসহ নানা ধরনের গান জায়গা করে নেয় তাদের পরিবেশনায়। এই উপস্থাপনায় একই সঙ্গে সুর চেষ্টা করেছে সম্প্রতি না ফেরার দেশে চলে যাওয়া বাংলাদেশের লিজেন্ড শিল্পীদের একটি করে সংগীত পরিবেশন করতে।
পয়লা বৈশাখের ঝুম বৃষ্টির সন্ধ্যায় সুর মঞ্চ ত্যাগ করে অসম্ভব সুন্দর উপস্থাপনার সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কণ্ঠ নিয়ে।