ইস্তাম্বুলে বিনিয়োগসংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ

ইয়োজগাতলার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম
ইয়োজগাতলার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ব্যবসা ও বিনিয়োগসংক্রান্ত এক আলোচনায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। গত শুক্রবার (১০ মে) ইস্তাম্বুলের ইয়োজগাতলার অ্যাসোসিয়েশন এ আলোচনার আয়োজন করে। আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন দেশটির রাজনীতিবিদ, লেখক ও কূটনীতিক একমেলেদ্দিন ইহসানোওলু।

উল্লেখ্য, একমেলেদ্দিন ইহসানোওলু ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ওআইসির মহাসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মহাসচিব থাকাকালে তিনি একাধিকবার বাংলাদেশ সফর ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস উপস্থাপনের পাশাপাশি ভৌগোলিক গুরুত্ব ও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অর্জন ও উন্নয়নের বর্ণনা দেন। বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তথা বিনিয়োগ সুবিধা ও প্রণোদনার কথা বিশদভাবে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যকার বিরাজমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত এবং দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার খাতগুলো চিহ্নিত করেন। মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম দুই দেশের মধ্যকার ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ককে আরও জোরদার ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে উপস্থিত সবাইকে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, শিক্ষাবিদ ও দেশটির সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন
আলোচনা অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, শিক্ষাবিদ ও দেশটির সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন

ইয়োজগাতলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহমেদ ইলমাজ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ এবং এ বিষয়ে তাঁর অ্যাসোসিয়েশনের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সাফল্যে গভীর আগ্রহ এবং এ উন্নয়নের ধারা যাতে আরও গতিশীল হয়, সে জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, শিক্ষাবিদ ও দেশটির সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি