পূর্ব লন্ডনে বাউল ও বৈষ্ণবসংগীত উৎসব

চন্দ্রা চক্রবর্তী
চন্দ্রা চক্রবর্তী

রাধারমণ সোসাইটির আয়োজনে ২৪ মে (শুক্রবার) লন্ডনে ষষ্ঠবারের মতো শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বাউল ও বৈষ্ণবসংগীত উৎসব। পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল সেন্টারে শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উৎসবের সূচনা হয়ে ২৫ মে বেথনাল গ্রিনের সেন্ট মার্গারেটস হাউসে এবং ২৬ মে রিচমিক্সে চলতে থাকবে বাউল, সুফি ও বৈষ্ণব ধারার বিচিত্র পরিবেশনামালা।

এশা চক্রবর্তী চ্যাটার্জি
এশা চক্রবর্তী চ্যাটার্জি

বিলাতের বাঙালি দর্শকদের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই এই উৎসব বিপুলসংখ্যক অবাঙালি দর্শকদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এবার কবি নজরুল সেন্টারে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রকাশ্য ধর্মবিধান ও গূঢ় ধর্মচর্চার ওপর অভিনব কবির লড়াই। বাংলা ভাববাদী গানের এই ব্যতিক্রমধর্মী ডিসকোর্সে প্রকাশ্য ধর্মবিধানের পক্ষে অংশ নেবেন মেধাবী শিল্পী লাবণী বড়ুয়া এবং গূঢ় ধর্মচর্চার (সুফি ও বৈষ্ণব) পক্ষে অংশ নেবেন কবি টি এম আহমেদ কায়সার। এ ছাড়া এতে সুফি ও বৈষ্ণব প্রভাবিত কবিতা পাঠ করবেন কবি এজরা মাইলস, কবি শাফাকাত পারভীন, কবি সানিয়া আলম, কবি শামীম শাহান, কবি জেনুমজ নাকভি, কবি শাহিন মিতুলি ও জেসমীন চৌধুরী। ভরতনাট্যমের মধ্য দিয়ে বিষ্ণুবন্দনা করবেন এশা চক্রবর্তী চ্যাটার্জি। বাউল ও বৈষ্ণবসংগীত পরিবেশন করবেন প্রিতম সাহা ও মাইক শরিফ। লোকনৃত্যশিল্পী সোহেল আহমেদের নেতৃত্বে ধামাইল নাচে অংশ নেবেন অণু দেব ও সোমা গঙ্গা।

ইমতিয়াজ আহমেদ
ইমতিয়াজ আহমেদ

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ও গ্রন্থি লিটারারি প্ল্যাটফর্মের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য এই উৎসবের দ্বিতীয় দিন ২৫ মে সেন্ট মার্গারেটস হাউসে গাইবেন সব্যসাচী শিল্পী সঞ্জয় দে, লন্ডনভিত্তিক ফিউশন ব্যান্ড লন্ডন ডিসি ও শিল্পী বাপিতা বাপী।

পরদিন ২৬ মে উৎসবের সমাপ্তি দিনে রিচমিক্সে উপমাহেদেশের সুফি ও খেয়াল সংগীতের পথিকৃৎ আমির খসরুর কালাম ও বৈষ্ণব ভজনসংগীত পরিবেশন করবেন প্রতীচ্যের শীর্ষ শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী চন্দ্রা চক্রবর্তী। রবীন্দ্রনাথের অধিবিদ্যা প্রভাবিবিত আধ্যাত্মিক সংগীত গাইবেন বিলাতের অন্যতম প্রধান রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। বাংলা দরবেশি সংগীতের পরিবেশনায় থাকছেন মেধাবী কণ্ঠশিল্পী অমিত দে। চন্দ্রা চক্রবর্তী পরিবেশিত বৈষ্ণবসংগীত ও আহমেদ কায়সারের পাঠে পার্সিয়ান কবিতার দৃশ্যরূপ দেবেন জনপ্রিয় কত্থকশিল্পী ইন্দ্রাণী দত্ত।

লাবণী বড়ুয়া
লাবণী বড়ুয়া

ফেস্টিভ্যালের কিউরেটর আহমেদ কায়সার বলেন, ‘উৎসবের ক্রমব্যাপ্তি বেশ উৎসাহজনক। এই পাশ্চাত্য ভূগোলেও ফেস্টিভ্যাল নিজের মতো করেই নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। আমাদের মোহ–জাগানিয়া বাউল বা বৈষ্ণবগান বোধ করি এসব দেশে টিকে থাকবে এই দুঃসময়ে এর অন্তর্নিহিত সৌন্দর্যের জন্য।’