কানাডায় দেশীয় সবজি চাষে আগ্রহী বাংলাদেশিরা
মুসলেমা বেগম থাকেন টরন্টোতে। দেশীয় সবজি চাষে দারুণ আগ্রহ তাঁর। সে জন্য এ বিষয়ে কিছু জানতে খুব সকালে চলে এসেছেন কানাডিয়ান সেন্টার আয়োজিত সেমিনারে। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তাঁর পরিচিত রাবেয়া আহমেদকেও। সেমিনার শেষে মূল্যায়নপত্রে লিখেছেন, অসাধারণ, এ বিষয়ে আরও অনেক কর্মসূচি চাই। শুধু মুসলেমা বেগম আর রাবেয়া আহমেদ নয়, টরন্টো ও এর পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজি চাষে আগ্রহী বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ৩৬ জন এসেছিলেন কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড নলেজ আয়োজিত এই সেমিনারে। কানাডায় দেশীয় সবজি চাষের উপকারিতাবিষয়ক সেমিনারটি গতকাল শনিবার (১৮ মে) টরন্টোর ডেনফোর্থ অ্যাভিনিউয়ের এক্সেস পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়।
সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল তথ্য উপস্থাপন করেন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি এগ্রিকালচারিস্ট ইন কানাডার (আবাকান) সেক্রেটারি ড. নুরুন নাহার খানম। আর অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন একই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট কৃষিবিদ কামাল মোস্তফা হিমু।
কৃষিবিদ নুরুন নাহার খানম তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, চাষ করে সবজি খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। নিজেকে সুস্থ রাখার একটি অন্যতম প্রক্রিয়া হচ্ছে বাগান ও সবজি চাষের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা। বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে যাঁরা ডিমেনশিয়া, ডায়াবেটিস ও ব্লাডপ্রেশারে ভুগছেন তাঁরা সবজি চাষের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারেন। তিনি জাপানিদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনেকেই সবজি ও ফলমূল চাষের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাঁদের কারও কারও বয়স শত বছরের ঊর্ধ্বে।
শত বছর বাঁচার আগ্রহী তেরো বছরের মাইশা মাহবুবেরও। মা-বাবার সঙ্গে সেমিনারে এসেছিল মাইশা। দারুণ উপভোগ করেছে সেমিনারটি। মূল্যায়নে মাইশাও লিখেছে, এমাইজিং। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সেন্টারের উপদেষ্টা আসমা আহমেদ বলেন, এই সেমিনারটি আমার কাছে অত্যন্ত ভালো লেগেছে। ভবিষ্যতে তিনি এ ধরনের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের পরামর্শ দেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সৈয়দ মনজুর আলী বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটিতে এ ধরনের কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা অনেক।’
কানাডিয়ান সেন্টারের এ বিষয়ক পরবর্তী সেমিনার আগামী ২২ জুন একই ভেন্যুতে বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণে আগ্রহীরা <[email protected]> ই-মেইলে যোগাযোগ করে নাম নিবন্ধন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তি