আঙ্কারায় বাংলাদেশ-তুরস্ক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক

আঙ্কারায় বাংলাদেশ-তুরস্ক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক
আঙ্কারায় বাংলাদেশ-তুরস্ক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক

বাংলাদেশ-তুরস্কের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে তৃতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শ সভা তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তুরস্কের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী সিদাত ওনাল দেশটির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। গত সোমবার (২০ মে) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপারে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সম্পর্ককে আরও নিবিড় ও কার্যকর করার লক্ষ্যে উচ্চতর পর্যায়ে সফর বিনিময় বৃদ্ধিসহ সার্বিক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাকে ব্যাপকতর করার বিষয়ে তাঁরা দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বিশেষত দ্বিপক্ষীয় কূটনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সম্পর্কোন্নয়নে অগ্রাধিকার প্রদানে তাঁরা বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন ও প্রক্রিয়াধীন চুক্তিগুলো দ্রুত স্বাক্ষরের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আঙ্কারায় বাংলাদেশ-তুরস্ক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক
আঙ্কারায় বাংলাদেশ-তুরস্ক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক

বৈঠকে বঙ্গবন্ধু ব্যুলভার্ড নামে আঙ্কারার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ মূর্তি শিগগিরই স্থাপনের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তুর্কি কর্তৃপক্ষও তাদের জাতির পিতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের একটি আবক্ষ মূর্তি ঢাকার কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে স্থাপন করবে।

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রকে আরও সম্প্রসারিত ও ব্যাপকতর করার লক্ষ্যে বিশদ আলোচনা হয়। বিশেষত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, তুরস্কে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক (আরএমজি) আমদানি সহজীকরণ ইত্যাদি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। মন্ত্রী পর্যায়ের পঞ্চম বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের পরবর্তী সভা এ বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বৈঠক শেষে মো. শহীদুল হক ও সিদাত ওনাল শুভেচ্ছা স্মারক বিনিময় করেন
বৈঠক শেষে মো. শহীদুল হক ও সিদাত ওনাল শুভেচ্ছা স্মারক বিনিময় করেন

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য তুরস্কের সহযোগিতার বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়। রোহিঙ্গাদের সাহায্যার্থে সব ধরনের সহযোগিতার জন্য পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশের পক্ষে তুরস্ক সরকারকে ধন্যবাদ জানান। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবাসনে দুই দেশ জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক ফোরামে একযোগে কাজ করার জন্য দুই পক্ষ অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।

বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যে পররাষ্ট্র দপ্তরের সচিব পর্যায়ের পরবর্তী বৈঠক আগামী ২০২০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তি