গুপ্তেশ্বর গুহা

গুপ্তেশ্বর গুহা
গুপ্তেশ্বর গুহা

কোরাপুট শহর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে ওডিশা-ছত্তিশগড়ের সীমান্ত জংশনে ট্যাক্সি যখন থামল, সূর্য তখন প্রখর আলো ছড়িয়ে পশ্চিম দিগন্তের দিকে হেলে পড়তে শুরু করেছে। আসার পথে সবুজ অরণ্যভূমির শান্ত পরশ, ওদের চোখের গভীরতায় শিহরণ তুলেছে বারবার। কতবার অম্লান প্রকৃতির নিবিড় হাতছানিতে ক্লান্তিহীন আনন্দের মদিরা ছুটেছে বুকের তলায়। গুপ্তেশ্বর গুহার আশপাশে ছোট ছোট দোকানপাট। সেখানে গুটিকয়েক দর্শনার্থীর ইতস্তত আনাগোনা মুহূর্তেই চোখে পড়ল সুচরিতের। যথাস্থানে ট্যাক্সি দাঁড় করিয়ে সুরেশ নিচু গলায় বলল, এখন তো সিজন নয়, তাই সেভাবে মানুষের ভিড় জমেনি। এই সময়ে সাধারণত বড় বড় মানুষেরাই আসা–যাওয়া করেন দেখেছি। সুচরিত জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই খোলাসা করে বলল, বড় মানুষ মানে ওই যাঁরা নানা রকম ছবিটবি তোলেন। খাতাপত্রে কী সব লিখেটিকে রাখেন, তাঁদের কথা বলছি দাদা। ওঁরা ভিড়ভাট্টার দিনে তেমন একটা আসেন না। অবশ্য দু–চারজন সাংবাদিককে তখন দেখেছি অনেক করে ছবি তুলছেন।

খানিকটা এগোতে দূর থেকেও চোখে পড়ল গুহার গর্ভদেশে নামার জন্য নিচের দিকে সুদীর্ঘ সিঁড়ি নেমে গেছে। চারদিকে নাম না জানা উঁচু উঁচু গাছের ভিড়। ডান পাশে লাস্যময় সবুজ তরঙ্গের মাঝখানে কুলকুল শব্দে তরঙ্গ বিহ্বল হয়ে বয়ে চলেছে গৈরিক জলের পাহাড়ি নদী। এর সর্বভারতীয় নাম ‘সবর’। ওডিশায় পরিচিত ‘কোলাব নদী’ নামে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ফুট উচ্চতায় সিনকারাম পাহাড় এর উৎসস্থান। দৈর্ঘ্য ৪৬০ মাইল। প্রচলিত লোকগাথা অনুযায়ী রামায়ণের নায়ক দশরাথপুত্র শ্রী রামচন্দ্র, বনবাসের সময় এই অঞ্চলে কিছুদিন বাস করেছিলেন। সেই থেকে গুপ্তেশ্বর গুহা যেখানে অবস্থিত, সেই গ্রামের নাম রামগিরি। রামচন্দ্র নিয়মিত সবরের পবিত্র জলে স্নান করে গুপ্তেশ্বর গুহায় নিষ্ঠাভরে শিবের আরাধনা করতেন।

বোঁদা নারীদের উলঙ্গ থাকার পেছনেও প্রচলিত রয়েছে সবর নদীকে জড়িয়ে এক কিংবদন্তি গল্পকাহিনি। সুরেশ গভীর উৎসাহে সেসব ঘটনার বর্ণনা দিতে দিতে বলল, তখন বনবাসী রামচন্দ্র আর লক্ষ্মণের সঙ্গে সীতামায়িও বাস করেছেন। কোলাব নদীর জলে তিনি রোজ স্নান করতেন। একদিন পড়ন্ত বিকেলে বসন খুলে স্নান করছেন, হঠাৎ বোঁদা মেয়েরা সেখানে উপস্থিত হয়। ওরা কাজ করে ঘরে ফিরছিল। আড়াল থেকে সেই স্নানদৃশ্য দেখে হেসে সবাই গড়িয়ে পড়ে। সীতামায়ি অপমানিত হন। রেগে অভিশাপ দেন। বলেন, তোমাদের মাথার চুল কখনো বড় হবে না। আর মেয়েরা সবাই ন্যাংটো হয়ে থাকবে। সেই থেকে বোঁদা মেয়েরা পোশাক পরতে পারে না। আর ওদের চুলও বড় হয় না। তাই তো ন্যাড়া করে খড়ের টুপি পরে।

সুরেশের মুখে একের পরে এক নানা লোকজ কাহিনি শুনতে শুনতে বহ্নির মনে হলো, দেশ ও কালভেদে জীবন পদ্ধতিতে ফারাক কিংবা পার্থক্য যেমনই থাক জীবন নিয়ে গল্প তৈরি করতে, গল্প শুনতে এবং শোনাতে সব মানুষই ভালোবাসে। কারণ জীবনের বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চারের ভেতর দিয়ে মানুষ আসলে নিজের মূল্যায়ন করতে চায়। হয়তো নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পায়।

আনুকেণ্ডালির হাটে পসরা সাজিয়ে বসে আছে আদিবাসীরা
আনুকেণ্ডালির হাটে পসরা সাজিয়ে বসে আছে আদিবাসীরা

গুহার ভেতরে আলো জ্বলছে। তার আভায় চোখে পড়ল, শিবলিঙ্গের ওপর ফুলের মালা, ফুলের স্তূপ। নিচে ধূপধুনোর ছোট ছোট পোড়া টুকরা। হালকা ছাই। সামনে এগিয়ে যেতে যেতে সুরেশ চাপা গলায় বলল, স্থানীয় আদিবাসীরা এখানে আরাধনা করছে শত শত বছর ধরে। এই যে এখন ট্যুরিস্টরা এখানে বছরভর আসা–যাওয়া করে, এটা ওদের একেবারে পছন্দ নয়। খুবই স্বাভাবিক। এতে ওদের আরণ্যক জীবনের শান্তি তো নষ্ট হয়! ঠিকই বলেছেন দাদা! কিন্তু এখানে ট্যুরিজমের জন্য ইন্ডাস্ট্রিগুলো যেন উঠেপড়ে লেগেছে! ডিসেম্বরের প্রথম আর দ্বিতীয় সপ্তাহে যে ‘ডোঙ্গার উৎসব’ করা হয়, তাতেও ফরেনারদের আকর্ষণ করার জন্য আদিবাসীদের জীবনযাত্রাই হয়ে ওঠে উৎসবের প্রধান থিম। ওরা এসব একদম চাইছে না। কিন্তু কে আর সে কথা শুনছে বলুন!

সেই তো। রানি দুদুমায় গিয়ে আজ এক আইরিশ ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় হলো। তিনিও বলছিলেন, ওদের আধুনিক সভ্যতার সঙ্গে যুক্ত করতে গিয়ে বরং উল্টো ফলই ফলছে। একবার আয়ারল্যান্ডের ডাক্তার দলের সঙ্গে ভদ্রলোক আমাজনে আদিবাসীদের গাঁয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। সেখানে গিয়ে ওঁরা দেখতে পান, বাইরের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার কারণে ওদের মধ্যে এমন সব অসুখ জন্মাচ্ছে, যাতে ওরা মারা যাচ্ছে। যেগুলো মডার্ন মেডিসিনও নিরাময় করতে পারছে না। কারণ আদিবাসীরা তো হাজার হাজার বছর ধরে নির্মল প্রকৃতির মধ্যে বসবাস করতে অভ্যস্ত। ওদের শরীরে আধুনিক যুগের অসুখ প্রতিরোধের ক্ষমতা নেই।

সুরেশ অতি উৎসাহে মুখ উজ্জ্বল করে হাসল, তা ছাড়া শহুরে ওষুধে আমাদের কাজও হয় না দাদা। বাবা যখন আছাড় খেয়ে পড়ে হাড় ভাঙল, তখন সত্যি বলতে কি দোকানের ওষুধে কাজ হয়নি। শেষে ওই জ্যাঠার ওষুধ পড়তেই ভালো হয়ে গেল।

আধুনিক সভ্যতার সঙ্গে আদিম সভ্যতা ও ঐতিহ্য বহনকারী মানুষগুলোর সংমিশ্রণ যেকোনোভাবেই কাম্যের হতে পারে না, সেটা আদিবাসী আর ট্রাইবদের ক্রমাগত ক্ষয়ে যাওয়ার বাস্তব চিত্র প্রমাণ করেছে বারবার। কিন্তু তারপরও আধুনিক জীবনের স্রোতে ওদের মিলিয়ে দেওয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপ থেমে নেই। তাই যে কারণে আধুনিক সভ্যতার সন্ত্রাসে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে, সেই একই কারণে প্রকৃতির কোলে লালিত মানুষও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কারণ মূল জনস্রোতের মানুষ তাদের উপকার করতে যত না প্রস্তুত তার চেয়ে বেশি উদ্‌গ্রীব, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার গ্রাস করার জন্য।

অবাক বিস্ময়ে গুহার ভেতরটা দেখতে দেখতে বহ্নিদের মনে হলো অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটিয়ে তোলায়, বিস্ময়কর ঘটনা সৃষ্টিতে নিপুণা প্রকৃতির নিপুণতার কোনো তুলনা নেই। আসলে পৃথিবীর গঠন বৃত্তান্তই এক বিস্ময়কর বাস্তবতা, ভূতত্ত্ববিদদের কাছে। সে বিস্ময় এমনই যে আজও তাঁরা ভেবে পান না, পৃথিবীর জন্ম কি কোনো অ্যাকসিডেন্ট? নাকি এর পেছনে কোনো অদৃশ্য প্ল্যানারের নিখুঁত ও অভ্রান্ত পরিকল্পনা পদ্ধতি রয়েছে? গুহার ভেতরটায় অনুসন্ধানী দৃষ্টি ছুঁয়ে কয়েকজন বিদেশি পর্যটক কয়েকটি ছবি তুলছিলেন ক্যামেরা ফ্ল্যাশ করে। সে দৃশ্য চোখে পড়তেই সঙ্গে সঙ্গে নিচু গলায় সুরেশের মন্তব্য শোনা গেল, ওই দেখুন বিদেশি ট্যুরিস্ট! এঁরা এর আগেও এসেছেন মনে আছে। আমি নিজেই দুবার দেখেছি। তবে কিনা অন্যদের সঙ্গে বললেও নিজেদের মধ্যে এঁরা ইংরেজি বলেন না শুনেছি। কোনো এক অচেনা ভাষায় নাকি কথা বলেন।

সুচরিত এ প্রসঙ্গে বিশেষ মনোযোগ না দিয়ে বলল, জানো তো সুরেশ, আমেরিকায় ঠিক এই ধরনেরই দেখতে একটি গুহা রয়েছে। অবশ্য তার আকার ও আয়তন এর বহু গুণ বড় আর জটিল। তার নাম তাই ‘ম্যামথ কেভ’। তবে দেখে মনে হচ্ছে, এদের জন্মের কারণ যেন একই রকম। সেখানেও পাশে গ্রিন রিভার নামে একটি নদী রয়েছে। এমনকি কেভের ভেতরেও আছে। সেখানটায় ঘুটঘুটে অন্ধকার!

আনুকেণ্ডালির হাটে পসরা সাজিয়ে বসে আছে আদিবাসীরা
আনুকেণ্ডালির হাটে পসরা সাজিয়ে বসে আছে আদিবাসীরা

সুরেশ শুনতে শুনতে চোখ বড় করল, ওহো। সে গুহা বুঝি কেউ দেখতে যায় না দাদা? কেন যাবে না? লাখ লাখ মানুষ দেখে আর অবাক হয়ে যায়! তাহলে সেখানে আমাদের এখানকার মতো আলো দেয়নি কেন? আলো রয়েছে তো। যে জায়গাগুলো দর্শকদের দেখানো হয় সেখানটায় ইলেকট্রিসিটি রয়েছে। নদীর দিকটাও আগে মশাল জ্বেলে নৌকা করে সাহসী দর্শকদের দেখানো হতো। তবে সেখানে অ্যাকসিডেন্টের ভয় থাকায় কয়েক বছর ধরে ট্যুর বন্ধ। অ্যাকসিডেন্টের ভয়? হ্যাঁ। কারণ গুহার গড়নটা যেমন জটিল তেমনি বিশাল। তা ছাড়া ম্যামথ কেভ ক্রমাগতই বড় হয়ে চলেছে। এটা এক জীবন্ত গুহা! শুনতে শুনতে অবিশ্বাস্য চোখ মেলে শিহরিত হলো সুরেশ, তার মানে প্রাণ আছে? সুচরিত হাসল নিঃশব্দে, ওই আর কি!

দেখতে দেখতে গ্রাম থেকে গ্রামান্তর পেরিয়ে পুরির সি প্যালেসের দিকে ফিরে চলেছে বহ্নিরা। নির্জন প্রকৃতির আরণ্যক পরিবেশ ওদের অনুভূতিকে সমৃদ্ধ করে চলেছে একের পর এক। পথের দুই পাশে আকাশমণিগাছের ভিড় দুই হাত বাড়িয়ে কোথাও জাপটে ধরছে উন্মুক্ত আকাশটাকে। কোথাও প্রশাখাহীন বাঁশবন মাথা নুইয়ে প্রণতি জানাচ্ছে ছায়াঢাকা বনপথকে। অজানা নদী, অচেনা গাছ, পাহাড় আর ছোট–বড় টিলার সারি দেখতে দেখতে হঠাৎই ওরা এসে পড়ল ছোটখাটো একটি জনতার ভিড়ে। সুরেশ গতি কমিয়ে এক বিস্তীর্ণ পাকুড়গাছের নিচে গাড়ি থামাতে থামাতে বলল, দিদি, এই সেই আনুকেণ্ডালির হাট। যে হাট আপনি দেখতে চেয়েছিলেন। বহ্নি আগ্রহে দ্রুত জানালার কাচ নামিয়ে জিজ্ঞেস করল, এই হাটেই বুঝি ওই জ্যাঠার বাড়ির মেয়েরা এসেছে? হ্যাঁ, দিদি। ওদের এখন দেখা যাবে? ঘণ্টাখানেক আগে এলে ভিড়ভাট্টা আরেকটু দেখতে পেতেন। এখন তো ভাঙা হাট। সন্ধ্যা হয়ে এল। জানি না। আচ্ছা দেখি নেমে। বিশাল পাকুড়গাছের তলায়, খোলা আকাশের নিচে জমে উঠেছিল যে পসরা কেনাবেচার পর্ব, তাতে এখন আর রমরমাভাব নেই, এক পলক নজর ফেলেই বুঝতে পারল বহ্নি। সুরেশের ঠোঁটের কোলে স্মিত হাসির পরশ লাগল মনে হলো। কিন্তু দরজা খুলে কয়েক পা সামনে এগিয়েই ফিরে এল সে। কাঁধ ঘুরিয়ে পেছনে তাকিয়ে কাঁধ নাড়াল দুদিকে, ওরা নেই দিদি। ঠিক আছে। তাহলে আর দেরি কোরো না। উঠে এসো।

লালচে হলুদ রং ছড়িয়ে আসন্ন সন্ধ্যার আগমন বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে সৌর সূর্য। কাছেই কোথাও ঘুঘুর ডাক ক্লান্তির পরশে ভাসছে। দুটো হলুদ পাখি পাকুড়ের ফল খেতে ব্যস্ত। অবশ্য গাড়িতে উঠে এলেও সুরেশ তখনই চালু করল না। বহ্নির গভীর মনোযোগিতা মুহূর্তে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উপস্থিত নারীদের সন্ধানী চোখে দেখতে দেখতে বহ্নি সপ্রশ্ন চোখে তাকাল, এদের তো বোঁদাদের থেকে অনেক আলাদা দেখতে সুরেশ! জামাকাপড়ও পরে আছে দেখছি। এরা কেউ বোঁদা নয় দিদি। তবে বোঁদাদের মধ্যেও নানা রকম দেখতে হয়। সবার গায়ের রংই যেমন পাথুরে কালো নয়, তেমনি নাক–মুখের গড়নেও সামান্য রকমফের আছে। তবে গয়না পরার ধরন একই রকম। পোশাকও পরে না। সুচরিত এবার আগ্রহ দেখাল, একটু নেমে বেচাকেনার জিনিসগুলো দেখা যাবে নাকি সুরেশ? দরকার নেই দাদা। ওই তো দেখা যাচ্ছে, মাছ, মুরগি, মুলা, কচু, কচি বাঁশের কোর, বলতে বলতেই সে জানালার কাচ নামিয়ে দিল। শুঁটকি মাছও রয়েছে মনে হচ্ছে। হ্যাঁ, দাদা। আশপাশের নদী আর সাগর থেকে মাছ ধরে শুকায় ওরা। আদিবাসীদের মধ্যে শুঁটকি খাওয়ার প্রচলন তো রয়েছে। বড় বাজে গন্ধ। তাহলে আর দাঁড়িয়ো না সুরেশ। আমিও মনে হচ্ছে বোটকা গন্ধ পাচ্ছি। সুরেশ এবার হেসে ফেলল, তাই চলুন। সওদা করতে না এলে এখানে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকার নিয়মও নেই দাদা। নিয়ম ভাঙা একদমই পছন্দ করে না ওরা।

তাই নাকি? একদম!

সুরেশের শেষ কথাটি শুনতে শুনতে বহ্নির রানি দুদুমায় পরিচিত সেই আইরিশ ভদ্রলোক ম্যাককার্থির কথাগুলো মনে পড়ছে। তিনি বলেছিলেন, আমরা বিজ্ঞান প্রযুক্তি সভ্যতার মানুষগুলো মনে করি, আমাদেরই কেবল জুডিশিয়াল সিস্টেম, সরকার, ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি রয়েছে। আর ওদের এগুলোর কিছুই নেই। কিন্তু বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। ওদের সবই আছে, ওদের মতো। তবে আরও যেটা আছে আমাদের সেটা নেই। সেটা হলো, যে পৃথিবীতে ওরা আশ্রয় পেয়েছে তার জন্য বিরাট শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর সহমর্মিতা। ওরা আমাদের মতো পৃথিবীকে তাই এক্সপ্লয়েট করতে চায় না। (চলবে)

ধারাবাহিক এ ভ্রমণকাহিনির আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন