নাইরোবির জাফলংয়ে ঈদ আনন্দের ঝরনাধারা
এ বছরও কেনিয়ায় ঈদ উদ্যাপনের তারিখ নিয়ে দ্বিধা ছিল। ঈদ আজ হবে না কাল হবে তা নিয়ে তর্ক ছিল। কিন্তু আমাদের বেশির ভাগ বাংলাদেশির ঈদ আনন্দ উদ্যাপনের উৎসাহের কমতি ছিল না। আর কারও কোনো দ্বিধা থাকলেও তা মহা উত্সাহী তাপস ভাইয়ের আহ্বানে বিলীন হতে সময় লাগেনি।
গত মঙ্গলবার (৪ মে) সকাল নয়টায় ঈদের জামাত শেষে আমাদের ঈদ আনন্দযাত্রার শুরু। উদ্দেশ্য নাইরোবির উপকণ্ঠে টিগুনি ওয়াটার ফল। এ যেন বাংলাদেশের জাফলং! বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে সবুজের সমারোহ। পাহাড়ের গা-জুড়ে অপরূপা চা-বাগান আর মাঝেমধ্যে ছিমছাম বাংলো বাড়ি। আকাশজুড়ে হালকা ধূসর মেঘ। প্রায় দুপুর গড়ালেও সূর্যমামার দেখা নেই। এমনই এক মোহময় পরিবেশে ঝিরিঝিরি ঠান্ডা বাতাস গায়ে মেখে যখন সবাই আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্পটে পৌঁছাই ততক্ষণে অদ্ভুত এক ভালো লাগার আবেশ ছড়িয়ে গেছে সবার মনে।
ঈদের নতুন পোশাক গায়ে ছোট্ট সোনামণিরা যখন মেতে ওঠে বাঁধভাঙা উল্লাসে, মনে হচ্ছিল যেন সবুজ পাহাড়ের ঢালে বাতাসে দুলছে রংবেরঙের ফুল! মাঝেমধ্যে চলতে থাকে ফটোসেশন আর সেলফির ভেলকি। সবার সঙ্গে নিয়ে আসা খাবারগুলোরও চলে সদ্ব্যবহার। কেউ নিজেদের ভিজিয়ে নিলেন ঝরনার হিমশীতল জলে।
ঈদের সালামি নিয়ে চলল একপশলা আনন্দের বৃষ্টি। ছোট্ট সোনামণিদের হাতে আংকেলদের দেওয়া ঈদি দেখে কাউকেই রেহাই না দিয়ে ভাবিরাও আদায় করলেন বিশাল অঙ্কের ঈদি! আর আমাদের এই ঈদ আনন্দ আরও পূর্ণতা পেল দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহোদয়ের সপরিবারে হঠাৎ উপস্থিতি। এভাবেই একরাশ আনন্দ আর ফুর্তিতে কেটে গেল আমাদের এবারের ঈদ।