প্রবাসীর বায়বীয় ঈদ

ঈদের নামাজে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: সাদিকুর রহমান
ঈদের নামাজে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: সাদিকুর রহমান

অস্ট্রেলিয়ায় ঈদের দিন কোনো সরকারি ছুটি নেই। অস্ট্রেলিয়ার সরকার নাকি ছুটি দিতে চেয়েছিল, কিন্তু মুসলিমরা কোন দিন ছুটি নেবেন সেই ব্যাপারে একমত হতে না পারায় সরকারিভাবে ছুটি ঘোষিত হয়নি। প্রত্যেকবার রমজান মাসের শুরুতেই আমার বর্তমান অফিসের বস জিজ্ঞেস করেন, আলী রমাদান তো চলে এল, তা ঈদের ছুটি কবে নিচ্ছ। ইংরেজিতে রমজান মাসের উচ্চারণ হয় রমাদান। আমি বলি সবে তো রোজা শুরু হলো। এখন বাকিটা নির্ভর করছে চাঁদ দেখার ওপরে। যেদিন চাঁদ দেখা যাবে তার পরদিন ঈদ।

অস্ট্রেলিয়াতে সাধারণত দুই দিন ঈদ পালন করা হয়। একদল চাঁদ দেখা যাক বা না যাক পঞ্জিকা অনুযায়ী চাঁদের ওঠার ওপর নির্ভর করে ঈদ পালন করেন। অন্য দল আকাশে চাঁদ দেখে ঈদ পালন করেন। আমি অবশ্য দুই দিন ঈদ পালনের এই বিষয়টাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখি। কারণ এতে করে ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। এবার ঈদের আগের দিন আকাশে অনেক মেঘের ঘনঘটা ছিল। সঙ্গে দুই দিন ধরে অনবরত বৃষ্টি। তাই আমার বস মজা করে বললেন, এবার তোমরা চাঁদ দেখবে কীভাবে? এক কাজ কর, মিককে বলো আকাশের মেঘগুলোকে সরিয়ে দিতে। মিক আমাদের অফিসের সবচেয়ে লম্বা সহকর্মী। তাঁর উচ্চতা প্রায় সাত ফুটের কাছাকাছি। মিক আবার আমার ভালো বন্ধু। তাই বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁর অনেক আগ্রহ। এবার ঈদের আগের দিন সকালেই তিনি আমাকে ঈদ মোবারক জানিয়ে মেসেজ করেছিলেন। পরে আমি অফিসে এসে বললাম, ঈদ সম্ভবত আগামীকাল বা পরশু হবে।

এখানে আসার পরের প্রথম ঈদের স্মৃতি এখনো মনে পড়ে। ঈদের দিন একটা ইন্টারভিউ দিতে দূরের একটা সিটি কাউন্সিলে গিয়েছি রোজা রেখে। ইন্টারভিউ শেষ করে ফেরার পথে গিন্নি ফোন দিয়ে বললেন আজতো ঈদ। অমুকেরা ফোন দিয়ে বলেছেন, ঈদের দিন তো রোজা রাখা হারাম। তাই আমি ঈদের রান্না শুরু করেছি। কিন্তু বাসায় কোনো মাংস নেই। আমি বাসায় ফিরে মিন্টো স্টেশনের কাছে একটা দোকানে গেলাম। ঈদের দিন বলে বাংলাদেশি গ্রোসারি দোকানগুলোর সবগুলোই বন্ধ ছিল, শুধু ওই দোকানটা ছাড়া। দোকানি বললেন, ‘ভাই, একটু অপেক্ষা করতে হবে। মাংস আসতে একটু সময় লাগবে।’ আমি দোকানের বাইরে অপেক্ষা করতে শুরু করলাম। ঘণ্টাখানেক পর মাংস এলে সেটা নিয়ে বাসায় ফিরলাম।

অবশ্য এখনকার ঈদগুলো প্রথমবারের তুলনায় অনেক গোছানোভাবে পালন করা হয়। এবারও ঈদের আগেই দুই দিনের ছুটির দরখাস্ত দিলাম। কিন্তু যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসছিল, ততই বুঝতে পারছিলাম, আমি মনে হয় ভুল দিনে ছুটি নিয়েছি। আসলে আমরা চাঁদ দেখে রোজা শুরু করেছিলাম, তাই ৩০ দিন হিসাব করে ছুটিটা নিয়েছিলাম। সম্ভাব্য ঈদের আগের দিন বসকে বললাম, আমি তো পরশু ও তার পরদিন ছুটি নিয়ে রেখেছি। কিন্তু মনে হচ্ছে কালকে ঈদ হবে। বস বললেন, ‘কোনো সমস্যা নেই, তুমি আজ রাতে আমাকে একটা মেসেজ দিয়ে রেখো।’

বাসায় ফিরে আমি স্বপন ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম। কারণ কোনোভাবেই ঈদ কবে হবে সেই খবর পাচ্ছিলাম না। এদিকে যাঁরা পঞ্জিকা অনুযায়ী ঈদ পালন করেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন পরদিন ঈদ পালনের কথা। কিন্তু আমি আমার বাসার সবচেয়ে কাছাকাছি একটা জায়গায় সপরিবারে ঈদের নামাজ পড়ি। তারা চাঁদ দেখে রোজা রাখেন ও ঈদ করেন। তাই একটু মুশকিলে পড়ে গেলাম। স্বপন ভাই তাঁদের একজন কর্মী। তাই স্বপন ভাইয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছিলাম।

অবশেষে রাত ১০টার দিকে স্বপন ভাই ফোন দিয়ে বললেন পরদিন ঈদ। সকাল সাড়ে সাতটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের দেখা এই প্রথমবার রোজার ঈদ অস্ট্রেলিয়াজুড়ে একযোগে পালিত হলো। আমি সঙ্গে সঙ্গেই ইউটিউবে ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশির ঈদ’ গানের সব সংস্করণ নিয়ে একটা প্লে লিস্ট তৈরি করে নাম দিলাম ঈদ সং। তারপর সেটা বাজিয়ে চললাম। এই গান শুনে মেয়ে এসে বলল, ‘বাবা কালকে কি ঈদ?’ আমি বললাম, হ্যাঁ, কালকে ঈদ। মেয়ে বলল, ‘কিন্তু আমার তো হাতে মেহেদি নেওয়া হয়নি।’ শুনে আমার মন খারাপ হয়ে গেল। প্রতি ঈদের আগের রাতে গিন্নি মেয়ের হাতে মেহেদির আলপনা এঁকে দেন। কিন্তু এবার আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ গিন্নি কাজে। গিন্নি কাজ থেকে ফিরলেন রাত সাড়ে ১০টার পর। আমি জিজ্ঞেস করলাম, বাসায় মেহেদির টিউব আছে কিনা? গিন্নি বললেন, এবার কিনতে ভুলে গেছেন। আমি বললাম, এখন তো আর বাংলা দোকানগুলো নিশ্চয় খোলা নেই। শুনে মেয়েটা মন খারাপ করে ঘুমাতে গেল।

ঈদের নামাজে নারীরা। ছবি: সাদিকুর রহমান
ঈদের নামাজে নারীরা। ছবি: সাদিকুর রহমান

ইতিমধ্যে ফেসবুকে ঈদ মোবারক জানিয়ে বার্তা আসতে শুরু করেছে। আমার কুষ্টিয়ার বন্ধুরা সব কুষ্টিয়ায় ফিরে আড্ডা জমিয়েছে। বন্ধু বশির বাড়ি ফেরার পথে পাবনায় থিম লিচু বাগানে গিয়ে লিচু কেনার ছবি দিয়েছে। সৌরভ, রাসেল আর মান্না কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে গিয়ে আড্ডা দিচ্ছে দেখে আমি মেসেঞ্জারে ওদেরকে কল দিয়ে অনেকক্ষণ আলাপ করলাম। হিটু তখনো তাদের সঙ্গে এসে যোগ দেয়নি। হিটু আসার পর আবারও একবার ওদের সঙ্গে কথা হলো। এটাই ছিল এবারের ঈদে আমার জন্য সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। ওরা সবাই একসঙ্গে কুষ্টিয়াতে, অনেক মজা করে ঈদ করছে যার যার পরিবারের সঙ্গে। আমি দূর দেশে থেকে সামান্যতম হলেও সেটার ছোঁয়া পেলাম।

রাতে ঘুমাতে যেতে অনেক দেরি হয়ে গেল। অবশ্য প্রবাসের প্রতিটি চাঁদরাতেই একই ঘটনা ঘটে। কারণ বাংলাদেশের সময় অস্ট্রেলিয়ার পেছনে। দেশে বাবা-মা, ভাই-বোন ও বন্ধুদের সঙ্গে কখনো মেসেঞ্জারে আবার কখনো সরাসরি আলাপ চলতে থাকে। এরপর শুরু করি ইউটিউবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখা। সেটা দেখতে দেখতেই মাঝরাত হয়ে যায়। তখন মনে হলো, কাল ঈদের দিনও গিন্নির ডিউটি আছে সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তাই ভাবলাম তার কাজ একটু এগিয়ে রাখি। রাতে রান্না করা সব খাবার বক্সে ভরে ফ্রিজে রেখে দিলাম। তারপর হাত দিলাম রান্নাঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে। থালাবাসন মাজা থেকে শুরু করে চুলা পরিষ্কার, সব গুছিয়ে ঘুমাতে যেতে প্রায় ভোর চারটা বেজে গেল। ঘড়িতে সাতটার অ্যালার্ম সেট করে ঘুমাতে গেলাম।

সকালে বাচ্চাদের ঘুম থেকে ডেকে ওঠাতে হলো। অন্য দিন তারা এমনিতেই ওঠে। কিন্তু গত দুদিন ধরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাই ঠান্ডা বেশি পড়ার কারণে তারা একটু বেশি সময় ধরে ঘুমাচ্ছে। মেয়েটা একডাকেই উঠে পড়ে। কিন্তু ছেলেকে ওঠাতেই মুশকিল হয়ে গেল। পরে তাকে জোর করে ঘুম থেকে তুলে পাজামা-পাঞ্জাবি পরিয়ে তৈরি করে নিলাম। বাসা থেকে ঈদের নামাজের জায়গাটা দুই-তিন মিনিটের ড্রাইভ। কিন্তু পার্কিং পাওয়া সমস্যা হয়ে যায়। পার্কিং করে আবার অনেকখানি হেঁটে যেতে হয়। আমি আর রায়ান ছেলেদের জায়গায় আর তাহিয়া চলে গেল মেয়েদের জায়গায়। সেখানে তার এক বান্ধবী আসবে। সে তার সঙ্গে নামাজ পড়বে। নামাজের সময় রায়ান আর কোনো ঝামেলা করল না। নামাজ শেষ করে জিলাপি সংগ্রহ করে আমরা বাসায় ফিরলাম। নামাজ শেষে জিলাপি খাওয়ার এই ব্যাপারটা আমাদের খুবই ভালো লাগে। রায়ান খুবই পছন্দ করে কুড়মুড়ে এই জিলাপিগুলো। তাই আমরা মাথাপিছু সংখ্যার চেয়ে একতা দুটা বেশি করে নিয়ে নিই। বাসায় ফিরে দেখি গিন্নি কাজে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছেন। তাঁকে বিদায় দিয়ে আমরা আবার ঘর গোছানো শুরু করলাম।

ইতিমধ্যেই নাজমুল ভাই ফোন দিয়ে তাঁদের বাসায় যেতে বললেন। তাঁদের বাসায় গিয়ে নাশতা করে এসে সোফায় একটু গা এলিয়ে দিতেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। ঘুম ভাঙল দুপুরে মিথুন ভাইদের ডাকাডাকিতে। ঈদের নামাজ শেষ করে তাঁরা বেড়াতে বেরিয়েছেন। এরপর আরও এলেন সাগর ভাই ও বাপ্পী ভাই। এভাবে একসময় দিন ফুরিয়ে এল। অবশেষে গিন্নি ফিরে এলেন কাজ থেকে। তখন আবার নাজমুল ভাইদের বাড়িতে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। সেখানেই দেখা হয়ে গেল আশফাক ভাইয়ের সঙ্গে। তারপর সিডনির মূল শহরের উদ্দেশে রওনা দিলাম। বাংলাদেশ থেকে এলজিইডির মাসুদ ট্রেনিংয়ে এসেছেন। তিনি আমার পুরোনো সহকর্মী। এলজিইডিতে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য তাই এবার ঈদের দিন কারও বাসায় যাওয়া সম্ভব হলো না। মাসুদের সঙ্গে দেখা করে ফিরতেই রাত ১১টা বেজে গেল। এভাবেই পালিত হলো প্রবাসে আমাদের আরও একটা ঈদের দিন।

প্রবাসে ঈদের কেনাকাটার জন্য অনেক মেলা হয়। সেখানে বাহারি ডিজাইনের পোশাক পাওয়া যায়। তবে দেশের মতো বিদেশেও বাংলাদেশি পোশাকের চেয়ে বিদেশি পোশাকের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ বেশি দেখা যায়। সেটা নিয়েও হয়তো বা মনে মনে এক ধরনের প্রতিযোগিতা চলে। সেটাও উৎসবেরই অংশ। আমার ভালোই লাগে যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটা সবার সামনে খোলামেলাভাবে প্রকাশ করা হয়। সেই সব মেলাতে থাকে হাতে মেহেদি দেওয়ার স্টল। সেখান থেকে অনেকেই আবার হাতে মেহেদি পরে নেন। সব স্টল ঘুরে নিজেদের জন্য পছন্দসই পোশাক বাছাই করে কাটে কেনাকাটার সময়গুলো। আমরা অবশ্য যাই উৎসবে মানুষের হাসিমাখা মুখগুলো দেখতে। আমরা অবশ্য দেশ থেকে আগেই বাচ্চাদেরসহ আমাদের ঈদের পোশাক আনিয়ে রাখি।

ঈদের নামাজের পর ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে লেখক। ছবি: সাদিকুর রহমান
ঈদের নামাজের পর ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে লেখক। ছবি: সাদিকুর রহমান

প্রবাস জীবনের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার বাইরে উৎসবের দিনগুলো প্রবাসীদের জন্য বেশি কষ্টের। কারণ দেশে থাকলে অন্ততপক্ষে ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়। সবার সঙ্গে দেখা হয়, কুশল বিনিময় হয়। তাই দেশের ঈদ আসলেই একটা পারিবারিক পুনর্মিলনীতে পরিণত হয়। কিন্তু প্রবাসে সেই সুযোগ নেই। আর প্রবাস জীবনে যেহেতু ঈদের জন্য আলাদা কোনো ছুটি নির্ধারিত নেই, তাই ঈদের আনন্দ করার সুযোগটাও সীমিত। তবে ঈদের পরের সপ্তাহান্তে সেই কমতিটা পুষিয়ে নেওয়ার একটা চেষ্টা থাকে সবার মধ্যেই। সবাই সবার বাসায় দাওয়াত খেয়ে এবং খাইয়ে ঈদের আনন্দে শামিল হন। ছোটরাও অনেক দিন পর তাদের পরিচিত অনেকের দেখা পায় এবং তাদের মতো করে খেলাধুলায় মেতে ওঠে।

প্রবাসেও ঈদের আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ বাংলাদেশের ঈদের অনুষ্ঠানগুলো। আমরা মুখিয়ে থাকি ঈদের ‘ইত্যাদি’ দেখার জন্য। ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানটা না দেখা পর্যন্ত ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পায় না। তাই আমরা অপেক্ষায় থাকি কখন সেটা ইউটিউবে আপলোড হবে। অবশ্য অনেকের বাসাতেই বাংলাদেশের সব চ্যানেল দেখার ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে বের হওয়া নতুন গান বা নাটকও দেখা হয় ইউটিউবের মাধ্যমে। এভাবেই দিনের বেলা দাওয়াত খেয়ে আর রাতের বেলা ইউটিউবে ঈদের অনুষ্ঠান দেখে কাটের ঈদের সময়গুলো। আর এর ফাঁকে ফাঁকে চলে দেশের স্বজনদের সঙ্গে টুকরো টুকরো আলাপ।

তবে প্রবাসীদের ঈদ আনন্দের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ হচ্ছে তাদের বাসার বিভিন্ন রকমের রান্নার ছবি ও দাওয়াতে আসা অতিথিদের ছবি ফেসবুকে আপলোড দেওয়া। সেখানে লাইক ও কমেন্ট দেওয়াও প্রবাসী ঈদ আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ। আমি এবারের ঈদে সেই কাজটাই করেছি বেশি। যেহেতু ঈদের দিন আমাদের কোথাও যাওয়া হয়নি। সুন্দর সুন্দর রান্না ও হাসিমুখে মানুষগুলোর সুখী সুখী চেহারা দেখলে ভালোই লাগে। যদিও জানি অন্তরের ক্ষত ঢাকতেই বাইরে এই কৃত্রিম আনন্দের প্রকাশ।
...

মো. ইয়াকুব আলী। ইমেইল: