ট্রাম্পের দেশে দ্বিতীয় ঈদ

রোজ গার্ডেনে সবার সঙ্গে লেখিকা
রোজ গার্ডেনে সবার সঙ্গে লেখিকা

ট্রাম্পের দেশে প্রথম ঈদ ছিল গত বছরের কোরবানির ঈদ। ক্লাস শুরুর এক দিন পরই ছিল সেই ঈদ। তাই ঈদের জামাত পড়েই আবারও ক্লাসে ফিরতে হয়েছিল। কিন্তু এবারের ঈদটা একটু ভিন্ন। যেহেতু সামার, তাই কোনো ক্লাসের প্যারা ছিল না। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ধীরেসুস্থে ঈদের নামাজ পড়ে সেই বাংলাদেশি স্টাইলে রানু আপুর বাসায় গেলাম ঈদের খাওয়াদাওয়া করতে। খুবই মজাদার একটা খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে ভালো একটা আড্ডা দিই এবং বাড়িতে ফিরে প্রফেসরের সঙ্গে মিটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ল্যাবের উদ্দেশে রওনা দিলাম।

মিটিং শেষে বাসায় ফিরে বৃষ্টির কাছ থেকে লাঞ্চ করার দাওয়াত পেলাম। আমি গরিব, তার ওপর আবার সিঙ্গেল। কোনো দাওয়াত মিস করাটাকে হারাম মনে করি। তাই লাঞ্চে চলে গেলাম। খুবই টেস্টি কিছু খাবার খেয়ে অনেক আলোচনা করে আবারও অ্যাপার্টমেন্টে ফিরলাম। ফেরার সময় ঠিক হলো বিকেলে ঘুরতে বের হব।

টেবিল রক থেকে সূর্যাস্ত
টেবিল রক থেকে সূর্যাস্ত

বিকেলে সবাই মিলে গেলাম রোজ গার্ডেন। সেখানে অনেক ফটো সেশনের পর রওনা দিলাম টেবিল রকের উদ্দেশে। টেবিল রক থেকে পুরো বয়েসিকে দেখতে দেখতে সূর্যাস্তটাও দেখে ফেললাম। একরাশ ভালো লাগা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঈদের চাঁদটাও দেখে নিলাম। বাড়ি ফিরে একটা শাওয়ার নিয়ে কিছুক্ষণ হেঁটে আবারও বাড়ি ফিরে আমার রান্না করা অতি কষ্টে হজম করা যায় এমন খাবার দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করলাম। ঈদের রাতটা শেষ হলো এক কাপ চা আর কিছু ভালো মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে।

পুরো দিনটা ছিল একদম বাংলাদেশের ঈদের মতো। শুধু কিছু আপনজন পাশে ছিল না বা আমি তাদের পাশে ছিলাম না। এটা ছাড়া আর কোনো দুঃখবোধ নেই এই ঈদ নিয়ে। খুব ভালো একটি ঈদ করলাম ট্রাম্পের এই নীরস দেশে।

রোজ গার্ডেনে লেখিকা
রোজ গার্ডেনে লেখিকা

নীরস ঈদটাকে সরস ঈদ বানানোর জন্য ধন্যবাদ সাবরিনা, রানু আপু, নাজমুল ভাই, বৃষ্টি ও অভিকে। প্রবাসে একা জীবন, কিন্তু একা নই।